ঝিনাইদহে চেক জালিয়াতিসহ হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহে নাজির উদ্দিন ওরফে কামরুজ্জামান ও তার সহযোগী খোরশেদ তালুকদার এর বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতিসহ হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মানিক মিয়া নামের এক ঠিকাদার এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
তিনি অভিযোগ করেন বলেন, আমি প্রথম শেণীর একজন ঠিকাদার। দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ডিভিশনে সুনামের সাথে ঠিকাদারি ব্যবসা পরিচালনা করে আসিতেছি। আমার বিমাতা ভাই ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের মৃত রহিম মিয়ার ছেলে নাজির উদ্দিন ওরফে কামরুজ্জামান। আমার বিমাতা ভাই হইলেও তাকে আমি আপন ভাইয়ের মতো ¯েœহ ও সমাদর করতাম। সেক্ষেত্রে আমার বাড়িতে আসা যাওয়া থাকাসহ অবাদ চলাফেরা অবস্থান ছিল। এমতাবস্থায় আমার ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক লিমিটেড ঝিনাইদহ শাখা চলতি হিসাব নং ০৪৫২১০১০০০০০৫৩৬৮ এর চেক বইয়ের মোট ৫টি সাক্ষর বিহীন সাদা চেকের পাতা হারিয়ে যায়। যাহার সিডি নং ১০৯১২৭১, ১০৯১২৭২, ১০৯১২৭৩, ১০৯১২৭৪, ১০৯১২৭৫। পরবর্তীতে আমি খোজাখুজির পর না পেয়ে ঝিনাইদহ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। যাহার জিডি নং- ৪৬৮। তারিখ-০৮-০৪-২০১৯ইং। জিডি করার কিছুদিন পর খোরশেদ তালুকদার নামীয় বাদি হিসেবে আমার বিরুদ্ধে একটি উকিল নোটিশ করে। তার কিছুদিন পরে ২৪ লক্ষ টাকা আমার কাছে পাওনা হিসেবে আমার নামে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলার সাক্ষি হিসেবে আমার বিমাতা ভাই নাজির উদ্দিন ওরফে কামরুজ্জামান, পিতা- মৃত রহিম মিয়া, মাতা-মোছা জোছনা বেগম, গ্রাম-পোড়াহাটি, পোষ্টঃ পোড়াহাটি, উপজেলা ও জেলা ঝিনাইদহ এবং বর্তমান ঠিকানা দক্ষিণ কল্যানপুর, বাড়ি নং-০১, গলি নং-০১/ক, থানা- দারুস সালাম, জেলা- ঢাকা।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আমি বুঝতে পারি আমার বিমাতা ভাই এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার সাথে জড়িত। প্রকাশ থাকে যে, উক্ত ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করার পরও আমার এবং পরিবারের উপর বিভিন্ন লোক মাধ্যমে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে ঝিনাইদহ থানায় একটি জিডি করি। যাহার নং ৮৪৮। তারিখ- ১৫ অক্টোবর ২০১৯ইং।
এই ঘটনার এক পর্যায়ে বুজতে পারি আমার বিমাতা ভাই নাজির উদ্দিন ওরফে কামরুজ্জামান রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত এবং মামলার বাদি খোরশেদ তালুকদার নামে মামলার বাদিকে আমি ব্যাক্তিগতভাবে কোন চলাফেরা, পরিচয় ও কোনপ্রকার ব্যবসায়ি লেনদেন কখনও ছিল না এখনও নাই। এতে করে বোঝা যায় যে চেকের পাতা গুলি নাজির উদ্দিন ওরফে কামরুজ্জামান খোরসেদ তালুকদারের সাথে যোগসাজসে এহেন ষড়যন্ত্রমূলন মিথ্যা মামলা পূর্বক হয়রানি করছে। পরবর্তী পর্যায়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে আমার চেক উদ্ধারের জন্য ঝিনাইদহ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।
নাজির উদ্দিন ওরফে কামরুজ্জামান আমার বিমাতা ভাই। গত বিশ বছর পূর্বে আমাদের পিতা মারা যান। মারা যাওয়ার এক পর্যায়ে নিজ গ্রাম পোড়াহাটিতে অন্যের পানের বরজে কৃষি কাজ করাসহ বিভিন্ন ধরণের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো কামরুজ্জামান । আনুমানিক ০৮/১০ বছর পূর্বে সে ঢাকায় যায়। ঢাকায় যাওয়ার বেশ কিছু দিন পর তার জীবনের আমূল পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনের কারণে তার গ্রামে আলিসান বাড়ি, অবৈধ অনেক টাকার মালিক বনে যায়। আমার উত্তরাধীকার সূত্রে প্রাপ্ত দুই মৌজায় দুইখন্ড জমি যাহার আনুমানিক ৩৭ লক্ষ টাকা মূল্যের জমি নিজ নামীয় করে দেওয়ার কথা বলে। যার বিনিময় সে ঢাকার কল্যানপুর এলাকায় একটি ফ্লাট ক্রয় করিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত কোন প্লাট, জমি ও নগদ টাকা কোনোটাই দেইনি। বর্তমানে আমি এই বিমাতা ভাইয়ের অপকর্মে অতিষ্ট হয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সুষ্টু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

No comments

Powered by Blogger.