কালীগঞ্জে জাল সনদে চাকুরি করছেন স্কুল শিক্ষক হেলাল উদ্দিন, ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার: জাল সনদ দিয়ে চাকুরি করছেন ৮ বছর। সরকারী অর্থ গ্রহন করছেন তিনি। অবশেষে ধরা পড়লেন শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন। বে-সরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ এক চিঠিতে জানিয়ে দিয়েছেন তার নিবন্ধন সনদটি জাল। আর এই জাল সনদ ব্যবহার করার অপরাধে স্থানীয় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকেও নির্দেশ দিয়েছেন ওই কর্তৃপক্ষ। হেলাল উদ্দিন বর্তমানে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) হিসেবে কর্মরত। কালীগঞ্জ উপজেলার হেলাই গ্রামের গোলাম বারী বিশ্বাসের পুত্র হেলাল উদ্দিন ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি এই স্কুলে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এদিকে হেলাল উদ্দিন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরির জন্য যখন আবেদন করেন তখন শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জমা দেন। যেটা যাচাই করে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ দেখেছেন তিনি ২০০৭ সালের ৩য় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। ওই পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ১১২০৩১৫৩। পরীক্ষায় তিনি শতকারা ৫০.০০ নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন। তিনি এস.এস.সি, এইচ.এস.সি, বিএ, বিএড পরীক্ষায় সবগুলোতে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তির্ণ হয়েছেন। এদিকে দীর্ঘ সময় চাকুরিরত থাকার পর সম্প্রতি তার নিবন্ধন সনদ নিয়ে প্রশ্ন উঠে। অনেকে এটাকে জাল সনদ বলে সন্দেহ করেন। অবশেষে জেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে তার শিক্ষক নিবন্ধন যাচাই করতে পাঠানো হয়। সেখানে ধরা পড়ে তার ওই সনদপত্রটি জাল। ঢাকা এনটিআরসিএ’র সহকারী পরিচালক মোঃ মোস্তাক আহমেদ স্বাক্ষরিত বেশিনিক/প্রমূপ্র/সনদ যাচাই/৭৪৪(অংশ-৩)/২০১৭/৪০৩ নং স্বারকে জানানো হয়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের সনদটি জাল। গত ২৮ জুলাই এই চিঠি পাঠানো হয়েছে ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসে। যে চিঠিতে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানার জন্য শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের মুটোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে বন্ধ পওয়া গেছে। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নারায়ন বসু জানান, এ জাতীয় কোনো চিঠি তিনি এখনও পাননি। এমনকি এমন কোনো ঘটনা আছে তাও তিনি জানেন না।

No comments

Powered by Blogger.