সাংবাদিক আজাদ রহমানের নামে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি, অন্যথায় জেলাব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষনা


 স্টাফ রিপোর্টার:সাংবাদিক আজাদ রহমানের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে, অন্যথায় জেলাব্যাপী কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। নিরাপদ সাংবাদিকতার দাবিতে জেলার সকল সাংবাদিক এখন রাজপথে। আমরা আজাদ রহমানের নামের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই, নিরাপদে সাংবাদিকতা করতে চাই। রবিবার বিকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের বাসষ্টান্ডে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি করেন উপস্থিত সাংবাদিকরা।কালীগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকদের আয়োজনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচি চলাকালে বক্তৃতা করেন বিশ্বাস আব্দুর রাজ্জাক, আলহাজ শহিদুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম রবি, মোস্তফা জলিল, জামির হোসেন, নয়ন খন্দকার, এম. শাহজাহান আলী সাজু ।  উপস্থিত ছিলেন চিত্রা নিউজের সম্পাদক সোলায়মান হোসাইন,এনামুল হক সিদ্দিক,মাাইটিভির জেলা প্রতিনিধি আনিচুর রহমান মিঠু।মিজানুর রহমান,সাবজাল হোসেন,জাকারিয়া হোসেন,রফিকুল ইসলাম মন্টু,জাকির হোসেন,সোহেল হোসেন, প্রমূখ। মানববন্ধনে একাত্বতা প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ বাস্তহারালীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ তোফাজ্জেল হোসেন । এ সময় কালীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন সহ অনেকে একাত্বতা প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ নেন। বক্তারা আরো উল্লেখ করেন, স্থানিয় কৃষি বিভাগের একটি অনিয়ম ও দূর্নীতি নিয়ে আজাদ রহমান প্রথম আলো পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ করেন। সেই সংবাদের সঠিক তদন্ত না করে কৃষি বিভাগ উপকারভোগিদের দিয়ে সাংবাদিকের নামে মিথ্যা ১২ টি মামলা দায়ের করেন। যার মধ্যে সংবাদ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা ১০ টি মামলা ইতিমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন সাংবাদিককে হয়রানি করতে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় আজাদ রহমানকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। আর এই কাজে কৃষি বিভাগ সরকারের মন্ত্রীদের নাম ব্যবহার করছে। মানববন্ধন থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। পাশাপাশি অবিলম্বে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। প্রসঙ্গত, সারা দেশের ন্যায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ ভুর্তকির মাধ্যমে কলের লাঙল কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেন। এই বিতরনে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির খবর ২০১৫ সালের মে মাসে প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই সংবাদ প্রকাশের পর স্থানিয় কৃষি বিভাগ তদন্তের নামে নাটক সাজিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন দেন। সাংবাদিক আজাদ রহমান তাদের সেই তদন্ত নাটক আবারো পত্রিকায় তুলে ধরেন। এরপর কৃষি বিভাগ নিজেদের অপরাধ ঢাকতে উপকারভোগিদের দিয়ে একটার পর একটা মামলা দায়ের শুরু করেন। যার বেশির ভাগ নিষ্পত্তি হলেও মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা চলছে।


No comments

Powered by Blogger.