হুমকির মুখে ইবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি

বিপ্লব খন্দকার, ইবি-
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের ৪০ লাখের কমিটির নেতা-কর্মীদের দলীয় ট্রেন থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২ টায় ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির রবিউল ইসলাম পলাশের নেতৃত্বে কিছু সংখ্যক নেতা-কর্মীরা দলীয় ট্রেনে এসে অবস্থান করেন। এসময় পদবঞ্ছিত গ্রুপের নেতা বিপুুল খান সহ দুই শতাধিক নেতা-কর্মীরা এসে তাদের কে জোরপূর্বক ট্রেন থেকে বাহির করে দেয় হয়।
জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের বিরুদ্ধে ৪০ লক্ষ টাকায় সম্পাদকের পদ গ্রহণ, শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য, নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠে এসেছে সমাজিক যোগাযোগ (ফেইসবুক) মাধ্যমে। ইতোপূর্বে এসকল অভিযোগের দায়ে পলাশ ও রাকিব কে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত ঘোষণা করেছে পদবঞ্ছিত গ্রুপেরা। পরবর্তীতে রাকিব ক্যাম্পাসে ডুকলে তাকে দেশিও অস্ত্র ও লাঠি সোটার মাধ্যমে ধাওয়া দিয়ে বাহির করে দেওয়া হয়। শারদীয় দূার্গা পূজার ছুটি শেষে শনিবার ক্যাম্পাসের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও বর্তমান কমিটির কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য পলাশ তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে দলীয় ট্রেন এসে অবস্থান করছিলেন। এসময় পদবঞ্ছিত গ্রুপের নেতা-কর্মীরা বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারের দাবিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনের জন্য লিফলেট বিতরণ করতে দলীয় ট্রেনের দিকে আসেন। এসময় পদবঞ্ছিত গ্রুপের কর্মী বিপুল খান অকথ্য ভাষায় পলাশ ও তার নেতা-কর্মীদেরকে থ্রেট করে ট্রেন থেকে বাহির করে দেন। পলাশ তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রধান ফটক দিয়ে বাহির হয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল সিদ্দিক আরাফাতের নেতৃত্ব দলীয় ট্রেন থেকে একটি মিছিল বাহির হয়।
এসময় তাদের কে মিছিলে বলতে দেখা যায় ৪০ লাখের কমিটি মানি না মানবো না, হই হই রই রই রাকিব পলাশ গেলি কই, অবৈধ কমিটি মানি না, টেন্ডারবাজ চাঁদাবাজ রাকিব পলাশের ইবি ক্যাম্পাসে ঠাই নাই। পরবর্তীতে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেরে আবার দলীয় ট্রেন এ এসে মিলিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জুবায়ের মাহমুদ, মিজানুর রহমান লালন, ফয়সাল সিদ্দিক আরাফাত, অনিক, বিপুল খান, মোশাররফ হোসেন নীল, রাব্বাীসহ শতাধিক নেতাকর্মীর।
ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘পূজাার ছুটির পরে আমি আমার নেতাকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় করার জন্য ক্যাম্পাসে দলীয় ট্রেন গিয়ে অবস্থা করি। কিন্তু ছাত্রলীগের পদবঞ্ছিত গ্রুপের বিপুলসহ অন্যন্যরা এসে অস্বাভিক ভাষায় আমাকে ও আমার কর্মিদের কে ক্যাম্পাস থেকে বাহির হয়ে যেতে বলে। এবিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বাবিদ্যালয়ের প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় কমিটি অনতিবিলম্ব যেন এর তদন্ত করে সুষ্ঠ বিচার করে।

No comments

Powered by Blogger.