শ্মশান দখলের চেষ্টা এলাকা বাসীর তীব্র ক্ষোভ
Add caption |
চিত্রা নদীর পাড়ের এই শ্মশানের জায়গাটি দখলের চক্রান্ত চলছে। রেজাউল ইসলাম নামের স্থানিয় এক প্রভাবশালি শ্মশানের জায়গা দখল করতে ইতিমধ্যে সেখানে থাকা সবুজ ঘাষ কীটনাশক ছিটিয়ে মেয়ে দিয়েছেন। প্রচার করছেন লাঙ্গল দিয়ে জায়গাটি চাষ করে সেখানে ফসল ফলাবেন। বিষয়টি নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোনো সময় একটি বিশৃংখলা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশংকা করছেন গ্রামবাসি।
বুধবার সরেজমিনে কাদিরকোল ওই শ্মশানে গিয়ে দেখা যায়, চিত্রা নদীর পাড়ে এই জায়গাটির অবস্থান। নদীর পশ্চিমে কালুখালী শ্মশান, উত্তর-পশ্চিমে মধুপুর শ্মশান। একটু দূরে কাদিরকোল উত্তরপাড়া শ্মশান। পাশাপাশি তিন/চারটি গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এই শ্মশানগুলো ব্যবহার করে থাকেন। ওই শ্মশান কমিটির সভাপতি শ্যামল কুমার বিশ^াস জানান, চিত্রা নদীর পাড়ের এই জায়গাটিতে তারা শত বছরের অধিক সময় ব্যবহার করে থাকেন। তাদের কয়েক পুরুষ এই স্থানেই সমাধী করা রয়েছে। জায়গাটি নদীর পাড় হলেও এটা শ্মশান হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। নদীর পাড়ে ব্যক্তি মালিকানার জমির সিমানা ভেদ করে রয়েছে ৩৫ শতক খাস জমি। এই জমিটিই শ্মশান হিসেবে চিহ্নিত।
শ্যামল কুমার বিশ^াস আরো জানান, তাদের এই শ্মশানের উপর ব্যক্তি মালিকানার ১৪ শতক জমি আছে। এই জমির মালিক কাদিরকোল গ্রামের জনৈক আনছার আলী। তিনি জমিটি বিক্রি করতে চাইলে তারা শ্মশান কমিটির পক্ষ থেকে ক্রয় করতে চান। ৪৫ হাজার টাকায় চুক্তি হয় এবং ৫ হাজার টাকা বায়না দেন। কিন্তু জমির মালিক অন্যের চক্রান্তে পরবর্তীতে জমিটি তাদের আর দেয়নি। তাদের গ্রামের রেজাউল ইসলাম জমিটি ক্রয় করেন। এরপর রেজাউল ইসলাম শ্মানের জমি দখলে তৎপর হন। ইতিমধ্যে তিনি শ্মশানের জমির সবুজ ঘাষ মেরে সেখানে চাষযোগ্য করার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি নিয়ে তারা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ওই গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন দীর্ঘদিন ধরেই জায়গাটি শ্মশান হিসেবে ব্যবহার করেন। এখন এতো জায়গা শ্মশানের কিসের প্রয়োজন এই অজুহাতে পাশের জমির মালিক দখল করতে চাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে তারা ইতিপূর্বে গ্রামে একটি সালিস করেছেন শ্মশানের জমি এভাবে কেউ নিতে পারে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে রেজাউল ইসলাম জানান, জমিটি খাস। শ্মশানের জন্য এতো জমি প্রয়োজন হয় না। তারা ১০ শতক জমি দিতে চেয়েছেন। বাকি জমি উপরের জমির মালিকরা ব্যবহার করবেন। আর সবুজ ঘাষ মেরে দেওয়ার বিষয়ে জানান, ওই স্থানে ঘাষ থাকলে মানুষ গরু-ছাগল বেঁধে রাখে। তখন উপরের জমির ফসলও নষ্ট হয়। তাই মেরে দিয়েছেন। এখনই দখলে না গিয়ে গ্রামবাসির সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।
No comments