৪০ বছর ধরে কালিগঞ্জের স্বুসাদু মেজদার জলযোগের রসগোল্লা ও ল্যাংচা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে
চিত্রা নিউজ ডেস্ক:৪০ বছর ধরে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের স্বুসাদু মেজদার জলযোগের রসগোল্লা ও ল্যাংচা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।নামটি অন্য মিষ্টির দোকানের চেয়ে আলাদা। ছোট একটি মিষ্টির দোকান। এক নামে চেনেন ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন এলাকার মিষ্টিপাগল মানুষ। টেবিলে সাজানো আছে বড় পাত্রে রসগোল্লা আর ল্যাংচা মিষ্টি। অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় পাত্রে রাখা মিষ্টি। প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ কেজি রসগোল্লা আর ল্যাংচা তৈরি হয় এখানে। দামে কম এবং গালের মধ্যে দিলেই রসগোল্লা ও ল্যাংচা গলে যাবে। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে জনপ্রিয় রসগোল্লা ও ল্যাংচা বিক্রি হয় এখানে। দেশের ঢাকা,চট্টগ্রাম,কুমিল্লা,বরিশাল ছাড়িয়ে এখন ভারতেও পাঠানো হচ্ছে মেজদার জলযোগের রসগোল্লা ও ল্যাংচা। হ্যা এই মিষ্টির দোকানটি ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা কোলা লাটা স্ট্যান্ডে অবস্থিত।কথা হয় মেজদার জলযোগের মালিক অশোক বিশ্বাসের সাথে। তিনি জানান, তার দোকানের সাদা রসগোল্লা আর বিশেষ ভাবে তৈরি ল্যাংচা মিষ্টি ব্যাপক চাহিদা। সাদা রসগোল্লা দেখতে সাদা এবং নরম, আর বিশেষ ভাবে তৈরি ল্যাংচা দেখতে পানতোয়ার মতো। তবে খেতে খুব সুস্বাদু। দেশের বিভিন্ন স্থানে এখানকার রসগোল্লা আর ল্যাংচা মিস্টি পাঠানো হয়। প্রতিদিন বিকাল থেকে এই মিষ্টি শুরু হয়। তিনি জানান, তার বাবা সুবোল বিশ্বাস আজ থেকে ৪০ বছর আগে থেকেই মিষ্টি তৈরি করে আসতো। বাবার পর তিনি দায়িত্ব নেন। জেলায় অন্য মিষ্টির দোকানে যে সকল রসগোল্লা পাওয়া যায় তার থেকে ভিন্ন তার মিষ্টি। অশোক জানান, তিনি গরুর খাটি দুধ থেকে পাওয়া ছানা দিয়ে রসগোল্লা ও ল্যাংচা তৈরি করেন। রসগোল্লার মধ্যে এলাচ,বেকিং পাউডার ব্যবহার করেন। তার তৈরি রসগোল্লা একেবারেই নরম। মুখের মধ্যে দিলেই গলে যাবে সহজে। একবার কেউ তার বানানো রসগোল্লা আর ল্যাংচা খেলে আরেকবার তাকে খেতেই হবে গ্যারান্টি।তিনি আরো জানান, প্রতিদিন ঘোষদের কাছ থেকে গরুর দুধ সংগ্রহ করে সেখান থেকে ছানা তৈরি করা হয়। প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ কেজি রসগোল্লা আর ল্যাংচা তৈরি করতে ৪০থেকে ৪৫ কেজি ছানা ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, মাত্র ১০০ টাকা কেজি দরে মিষ্টি বিক্রি করেন। এক কেজিতে বড় সাইজের মিষ্টি ১১ পিচ এবং ছোট সাইজের ২২ পিস দেওয়া হয়। বড় সাইজের একপিচ রসগোল্লা ১০ টাকা আর ছোট সাইজের ৫ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন বিকাল ৪টার দিকে মিষ্টি তৈরি শুরু হয়। রাত ১০ টার মধ্যেই গরম রসগোল্লা ও ল্যাংচা বিক্রি হয়ে যায়। তার দোকানের রসগোল্লা বা ল্যাংচা অন্য দোকানীরা কিনে নিয়ে গিয়ে বেশি দামে বিক্রি করেন। এত কম দামে মিষ্টি বিক্রি করে লাভ হয় এমন প্রশ্নের জবাবে অশোক বিশ্বাস জানান, মিষ্টি বানানো আমাদের জাত ব্যবসা। আমরা বেশি লাভে বিশ্বাসী না। অল্প লাভে বেশি পরিমানে বিক্রি করাই তাদের উদ্দেশ্য। এবং মিষ্টি প্রিয় মানুষের কাছে খাটি মিষ্টি তুলে দেওয়ায় তাদের লক্ষ্য।যশোর থেকে মিষ্টি কিনতে আসা ক্রেতা হাটগোপালপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তপন কুন্ডু জানান, তিনি কালিগঞ্জে আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে এসেছেন। আগেই শুনেছেন মেজদার জলযোগের রসগোল্লা অনেক জনপ্রিয় ও ভাল। তাই তিনি যশোর থেকে এসেছেন মিস্টি কিনতে। ১০ কেজি মিষ্টি নিয়েছেন মাত্র ১ হাজার টাকা দিয়ে।রামচন্দ্রপুর গ্রামের সাবেক মেম্বর ইলিয়াস হোসেন জানান, জলযোগের মিষ্টির ব্যাপক চাহিদা ও জনপ্রিয়তা রযেছে। প্রতিদিন দুর দরান্ত থেকে মিষ্টি নিতে আসেন লোকজন। এই শিক্ষক আরো জানান, অনেক সময় দেখা যায় জলযোগের রসগোল্লা কিংবা ল্যাংচা নিতে মানুষের সিরিয়াল দেখা যায়।মেজদার জলযোগের পাশের ফলের ব্যবসায়ী হাসিনুর রহমান জানান, প্রতিদিন বিকালে এখানে মিষ্টি কিনতে আসা লোকজনের ভিড় হয়। এখানকার মিষ্টি অনেক ভাল।তবে মিষ্টির কারিগরি অশোক বিশ্বাস জানান, তিনি বিশেষ পদ্ধতিতে মিষ্টি তৈরি করেন। এ সময় তিনি বলেন, চাহিদা অনুযায়ি ভাল মানের মিষ্টি হওয়ায় খুব শিঘ্রই বিদেশে তার মিষ্টি রফতানী হতে পারে।
সুন্দর পোষ্ট । ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে । বগুড়ার বিখ্যাত দই এবং ৫০+ রকমের সু-স্বাদু মিষ্টি নিয়ে এই সাইটটি দেখতে পারেন । জ্বিভে পানি আসবেই ।
ReplyDelete"অনলাইন দই & মিষ্টি সার্ভিস"