ঝিনাইদহ-৪ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আ’লীগের মনোনীত প্রার্থী ও জননন্দিত তরুণ সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনার

স্টাফ রিপোর্টার:সারা দেশে এখন চলছে ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া। ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী ও নির্বাচনী এলাকার জনগনের মধ্যে বিরাজ করছে প্রাণ চাঞ্চল্য। আওয়ামীলীগের সকল মনোনীত প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী এলাকা এখন গুছিয়ে নিচ্ছেন। সেই উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন কাজে লাগিয়ে যাচ্ছেন। তারা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সভা, সেমিনার এবং তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচারণা। ঝিমিয়ে পড়া নেতা-কর্মীদেরকেও জাগ্রত করছেন বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে। সারা দেশের মত নিজ আসন গোছাতে পিছিয়ে নেই ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ জননন্দিত তরুণ রাজনীতিবীদ আনোয়ারুল আজীম আনার। জনমত জরিপে এবং উন্নয়নের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ঝিনাইদহ-৪ (ঝিনাইদহ আংশিক-কালীগঞ্জ) আসনের সাংসদ আনার পূর্বের যে সব সাংসদ এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছে তাদের চেয়ে উন্নয়ন এবং জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১০ম নির্বাচনে জাতীয় সংসদকে সাজিয়েছেন তরুণ্য নির্ভর এক ঝাক এমপি ও মন্ত্রীর সমন্বয়ে। ওই সকল এমপি-মন্ত্রীদের নিরলস কাজের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে উন্নয়নের একটি রোল মডেল হিসেবে। বিশ্বের সল্পোন্নোত বিভিন্ন দেশ আজ বাংলাদেশকে তারা উন্নয়নের মডেল হিসেবে গ্রহণ করছে।তরুণ সাংসদদের মধ্যে একজন হলেন ঝিনাইদহ-৪ (ঝিনাইদহ সদর আংশিক-কালীগঞ্জ) আসনের এমপি আনার। তিনি তার মেধা, শ্রম, যোগ্যতার মাধ্যমে দুই উপজেলার মানুষের কাছে নিজেকে সপে দিয়েছেন। দিন-রাত সার্বক্ষণ তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের কথা নিয়ে ভাবেন। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় নিজে মটর সাইকেল চালিয়ে চসে বেড়ান। খুঁজে বের করেন বিভিন্ন সমস্যা। যেখানে সমস্যা, সেখানেই তিনি, নিজের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যান সমস্যার সমাধান করার জন্য। তার কাছে যদি কোন নেতা-কর্মী কিংবা তার নির্বাচনী এলাকার কোন সাধারণ জনগণ তাদের দাবী-দাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসেন, তখন তিনি তাদের সমস্যাগুলো মন দিয়ে শোনেন। তারপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তার কাছে কোন রাজনৈতিক ভেদা-ভেদ নেই। যে কোন দলের লোক তার কাছে যেতে পারেন। সহজেই বলতে পারেন তাদের কথা। এ জন্যই এই এলাকার সাধারণ মানুষ বলছেন যে, এই আসনের সাবেক যে সমস্থ এমপিদের যে জনপ্রিয়তা রয়েছে, তাদেরকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন এমপি আনার। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র তার নিজের যোগ্যতার কারণেই। তিনি ঝিনাইদহ সদর আংশিক ও কালীগঞ্জ এলাকার মাটি ও মানুষের সাথে মিশে গেছেন। তারা যে কোন সমস্যায়, যে কোন সময়ে তারা তাকে তাদের পাশে পান।

এমপি আনার তার নির্বাচনী এলাকায় (ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জ) থেকে মদ-গাঁজা, ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, জুয়া-তাশ খেলাসহ সকল প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কঠোর হস্তে দমন করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরের বলয়ের মধ্যে নিয়ে এসছেন। এমনকি এই দুই উপজেলায় বাল্য বিবাহ নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি, যা শতভাগের কাছাকাছি চলে এসেছে। যে কোন সময় শতভাগ বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা সম্ভব হবে এই দুই উপজেলাকে। এছাড়াও তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করছেন। বিদ্যুৎ, রাস্তাÑঘাট, পুল-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার ব্যাপক সংস্কার সাধন করেছেন। দুই উপজেলার মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলার বালক ও বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী নলডাঙ্গা ভূষন ও মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রী কলেজে সরকারী করণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়া কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের সামনে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধুনিক একাডেমিক ভবন নির্মাণ, কালীগঞ্জ শহরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নতুন অবয়বে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন স্থাপন, এবং হাসপাতালে একটি সরকারী এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেন। কালীগঞ্জ নতুন বাজার এলাকায় ব্রিকফিল্ড নামক স্থানে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম স্থাপন করেছেন। অপরদিকে তার বড় মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন বছর খানেক আগে কালীগঞ্জ মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত মূমুর্ষ রোগীদের নিজে এ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে রোগীদের যশোহর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌছে দেন। গত দুই মাস আগে তার নির্বাচনী এলাকার একটি মরদেহ ঢাকা থেকে গ্রামের কাঁদাযুক্ত রাস্তায় এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার না চালাতে চাইলে নিজে এ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে মরদের শোকাহত পরিবারের বাড়িতে পৌছে দেন। এইসব কারনে তিনি এই আসনের জনগনের কাছে এতো জনপ্রিয়। বিগত বছরগুলোতে যারা সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তাদের সকলের চেয়ে জনগণের কাছে অনেক জনপ্রিয় সাংসদ হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। তারা তাদের মনি কোঠায় ঠাই দিয়েছেন। তাকে সবার চাইতে একটু আলাদাভাবেই নিচ্ছেন এই আসনের জনগণ। তারা এমপি আনারকে এবারও এই আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চাচ্ছেন।

জনমত জরিপ করতে গিয়ে কথা হয় কালীগঞ্জ উপজেলার রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক আলী হোসেন অপুর সাথে। তিনি বলেন, এই আসনের সাবেক যে কোন এমপির চেয়ে তিনি আলাদা। তাকে আমরা যে কোন সময় কাছে পাই। তিনি আমাদের সকল দুঃখ-দুর্দশা শোনেন এবং সাধ্যমত মিটানোর চেষ্টা করেন।তার কাছে কোন শ্রেণী ভেদা-ভেদ নেই। তিনি ধনি-গরীব, উঁচু-নীচু সকলের মাঝে বিরাজ করেন। শোনেন তাদের কথা। এছাড়া তিনি এলাকার সন্তান। তার রয়েছে নাড়ীর টান। এ জন্যই তিনি সবসময় এলাকায়-ই থাকেন। যদিও প্রয়োজনে ঢাকায় যান, তখন তিনি কাজ সেরে দ্রুত নির্বাচনী এলাকার মানুষের মাঝে ফিরে আসেন। আরেকটা কথা উল্লেখ না করলেই নয় সেটা হলো এলাকায় কোন মানুষ মারা গেলে যে কোন মাধ্যম দিয়ে যদি তিনি জানতে পারে তাহলে তখনই মটর সাইকেল চালিয়ে হাজির হন মৃতের বাড়িতে শরিক হন জানাজায়। তদ্রুপ হিন্দু বা অন্যান্য সম্প্রাদায়ের কেউ মারা গেলে হাজির হন সেখানে এবং শোকহত পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন ও শোক জ্ঞাপন করেন। মৃত বাড়িতে হাজির হওয়া ও জানাজায় অংশগ্রহন করা তার অনেক পুরানো অভ্যাস জীবনে যে কতোগুলো জানাজায় অংশগ্রহন করেছে তার হিসাব মিলানো কষ্ট। কালীগঞ্জ পৌরসভার (ভারপ্রাপ্ত) মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের এমপি সাহেবের সাংগঠনিক কর্মকান্ড অত্যন্ত চমৎকার। তিনি শুধু আমাদের সাথেই যোগাযোগ রক্ষা করেন না, ওয়ার্ড থেকে গ্রাম পর্যায়ের নেতা-কর্মী এবং দলের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সাধারন মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। দুই উপজেলার আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা বিগত দিনের চেয়ে বর্তমানে অনেক শক্তিশালী। এমপি আনারকে পেয়ে সর্ব সাধারনের মাঝে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। যদিও অন্যদের নাম শোনা যায়। কিন্তু তারা তার জনপ্রিয়তার ধারে-কাছেও কেউ নেই। আমরা আশাবাদী এবারও সে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে এ আসন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেবেন।কালীগঞ্জ পৌর আওযামীলীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি ফরিদ আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এমপি আনারের জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকার একাধিক কারণ উল্লেখ করে বলেন, তিনি সব সময় নিজ এলাকায় থাকেন এবং সাধারণ জনগণের দুঃখ, দুর্দশা শোনেন ও লাঘবের চেষ্টা চালান। এছাড়াও তার নিজস্ব যোগ্যতার কারণে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। আর এ জন্যই তারা এবার তাকে এ আসনের জন্য প্রতিনিধি হিসেবে চাচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে আনোয়ারুল আজীম আনার বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে মনে করছেন তিনি।
তিনি জননন্দিত তরুণ এই সাংসদের সাফল্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আগে চারদলীয় জোট সরকার এই এলাকায় ত্রাসের রাজ্যত্ব কায়েম করেছিলো। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই এলাকায় শান্তি বিরাজ করছে।এই এলাকার গরীব মানুষের মাঝে ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক, দুস্থ্য ভাতাসহ সকল প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা নিজ হাতেই নিশ্চিত করেন। অন্য কারো উপর তিনি নির্ভর করেন না। নিয়মিত নির্বাচনী এলাকায় সময় দেন। সন্ত্রাস, মদ-গাঁজাসহ সকল অপরাধ কঠোর হস্তে দমন করেছেন। তার এ সাংগঠনিক কর্ম দক্ষতার জন্যই তিনি এবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরো জানান, আমরা এমন এক নেতা পেয়েছি যা ৪২ বছরেও পাইনি। তিনি দল-মত নির্বিশেষে সকলের মাঝে বিরাজ করছেন। এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি আমাদের মাঝে থাকবেন বলে আশা করছি।ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জের জনপদ ছিল একটি সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য। তার স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি নিজেও চারদলীয় জোট সরকারের একটি মিথ্যা হত্যা মামলার আসামী হয়ে কারা বরন করতে হয়েছে। অপরাধ কোন কিছুই ছিলো না। কিন্তু আজকে জননেত্রী, বিশ্বনেত্রী এবং মমতাময়ী মা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই উপজেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা এবং সকলের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক)-এ কোটি কোটি টাকার কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদন করেছেন। যার নাম দেয়া হয় ” উন্নয়ন প্রকল্প”। এর মাধ্যমে এই এলাকার প্রত্যান্ত অঞ্চলের প্রতিটি অলি-গলির উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে। এছাড়াও জননন্দিত তরুন এই সাংসদের প্রচেষ্টায় সারা দেশের সাথে কালীগঞ্জকে সম্পৃক্ত করেছেন। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচিত হয়ে তিনি নিজের চেষ্টা, মেধা ও যোগ্যথার মাধ্যমে দুই উপজেলার উন্নয়নে সাধ্যমত কাজ করবেন। এছাড়া তিনি এবার এ আসনে নির্বাচিত হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী হয়ে সারা জীবন কাজ করে যাবেন এ অঞ্চলের মানুষের জন্য। কারণ তিনিই আমাদের অভিভাবক। আমাদের ভাল-মন্দের সবকিছু তিনি দেখেন। তাই তিনি দলের প্রয়োজনে যে সিদ্ধান্ত নিবেন আমি এবং আমার মত নেতা কর্মিরা মাথা পেতে নিবো।এবারের সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ (ঝিনাইদহ সদরের আংশিক-কালীগঞ্জ) আসনে পুনরায় সাংসদ আনোয়রুল আজীম আনার বিজয়ী হওয়ার পথ অনেকটাই কন্টকমুক্ত। কারণ জনগনের জনমত জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং তার মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতার দ্বারা ঝিনাইদহ-৪ আসনের দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে শৃঙ্খলা বোধের মাধ্যমে দল গোছাতে সক্ষম হয়েছেন। এ জন্যই তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে ধারণা করছেন দুই উপজেলাবাসী।

No comments

Powered by Blogger.