আমি থাকবো না, কিন্তু আমার শ্রম এক দিন মানুষের কলাণে আসবে- কালীগঞ্জে মজিদ মন্ডলের বজ্রপাত প্রতিরোধে তালের আটি রোপন

এম, শাহজাহান আলী সাজু : প্রাকৃতিক সোন্দর্য্য বৃদ্ধি, বিপর্যয় রোধ, বজ্রপাত প্রতিরোধসহ নানা লক্ষ নিয়ে নিজ উদ্যোগে বছরের পর বছর সরকারী সড়কের পাশে তালের আটি রোপন করে চলেছে প্রকৃতি প্রেমিক আব্দুল মজিদ মন্ডল। সে ধারাবাহিকতায় রবিবার দেড় কিলোমিটার সড়কের দুধারে প্রায় পাঁচ শতাধিক তালের আটি রোপন করা হয়েছে। আর এ কাজে অব্যাহত সহযোগিতা করছেন কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাগণ। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জাহিদুল করিমে এর সার্বিক তত্বাবধানে উপজেলা এলাকায় সর্বত্র চলতি মৌসুমে তালের আটি রোপন কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলেও নিয়ামতপুর ইউনিয়ন এলাকায় একার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে একটু ভিন্নভাবে। নিয়ামতপুর ইউনিয়নে দায়িত্বরত উদিয়মান উপসহকারী কৃষি অফিসার এনায়েত কবির বাদশা ও শাহিন আলমের নিরলস প্রচেষ্টা আর অতি আগ্রহী প্রকৃতি ও বৃক্ষপ্রেমীক কৃষক আব্দুল মজিদ মন্ডল এলাকার বিভিন্ন সড়কে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন। রববিার নগর চাপরাইল ডাকঘর হতে বলাকান্দও খাল পর্যন্ত তালের আটি রোপনকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র বসু সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম, উপসহকারী কৃষি অফিসার এনায়েত কবির বাদশা ও শাহিন আলমসহ স্বানীয় জনপ্রতিনিধি ও ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ।মহেশ্বরচাঁদা গ্রামের মৃত আব্দুল সবুর মন্ডলের ছেলে আব্দুল মজিদ মন্ডর জানান, বজ্রপাত প্রতিরোধ, প্রাকৃতিক সোন্দর্য্য বৃদ্ধি, বিপর্যয় রোধ, ছায়া সুশিতল বাংলাদেশ গঠনে নিজ ইউনিয়ন এলাকায় প্রতিবছর তালের আটি রোপন করেন। এবারও কয়েক দফায় ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কে প্রায় দেড় হাজার তালের আটি রোপন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, মৌসুমের শুরু থেকে একাধিক গ্রামে বাড় বাড়ি গিয়ে তালের আটি সংগ্রহ করা হয়। অনেকে দিতে না চাওয়ায় সংগ্রহ বাড়াতে গ্রামের মহিলা ও শিশুদেও নিকট থেকেএক থেকে দুই টাকা দওে একটি কওে আটি কিনেছেন। একদিন আমি থাকবো না, কিন্তু আমার এ শ্রম কোন এক দিন মানুষের কলাণে আসবে বলে মজিদ মন্ডল স্বপ্ন দেখেন।

No comments

Powered by Blogger.