ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবে হামলা, সাংবাদিককে হত্যার হুমকী

স্টাফ রিপোর্টার-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবে ইউপি চেয়ারম্যান ও দলিল লেখক নাসির চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও প্রেসক্লাবের এক সদস্যকে মারপিট করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সন্ত্রাসীরা এই ঘটনা ঘটায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা একটি ল্যাপটপ ভাংচুর, আরেকটি ল্যাপটপ ও বেশ কিছু মুল্যবান কাগজপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। যাবার সময় কোটি টাকা খরচ করতে হলেও প্রেসক্লাবের সদস্য বাবুল আক্তারকে হত্যা করা হবে বলে হুমকী দিয়ে যায়।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবারই সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ এক জরুরী সভায় মিলিত হন। সভায় এই ঘটনার নিন্দা জানান। পাশাপাশি সন্ত্রাসী নাসির চৌধুরীর শাস্তির দাবি করেন। রাতেই প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী নাসিরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
প্রেসক্লাবের সদস্য, প্রতিদিনের কথা পত্রিকার কালীগঞ্জ প্রতিনিধি বাবুল আক্তার জানান, তিনি দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় কালীগঞ্জ শহরের নিমতলাস্থ প্রেসক্লাবের অফিস কক্ষে একা বসে সংবাদ লেখার কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ নাসির চৌধুরীর নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী প্রেসক্লাব অফিসে প্রবেশ করে। নাসির চৌধুরী অফিস কক্ষে প্রবেশ করেই তাকে মারার জন্য নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশ পেয়ে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এক পর্যায়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ল্যাপটপ দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে। এ সময় তিনি টেবিলের উপর লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা প্রেসক্লাবের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। তারা যাবার সময় প্রেসক্লাবের ড্রয়ারে থাকা একটি ল্যাপটপ ও কিছু মুল্যবান কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
বাবুল আক্তার আরো জানান, ঘটনার সময় সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার জন্য নির্জনে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। তারা কলার ধরে টেনে-হেঁচড়ে দুইতলা থেকে নিচে নামিয়ে গোপন স্থানে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায় স্থনিয়রা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানিয় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। বাবুল আক্তার জানান, নাসির চৌধুরীর সঙ্গে তার কোনো বিরোধ হয়নি।
এ বিষয়ে প্রেসক্লাবের সভাপতি এম. শাহজাহান আলী সাজু জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এই ঘটনায় বিচার দাবি করা হয়েছে। সন্ত্রাসী নাসির চৌধুরীর অবৈধ অর্থের উৎস্য কোথায় তা খুজে বের করা দাবি জানানো হয়েছে। যে পয়সা ব্যায় করে একজন সাংবাদিককে হত্যার হুমকী দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অবিলম্বে এই ঘটনার বিচার না হলে সাংবাদিকরা আরো কঠোর কর্মসুচিতে যেতে বাধ্য হবে।

No comments

Powered by Blogger.