ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এ এস আই বায়েজিদ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলার বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি ও হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জীবনা গ্রামের আনিচুর রহমান লাল্টু।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের সাথে টাকা নিয়ে একটি মামলা চলে আসছিল। যা বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা আদালতে বিচারাধীন। এরই জের ধরে গত ৭ অক্টোবর দুপুরে বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই বায়েজিদ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে মামলার বাদী আনিচুর রহমান লাল্টুর বাড়িতে যায়। এসময় বায়েজিদ তার মোবাইল দিয়ে কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলামের পরিচয় দিয়ে (০১৮১৬-২০৪৫৪২) মোবাইল নম্বরে কথা বলে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলামের পরিচয় দেওয়া ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তি লাল্টুকে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধামকি দেয়। মামলা তুলে না নিলে মাদকসহ একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেয়। সেই সাথে মাদক দিয়ে ক্রস ফায়ারের ভয়ভীতি দেখায়। পরের দিন দুপুরে ঝিনাইদহ সদর থানার সামনে অবস্থান করা কালে লাল্টুর মোবাইল ফোনে আবারো ওই নম্বর থেকে পুনরায় হুমকি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন।
কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলামের সাথে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি বলেন, আমার এমন কোন নাম্বার নেই। ভূয়া পুলিশ কর্মকর্তা দিয়ে এই কাজটি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এএসআই বায়েজিদ হোসেন বলেন, আমি একটি ট্রাপে পড়েছিলাম। আমার মোবাইলে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম স্যারের পরিচয় দিয়ে লাল্টুর সাথে কথা বলতে চান। তাই আমি আমার ফোন দিয়ে তার সাথে কথা বলে দিয়েছি। তাদের মাঝে কি কথা হয়েছে তাও আমি জানি না।
সংবাদ সম্মেলনে, ভুক্তভোগীর স্বজন আরজান আলী, ইমদাদুল হক, মিলন আলী বিশ্বাস ও তানিয়া আফরোজ উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.