লাখো ভক্তকে কাঁদিয়ে বিশ্বকাপের ২১তম আসর থেকে বিদায় নিয়েছে আর্জেন্টিনা।


স্টাফ রির্পোটার, চিত্রানিউজ: লাখো ভক্তকে কাঁদিয়ে বিশ্বকাপের ২১তম আসর থেকে বিদায় নিয়েছে অন্যতম হট ফেভারিট দল আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে নবাগত আইসল্যান্ডের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে তারা। পরে দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হার নিভু নিভু হয়েছিল আর্জেন্টিনার যে আশার প্রদীপটি, আইসল্যান্ডকে হারিয়ে সেই প্রদীপে আবার নতুন করে জ্বালানি দেয় নাইজেরিয়া।

নাইজেরিয়ার বিপক্ষে লিওনেল মেসির ১৪ মিনিটের গোলে ১-০ তে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে তারা। তবে বিরতির পর পেনাল্টি থেকে গোল করে তাদের হতাশ করে নাইজেরিয়া। খেলা শেষ হওয়ার ৪ মিনিট আগে রোহোর দুর্দান্ত গোলে ২-১ গোলে জিতে শেষ ষোলোতে পৌঁছে আর্জেন্টিনা।

এরপর দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে মুখোমুখি হতে হয় ফ্রান্সের। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হয় এই হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ।শুরু থেকেই ছন্দময় খেলা খেলতে থাকে দুই দল। প্রথমদিকে আর্জেন্টিনার থেকে বেশি আক্রমণাত্বক খেলে ফ্রান্স। যদিও ৬৯ ভাগ বল আর্জেন্টিনার পায়ে আর ৩১ ভাগ বল ছিল ফ্রান্সের পায়ে। তবে খেলার সময় বাড়ার সাথে সাথে আক্রমণও বাড়ে আর্জেন্টিনার।

খেলা শুরু হওয়ার ৮ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক পায় ফ্রান্স। দারুণ শর্ট করলেও বারে লেগে ফিরে আসে বল কিন্তু ১২ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি আর মিস হয়নি পগবাদের। ১-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও ম্যাচের ৪০ মিনিটে ডি মারিয়ার দারুণ শর্টে সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধ শেষে ১-১ সমতায় থাকে দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। তৃতীয় মিনিটে ডি-বক্স থেকে শট নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। বলের গতিপথে থাকা গাব্রিয়েল মের্কাদো পা সরিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল তার পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষকের।

৫৬তম মিনিটে ফেদেরিকো ফাসিওর ভুলে গোল খেতে বসেছিল আর্জেন্টিনা। কাছাকাছি গ্রিজমান থাকার পরও পরও এই ডিফেন্ডার ব্যাকপাস দেন গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আরমানির আওতার বাইরে। ছুটে গিয়ে শট নেন গ্রিজমান। তবে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।

পরের মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান বাঁজামাঁ পাভার্দ। আরেক ডিফেন্ডার লুকা এরনঁদেজের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত ভলিতে বল পাঠান জালে।

৬৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ডি-বক্স থেকে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান এমবাপে। ঝাঁপিয়ে গ্লাভস ছোঁয়ালেও পিএসজি ফরোয়ার্ডের গোল ঠেকাতে পারেননি আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক।

চার মিনিট পর আবার এমবাপের গোল। ডি-বক্সে অলিভিয়ে জিরুদের চমৎকার বাড়ানো বলে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে জালে পাঠান এই তরুণ ফরোয়ার্ড।

এরপর অতিরিক্ত সময়ে আরো ১ গোল করে আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলে জয় নিশ্চিত করে ফ্রান্স।

No comments

Powered by Blogger.