ঝিনাইদহ পিটিআই সুপার খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহ পিটিআই ২০১৮ সালের খুলনা বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ পিটিআই নির্বাচিত হয়েছে। শুধু শ্রেষ্ঠ পিটিআই নয় সেই সাথে শ্র্রেষ্ঠ হয়েছে ঝিনাইদহ পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট আতিয়ার রহমান। এই দিয়ে সে পর পর দুই বার শ্রেষ্ঠ পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট নির্বাচিত হন।আতিয়ার রহমান ২০১৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝিনাইদহে পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট পদে যোগদান করে। সে যোগদানের পর থেকে সততা, সৎ সাহস ও সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে পিটিআইটিকে দেশের একটি সেরা পিটিআইতে রুপান্তরের ব্রত নিয়ে অদম্যভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সে স্থানীয় অর্থায়ন এবং সরকারি অর্থায়নে পিটিআই এর ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। পিটিআই এর ভেতরে প্রবেশ করলেই মন জুড়িয়ে যায়। এখানে বিরাজ করছে মনোরম ও নিরাপদ পরিবেশ। প্রশাসনিক ও একাডেমিক সঠিক ব্যবস্থপনার মাধ্যমে চলছে ১৮ মাস ব্যাপী ডিপিএড প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের ৬ বছর মেয়াদী শ্রেণি কার্যক্রম। পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি, পড়ালেখার মানের উন্নয়ন আশা ব্যঞ্জক হয়েছে। সে যখন পিটিআইতে যোগদান করে, তখন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭৫ জন মাত্র, যা বর্তমানে ৪৭৮ জন। ছাত্র-ছাত্রীদের এ প্লাস ও বৃত্তি প্রাপ্তির সংখ্যাও সন্তোষজনক। বিদ্যালয়টিকে আদর্শমানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য তিনি রুটিন মোতাবেক ক্লাস গ্রহণ, সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যক্রম গ্রহণ ও ফ্রি বিশেষ কোচিং এর ব্যবস্থা করে । এছাড়াও ডিপিএড শিক্ষক ভর্তির সংখ্যা ছিল ২০১৪ সালে ৮৮ জন। তার দক্ষ ব্যবস্থাপনায় কর্তৃপক্ষ সন্তোষ্ট হয়ে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ২৪০ জন করেছে। ডিপিএড প্রশিক্ষণের মান ভাল এবং পাশের হার ১০০% (অধিকাংশই এ প্লাস প্রাপ্ত)। যোগদানের পরেই সে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে যেমন ব্যক্তিগত উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান তৈরি এবং স্থানীয় অর্থায়নে বেস্টনী নির্মাণ, দৃষ্টিনন্দন শিশুপার্ক তৈরি, স্থানীয় অর্থায়নে পিটিআই অভ্যন্তরে প্রায় ১০০ গজ সংযোগ সড়ক স্থাপন, আইসিটি ল্যাব ও লাইব্রেরি আধুনিকায়ন, ওয়াই-ফাই জোন স্থাপন, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য আকর্ষণীয় ‘শিশুস্বর্গ’ নামক কক্ষ স্থাপন, পিটিআই জামে মসজিদ সংস্কার, মেরামত ও আধুনিকায়ন, মসজিদের সম্মুখের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে মাটি ভরাট ও ফলজ বাগান তৈরি, প্রত্যেক ইন্সট্রাক্টর এর জন্য আলাদা আলাদা ডেস্ক-এ বসে শ্রেণি পাঠদানের পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য আধুনিক ব্যবস্থা, শ্রেণিকক্ষ ও ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম সহ সেমিনার কক্ষ সুসজ্জিত, অভিভাবকদের বসার জন্য বেঞ্চ এবং ছাউনি তৈরি, সমগ্র প্রতিষ্ঠানে শিক্ষামূলক বাণী সংযোজন, সিসি ক্যামেরা ও ডিজিটাল হাজিরা স্থাপন করেছেন। তাছাড়া বিশেষ ভাবে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ক কর্নার স্থাপন করেছে। এখানে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সংক্রান্ত বহু বই সংরক্ষণ করে, সেগুলো শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের পড়ার সুন্দর ব্যবস্থা করেছে। সে নিজে ‘বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা: কিছু ভাবনা ও করণীয়’ বিষয়ক গ্রন্থের লেখক। আতিয়ার রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন শাস্ত্রে বিএ (সম্মান) এবং এমএ ডিগ্রী লাভ করে। এছাড়াও সে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড ডিগ্রী অর্জন করে। সে ইতিপূর্বে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও সাতক্ষীরা পিটিআইতে অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে। জানা গেছে তার বাড়ি মেহেরপুর জেলা গাংনী উপজেলায়। এছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা- নিয়ে তিনি সর্বদা চিন্তা-ভাবনা করেন এবং তা বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০১৮ প্রতিযোগীতায় শ্রেষ্ঠ পিটিআই এবং শ্রেষ্ঠ পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তার জন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন যাতে জাতীয় পর্যায়ে ঝিনাইদহ পিটিআই ২০১৮ সালের শ্রেষ্ঠ পিটিআই নির্বাচিত হতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.