সহজেই হ্যাক করা যায় ইভিএম, বললেন মার্কিন বিজ্ঞানী


ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন তথা ‘ইভিএম’ এমনিতেই বেশ বিতর্কিত। প্রচুর আলোচনা ও সমালোচনা রয়েছে এই প্রযুক্তির স্বচ্ছতা নিয়ে। হ্যাক করে এই ব্যবস্থাকে ইচ্ছেমত ব্যবহার করা যায়, এরকম খবর প্রকাশিত হয়েছে অনেক। এবার সেই বিতর্কের পালে হাওয়া যোগালেন এক মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী এলেক্স হাল্ডারম্যান। তিনি দেখিয়েছেন যে, ট্রেস করার কোন উপায় না রেখেই কত সহজে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন হ্যাক করে ভোটের ফলাফল কিভাবে পরিবর্তন করা সম্ভব। বোস্টনের এক প্রযুক্তি সম্মেলনে তিনি একথা বলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
এই প্রক্রিয়াটি প্রমাণ করার জন্য তিনি একটি ছায়া নির্বাচন আয়োজন করেন। নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী তিন জন জর্জ ওয়াশিংটনের পক্ষে ভোট দেন। কিন্তু হ্যাকিংয়ের শিকার মেমোরি কার্ডে ফলাফল আসে জর্জ ওয়াশিংটন পেয়েছেন ১ ভোট। অন্যদিকে বেনেডিক্ট আরনর্ল্ড পেয়েছেন ২ ভোট। সামরিক কর্মকর্তা বেনেডিক্ট রেভোল্যুশনারি ওয়ারের সময় গোপন তথ্য বিক্রির জন্য সুপরিচিত।
বিজ্ঞানী হাল্ডারম্যান ভোটিং মেশিনকে সহজেই হ্যাক করা যায় বলে দেখালেন। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২০টি অঙ্গরাজ্যে ব্যবহৃত হয়। এই মেশিনের কোন ব্যালট পেপার নেই। আর তাই ভোটের ফলাফল পাল্টে দিলে তা ধরার বা চ্যালেঞ্জ করার কোন উপায় থাকে না।
এদিকে বিজ্ঞানীর দেয়া তথ্যকে সত্যায়ন করছে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের একটি দল। তারা বলছেন, ‘রুশ এজেন্টরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গত নির্বাচনে অন্তত ২০টি রাজ্যে ভোটার রেজিস্ট্রেশন নেটওয়ার্কে হ্যাকিংয়ের চেষ্ট করেছে এবং অন্তত একটিতে তারা সফল হয়েছে।’
ঐ সম্মেলনে অন্যান্য গবেষকরা দেখিয়েছেন, ভোটিং মেশিং আসলেই হ্যাক করা সম্ভব। অথচ এখনো যুক্তরাষ্ট্রের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভোটার ভোটিং মেশিনের সাহায্যেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এই গবেষণায় নতুন পাওয়া তথ্যাবলী যে আমেরকিায় ইভিএম এর ব্যবহারকে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করবে তা বলাই যায়। সূত্র: এএফপি ও এনডিটিভি

No comments

Powered by Blogger.