জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার: বিরোধীপক্ষের আপত্তি; অনড় ইসি

চিত্রা নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক চলছেই। নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ইভিএমের পক্ষে থাকলেও ঘোর আপত্তি বিরোধীপক্ষের।এ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্টজনরা।
বিরোধী পক্ষের দাবি, ভোট কারচুপির অংশ হিসেবেই ইভিএম ব্যবহার করতে চায় সরকার। তাদের উদ্দেশ্য পূরণ করতেই বিরোধীপক্ষের আপত্তি সত্বেও ইভিএম ব্যবহারে অনড় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বিরোধী দল।
তবে, এখনও সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহারের পথেই এগুচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কর্মকর্তারা বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইভিএম অত্যন্ত ইতিবাচক ফল আনবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন। ইভিএম ব্যবহারে আইনগত কোনো বাধা নেই। তাই বিরোধীরা মামলা করলেও নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে, কতটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে, সে বিষয়ে আগামীকাল (শনিবার) কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।




সিইসি আরও বলেন, ইভিএমের মতো নতুন পদ্ধতি আমরা ব্যবহার করতে যাচ্ছি। কারণ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট দেয়া, পেপার পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার জটিলতা নিরসনের একটি পন্থা আমাদের বের করতেই হবে। নির্বাচন কমিশন বিশ্বাস করে, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের যে ঝামেলা, ইভিএম তা অনেকখানি নিরসন করতে পারবে। সে কারণেই ইভিএম চালু করতে চাই। 
এদিকে, নির্বাচন কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় কমিশন। তাই বিদ্যমান সব রকমের আইন প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা ভালো নির্বাচন পরিচালনা করবো।
আজ (শুক্রবার) সকালে বরিশালের বিডিএস মিলনায়তনে, নির্বাচন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময়, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতে কমিশন কাজ করছে বলেও জানান শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নানা আপত্তির পরও দলীয় সরকারের অধীনে এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল।



No comments

Powered by Blogger.