কোটচাঁদপুরে ফুল চাষিদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে ফেব্রুয়ারির তিনটি দিবসকে সামনে রেখে
তবিবুর রহমান, কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ)॥
সামনেই পহেলা ফাল্গুন, ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি। এই দিনগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুলের চাহিদা থাকে প্রচুর পরিমাণে। আর এই উপলক্ষকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার ফুল চাষিরা। জমিতে সেচ, সার প্রয়োগ ও পরিচর্যায় দিন কাটছে তাদের চাষের জমিতে।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, এ বছর ফুল চাষ হয়েছে ৩৮৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে গোলাপ ৯ হেক্টর, গাঁদা ৩৩০ হেক্টর, রজনীগন্ধা ৩৩ হেক্টর, গ্লাডিওলাস, ১১ হেক্টর, জারবেরা ১.৫ হেক্টর ও লিলিয়াম ১ হেক্টর জমিতে।
সারা বছর ফুল উৎপাদন করলেও বসন্ত, ভালোবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি বাজার ধরাটাই থাকে চাষিদের মূল লক্ষ্য। আর এ তিনটি দিবসে ফুল বিক্রি করেই মূলত সারা বছরের লাভ লোকসানের হিসেব মেলান ফুল চাষিরা।ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার ইকড়া গ্রামের ফুল চাষি রফিক উদ্দীন বলেন, ২ বিঘা জমিতে গাঁদা ফুলের আবাদ করেছি। ফেব্রুয়ারির বাজার ধরতে এখন জমিতে ওষুধ স্প্রে করছি। ক’দিন পর বাজার ভালো পাওয়ার আশা করছি।
একই গ্রামের কৃষক আদম আলি জানান, তিনি ১ বিঘা জমিতে গোলাপ ফুলের চাষ করেছেন। এখন জমিতে সেচ ও সার দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ২ থেকে ৩ টাকা দরে গোলাপ ফুল বিক্রি হচ্ছে। ভালোবাসা দিবসে ফুলের দাম ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রির আশা করছি।
এদিকে পাশপাতিলা গ্রামের হায়দার আলী বিশ্বাসের ছেলে ফুল চাষি জহির উদ্দীন জানান, তিনি এবার ১ বিঘা জমিতে গাঁদা ফুলের আবাদ করেছেন। সামনের তিনটা দিবসে বাজারে বেশী দামে বিক্রয় করার আশায় রাতদিন পরিচর্যা করে যাচ্ছেন। তিনি ১ বিঘা জমির ফুল তিনটা দিবসকে সামনে রেখে ৪০-৫০ হাজার টাকা বিক্রয় করবেন বলে আশা করছেন।
কোটচাঁদপুর উপজেলার কৃষক আদম আলী, রফিক উদ্দিন ও জহির উদ্দীনের মতো ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠে ফুল চাষি কৃষকরা দিন-রাত পরিশ্রম করছেন ফলন ও দাম ভালো পাওয়ার আশায়।
ফুলচাষি তরিকুল ইসলাম বলেন, ফুল খুবই লাভজনক চাষ। সামনে ভালো দাম পাব এই আশায় পরিচর্যা করছি। ফেব্রুয়ারির ২য় সপ্তাহ থেকেই ফুলের চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে। বিশেষ করে আমাদের ঝিনাইদহ জেলার ফুলের গুণগত মান ভালো থাকায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন স্থানে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তবে ফেরিঘাটের জ্যামের সমস্যার কারণে অনেক সময় ভোগান্তি পোহাতে হয়।
কোাটচাঁদপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আগের তুলনায় এবার বেশিই ফুল চাষ হচ্ছে এ উপজেলায়। ফুলচাষিদের ফলন ভালো পেতে উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, পরিমিত সারের ব্যবহার, সময়মতো সেচ প্রদানের পরামর্শসহ সকল প্রকার প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করা হচ্ছে আমাদের কৃষি বিভাগ থেকে। দাম ভালো পাওয়ায় এ এলাকার কৃষক দিন দিন ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
সামনেই পহেলা ফাল্গুন, ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি। এই দিনগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুলের চাহিদা থাকে প্রচুর পরিমাণে। আর এই উপলক্ষকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার ফুল চাষিরা। জমিতে সেচ, সার প্রয়োগ ও পরিচর্যায় দিন কাটছে তাদের চাষের জমিতে।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, এ বছর ফুল চাষ হয়েছে ৩৮৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে গোলাপ ৯ হেক্টর, গাঁদা ৩৩০ হেক্টর, রজনীগন্ধা ৩৩ হেক্টর, গ্লাডিওলাস, ১১ হেক্টর, জারবেরা ১.৫ হেক্টর ও লিলিয়াম ১ হেক্টর জমিতে।
সারা বছর ফুল উৎপাদন করলেও বসন্ত, ভালোবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি বাজার ধরাটাই থাকে চাষিদের মূল লক্ষ্য। আর এ তিনটি দিবসে ফুল বিক্রি করেই মূলত সারা বছরের লাভ লোকসানের হিসেব মেলান ফুল চাষিরা।ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার ইকড়া গ্রামের ফুল চাষি রফিক উদ্দীন বলেন, ২ বিঘা জমিতে গাঁদা ফুলের আবাদ করেছি। ফেব্রুয়ারির বাজার ধরতে এখন জমিতে ওষুধ স্প্রে করছি। ক’দিন পর বাজার ভালো পাওয়ার আশা করছি।
একই গ্রামের কৃষক আদম আলি জানান, তিনি ১ বিঘা জমিতে গোলাপ ফুলের চাষ করেছেন। এখন জমিতে সেচ ও সার দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ২ থেকে ৩ টাকা দরে গোলাপ ফুল বিক্রি হচ্ছে। ভালোবাসা দিবসে ফুলের দাম ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রির আশা করছি।
এদিকে পাশপাতিলা গ্রামের হায়দার আলী বিশ্বাসের ছেলে ফুল চাষি জহির উদ্দীন জানান, তিনি এবার ১ বিঘা জমিতে গাঁদা ফুলের আবাদ করেছেন। সামনের তিনটা দিবসে বাজারে বেশী দামে বিক্রয় করার আশায় রাতদিন পরিচর্যা করে যাচ্ছেন। তিনি ১ বিঘা জমির ফুল তিনটা দিবসকে সামনে রেখে ৪০-৫০ হাজার টাকা বিক্রয় করবেন বলে আশা করছেন।
কোটচাঁদপুর উপজেলার কৃষক আদম আলী, রফিক উদ্দিন ও জহির উদ্দীনের মতো ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠে ফুল চাষি কৃষকরা দিন-রাত পরিশ্রম করছেন ফলন ও দাম ভালো পাওয়ার আশায়।
ফুলচাষি তরিকুল ইসলাম বলেন, ফুল খুবই লাভজনক চাষ। সামনে ভালো দাম পাব এই আশায় পরিচর্যা করছি। ফেব্রুয়ারির ২য় সপ্তাহ থেকেই ফুলের চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে। বিশেষ করে আমাদের ঝিনাইদহ জেলার ফুলের গুণগত মান ভালো থাকায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন স্থানে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তবে ফেরিঘাটের জ্যামের সমস্যার কারণে অনেক সময় ভোগান্তি পোহাতে হয়।
কোাটচাঁদপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আগের তুলনায় এবার বেশিই ফুল চাষ হচ্ছে এ উপজেলায়। ফুলচাষিদের ফলন ভালো পেতে উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, পরিমিত সারের ব্যবহার, সময়মতো সেচ প্রদানের পরামর্শসহ সকল প্রকার প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করা হচ্ছে আমাদের কৃষি বিভাগ থেকে। দাম ভালো পাওয়ায় এ এলাকার কৃষক দিন দিন ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
No comments