মানহানি মামলা


বিপ্লব খন্দকার, ইবি-
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান লালনের বিরুদ্ধে শিক্ষকের করা মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষককে সকল প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যহতির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা। সোমবার দুপুর পৌনে ২ টায় ক্যাম্পাসে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে এই বিক্ষোভ করে র্কমীরা।
জানা যায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ডিবিসি নিউজে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্থিরতা” বিষয়ক এক লাইভ সাক্ষাৎকার দেন ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান লালন। এসময় তিনি মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমানের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সাথে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের মূলহোতা, ছাত্রলীগের উপর পুলিশ দিয়ে গুলিবর্ষণ করানো আদেশদাতা, ছাত্র থাকাকালীন শিবিরের সাথে সম্পৃক্ততা সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলেন। লালনের দেওয়া এ বক্তব্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালীন শিবিরের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে ১০০ কোটি টাকার মানহানী মামলা দায়ের করেছেন ড. মাহবুব। গত ১৭ অক্টোবর কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইবি আমলী আদালতে মামলাটি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে লালনের নামে করা শিক্ষকের এই মামলা হয়রানীমূলক দাবি করে আজ (সোমবার) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে কর্মীরা। এসময় দলীয় টেন্ট (সংগঠনের বসার জায়গা) থেকে মিছিল বের করে কর্মীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা সাবেক প্রক্টরকে অভিযুক্ত দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জোর দাবি জানান। সমাবেশ শেষের এক পর্যায়ে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর সাথে দেখা করতে যান কর্মীরা। ফলে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়া দুপুরের বাস আটকা পড়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ভিসির সাথে সাক্ষাৎকালে কর্মীরা ড. মাহবুবের বিরোদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দেন তারা। এসময় ভিসি ড. মাহাবুব ও লালনকে নিয়ে এক টেবিলে বসে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে প্রধান ফটকের তালা খুলে দেয় আন্দোলনকারীরা।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান লালন বলেন, আমি সাক্ষাৎকারে ড. মাহবুবের ছাত্র সময়ের কথা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখ করার জায়গায় ভুলক্রমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলেছি। আর যেটির ভুল ধরে তিনি আমার নামে এই মানহানী মামলা করেছে। তবে আমি এটির স্থানীয় পত্রিকা সংশোধনী ও ফেইসবুকে স্টাটাস দিয়েছি। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে দেওয়া প্রত্যেকটা অভিযোগ তদন্ত করলে সত্যতা মিলবে।
এবিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, একজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা করার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তবে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বসে বিষয়টি দ্রুত সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

No comments

Powered by Blogger.