ছাত্রলীগ নেত্রী এশার প্রতি অন্যায় ফেসবুকে ঝড়






মানিক ঘোষ কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের বহিস্কৃত ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। ইশার বাবা ঝিনাইদহ জজ আদালতের পিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন দাবি করেছেন, তার মেয়ের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। তার মেয়ে নির্দোষ। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত না করে তাকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি অসুস্থ হয়ে কোমায় রয়েছেন। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে দাবি করেছে,ন তার শাস্তি দেওয়াটা বেশি হয়েছে। তার শাস্তি দেওয়া অন্যায় হয়েছে বলে কয়েকজন বিশিষ্ট সাংবাদিক মত দিয়েছেন। এছাড়াও ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাও তার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে বলে ফেসবুকে তুলে ধরেছেন।
এশার বিরুদ্ধে এরকম শাস্তির ঘটনায় ঝিনাইদহবাসীও হতবাক হয়েছে। তারা এর সুষ্ঠু তদন্ত না করে এমন সাজার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এশার পিতা ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার মেয়ের প্রতি চরম অন্যায় করা হয়েছে। সে নির্দোষ। তদন্ত করে দেখা উচিত ছিল ঘটনাটি।
তিনি আরও বলেন, এশা ছোট বেলা থেকে মেধাবী শিক্ষার্থী। প্রতিটি ক্লাসেই সে ১ম স্থান অধিকার করেছে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন শেষ বর্ষের ছাত্রী। কবি সুফিয়া কামাল হলে সে ছাত্রলীগের সভাপতি দায়িত্বে ছিল। সে কোন দিন কারো গায়ে হাত তুলেছে এমন নজির নেই। পরিকল্পিতভাতে গুজব রটিয়ে তাকে লাঞ্চিত করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
ঝিনাইদহ জেলা যুব লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শিমূল বলেন, এশার গলায় জুতার মালা দেওয়া মানে ঢাবির সব মেধাবী শিক্ষার্থীর গলায় জুতার মালা দেওয়া। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। তদন্ত না করেই এতো বড় সাজা মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, একদল শিক্ষার্থী গুজব রটিয়ে যখন এশার রুমের দরজা লাথি দিয়ে ভাঙছিল, ঠিক তখন মোর্শেদার পা কেটেছে। ভিডিও ফুটেজে তার স্পষ্ট প্রমান রয়েছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে ইশার শাস্তি নিয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক অঞ্জন রায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানান, ইশার গলায় জুতোর মালা পড়ানো, সেই ভিডিও তোলা, ছড়িয়ে দেয়া- পরিস্কারভাবে নারীর প্রতি সহিংসতা। অপরাধ। পুরোটাই করা হয়েছে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে- এদেশের নারী অধিকার কর্মী, নারীবাদীরা কি এই সহিংতার প্রতিবাদ করবেন না?




No comments

Powered by Blogger.