কালীগঞ্জে বৃদ্ধি পাচ্ছে অবৈধ ইঞ্জিন চালিত যানবাহন তৈরির কারখানা দেখার কেউ নেই!! কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালীগঞ্জ কলা হাটার পশ্চিমে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের গা ঘসে গড়ে উঠেছে অবৈধ্য স্যালো ইঞ্জিন চালিত সবচেয়ে বড় রেজাউল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ। ওয়ার্কসপের মালিক রেজাউল ইসলাম এই কারখানা করে অল্প কিছু দিনের ব্যবধানে অনেক টাকার মালিক হয়েছেন। রেজাউলের ছোট ভাই গাজির বাজারে রফিকুলের গ্যারেজ, কালীগঞ্জ মেইন বাসষ্ট্যান্ডে ওলিয়ারের গ্যারেজ, কুদ্দুসের গ্যারেজ, সাইফুলের গ্যারেজ, রবিউলের গ্যারেজ, আজমেরী ওয়ার্কসপসহ অনেক ছোট-বড় বেশ কয়েকটি অবৈধ স্যালো ইঞ্জিন চালিত কারখানা। এসকল কারখানায় সরকারী কোনো অনুমতি ছাড়াই দিনরাত চলেছে ইঞ্জিনভ্যান তৈরির কাজ। এতে করে সরকার একদিকে যেমন বিপুল অঙ্কের টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে ব্যাপক শব্দ দুষণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কারখানার এক শ্রমিক নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানায় যে, আমরা প্রশাসনসহ সবাইকে টাকা দিই। ফলে এটা পত্রিকায় লিখে কোন কিছুই হবে না। আমাদের কাজ চলবেই। কেমন লাভ হয় জিজ্ঞেস করলে জানায়, আমরা মাসে ৩০ থেকে ৩৫টি ইঞ্জিনভ্যান, ব্যাটারি চালিত অটো ভ্যান, করিমন, আলমসাধূ ও লটাহাম্বার তৈরী করে থাকি। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, একটি ইঞ্জিনভ্যান তৈরি করতে সকল খরচ বাদে মালিকের লাভ হয় প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। শহরের এত কাছাকাছি সরকারের অনুমতি ছাড়াই এসব অবৈধ নসিমন, করিমন, ইঞ্জিনভ্যান, ব্যাটারি চালিত অটো ভ্যান তৈরি হলেও পুলিশ প্রশাসনের কোনো মাথা ব্যথা নেই। এ সব অবৈধ কারখানায় দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। আর এ কারনে প্রতিনিয়ত মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। ফলে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য পথচারীসহ সব বয়সী মানুষ। এসকল অবৈধ স্যালো ইঞ্জিন চালিত গাড়িগুলোর নেই কোনো হর্ন, ব্রেক ও গিয়ার। তাছাড়া অবৈধ ইঞ্জিন ভ্যান, নছিমন, করিমন, আলমসাধু, লটাহাম্বার, ব্যাটারি চালিত আটো ভ্যানের চালকরা অধিকাংশ অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু ও অদক্ষ চালক। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এসব অবৈধ যান তৈরি ও চলাচলে বিধি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রশাসনের কর্মকর্তারা না দেখার ভান করে রমরমা ভাবে চালাতে সাহায্য করছে অবৈধ যান তৈরির কারখানা। অভিজ্ঞ মহলের অভিমত, এসব অবৈধ যান তৈরির কারখানা বন্ধসহ অনতি বিলম্বে সড়কে এসব যান চলাচল বন্ধের ব্যবস্থা না হলে দুর্ঘটনার পরিমান বেড়েই চলবে। এর ফলে পাল্লা দিয়ে অকালে পথচারীদের প্রাণ হানি বেড়েই চলবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সূবর্ণা রানী সাহা বলেন, থ্রি-হুইলার ইঞ্জিন চালিত কোন যানবাহন মহাসড়কে চলার কোন অনুম্তি নেই । এগুলো এভাবে তৈরী করার কোন নিয়ম নেই। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ্য এর বিরুদ্ধে অবশ্যই মোবাইল কোর্ট মাধ্যমে আমরা ব্যবস্থা নিব।
No comments