"মঘেরে দশে সাজকে " ভ্রমণরে স্মৃতকিথা

তরকিুল ইসলাম, ইবিঃ
মঘেরে দশে সাজকে রাঙ্গামাটি জলোর বাঘাইছড়ি উপজলোধীন সাজকে ইউনয়িনরে একটি প্রধান র্পযটন কন্দ্রে৷এটি রাঙ্গামাটি জলোর র্সবউত্তররে আর ভারতরে দক্ষণি পশ্চমিরে সীমান্ত ঘষেে অপরূপ প্রাকৃতকি সৌর্ন্দয্যে ভরপুর একটি উঁচু উপত্যকা ৷যার ভতির দয়িে লুসাই নদী প্রবাহতি৷ সাজকেরে উত্তরে ভারতরে ত্রপিুরা রাজ্য আর র্পূবে ভারতরে মজিোরাম রাজ্য৷ র্বতমানে র্পযটকদরে কাছে অন্যতম জনপ্রয়ি ভ্রমণ কন্দ্রে হয়ে উঠছেে এই সাজকে ভ্যালি ৷
মঘেরে দশে সাজকেে গয়িছেলিাম চার বছর আগ৷ে সময়টি ছলি ২০১৫ইং সালরে অক্টোবর মাসরে প্রথম সপ্তাহ ৷                                                           কুরবানীর ঈদরে সপ্তাহ খানকে পর, ট্যুর এ যাওয়া হবে পাহাড়ী দশে৷ে সুযোগ হাতছাড়া করলাম না৷  তখন পড়তাম  ঢাকার সরকারি বজ্ঞিান কলজেে ৷  থাকতাম র্ফামগটেরে র্পূব রাজা বাজার একটি মসে৷ে       
   আমাদরে ট্যুরটি ছলি রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জলোয়৷   আমরা ছলিাম প্রায় আশজিন৷  ঢাব,ি বুয়টে আর সরকারী বজ্ঞিান কলজেরে ছাত্র ছলিাম সবাই ৷  অক্টোবররে এক তারখি রাত দশটায় শ্যামলী পরবিহনরে দুটি বাসে করে রওয়ানা হলাম৷ পররেদনি সকালে ৭টার দকিে আমরা পৌঁছাই খাগড়াছড়ি শহর৷ে সকালরে নাস্তা সরেে উঠলাম চাঁদরে গাড়তিে (কউেবা বলে চান্দরে গাড়)ি ৷ প্রথমদনিরে লক্ষ্য ছলি বকিালরে মধ্যে সাজকে পৌঁছানো ৷     
  মঘেরে দশে সাজকে রাঙামাটি জলোয় অবস্থতি হলওে রাঙ্গামাটি শহর থকেে দুরত্ব প্রায় ১৩০কমিি আর খাগড়াছড়ি থকেে প্রায় ৭০ কমিি ৷ তাই সাজকে যতেে হলে খাগড়াছড়ি শহর থকেে যাওয়া সবচয়েে সুবধিাজনক ৷ যাইহোক, এই ৭০কমিি এর মধ্যর্বতী স্থান বাঘাইছড়ি ৷ শহর থকেে ৩৫কমিি , আর বাঘাইছড়ি থকেে সাজকে ৩৫কমিি (সনোবাহনিীর অধীনে নর্মিতি)৷ বাস বা পরবিহণে করে  দীঘনিালা র্পযন্ত সরাসরি যাওয়া যায় এবং দীঘনিালা থকেে সাজকেরে দূরত্ব প্রায় ৪৯ কলিোমটিার । আর রাঙামাটি থকেে নৌপথে কাপ্তাই হয়ে এসে অনকে পথ হঁেটে সাজকে যাওয়া যায় । সাজকে রাঙামাটি জলোয় অবস্থতি হলওে এর যাতায়াত সুবধিা খাগড়াছড়ি থকে৷ে  খাগড়াছড়ি শহর অথবা দীঘনিালা হতে স্থানীয় গাড়তিে ( জপি গাড়ি , স.িএন.জি , মটরসাইকলে ) করে সাজকেে যাওয়াই হচ্ছে র্বতমানে সবচযে়ে সহজ ও জনপ্রযি় মাধ্যম । এক্ষত্রেে পথে পড়বে বাঘাইহাট পুলশি ও র্আমি ক্যাম্প। সখোন থকেে ভ্রমণরত সদস্যদরে তথ্য দযি়ে সাজকে যাবার মূল অনুমতি নতিে হবে । একে র্আমি এসর্কট বলা হয় । র্আমগিণরে পক্ষ থকেে গাড়বিহর দ্বারা র্পযটকদরে গাড়গিুলোকে নরিাপত্তার সাথে সাজকে পৌঁছে দযে়া হয় । দনিরে দুইটি নর্দিষ্টি সময় (সকাল ১০:৩০ এবং বকিাল ৩:৩০) ব্যতীত র্আমি ক্যাম্পরে পক্ষ হতে সাজকে যাওয়ার অনুমতি দযে়া হয় না । র্পযটকদরে র্সবাধকি নরিাপত্তা নশ্চিতি করার জন্যই এই নযি়ম অনুসরণ করা হয় । সাজকেগামী জপি গাড়গিুলো স্থানীয়ভাবে চান্দরে গাড়ি নামে পরচিতি । সাজকে যাওয়ার পথে বাঘাইহাটে হাজাছড়া র্ঝণা অবস্থতি । অনকে র্পযটকগণ মূল রাস্তা হতে সামান্য ট্রকেংি করে গযি়ে র্ঝণাটরি সৌর্ন্দয উপভোগ করে থাকনে ৷
সাজকেগামী  উঁচুনচিু পাহাড়রে বুক চড়িে  এই আঁকাবাঁকা রাস্তাগুলি ঠাঁই করে নয়িছে৷ে পথে পড়বে তনিটি র্ঝণা আর আলুটলিার গুহা ৷  আমরা হাজাছড়া র্ঝণা, রসিাং র্ঝণা ও দ্বতৈছড়া র্ঝণাগুলতিে গলোম৷ দ্বতৈছড়া র্ঝণার পথটা অনকে সরু আর পথে একটি বশিাল বটবৃক্ষ পড়ব৷েএসবগূলি দখেতে দখেতে এগোতে  থাকলাম   সাজকে ভ্যালীর দকিে ৷ আমরা সাজকে পৌঁছাই দুই অক্টোবর বকিাল চারটায়৷  দুপুররে খাবাররে কথা না বললইে নয় , উপজাতদিরে রস্তেোরা ৷ ছলি ভাতরে সাথে মুরগীর মাংস, ডমি ভাজা , ডাউল আর বাশঁ ভাজ(িকচি বাশঁের কোড়ল) ৷ খাবাররে মূল্য ১০০—২০০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাক৷ে                                                       
 রাতে থাকলাম কাঠনর্মিতি ঘর৷ে র্বতমানে অনকে আবাসকি হোটলে ও রসর্িোট নর্মিাণ করা হয়ছে৷ে আছে সৌর্ন্দযমন্ডতি  কটজে৷ উল্লখেযোগ্য রসর্িোটগুলরি মধ্যে রয়ছেে প্যারাডাইজ সাজকে, মঘেপুন্ঞ্জি রসর্িোট, রয়লে রসর্িোট, মঘে বালকিা রসর্িোট, মঘে কাব্য রসর্িোট, শন্ঞ্জিন রসর্িোট, সনিারী হোটলে প্রভৃত৷ি আর সনোবাহনিী পরচিালতি একমাত্র রসর্িোট রুণময় রসর্িোট, এখানে থাকতে হলে প্রথম শ্রণেরি সরকারি অফসিার র্কতৃক রকিমান্ডডে হয়ে আসতে হয়৷ভাড়া পড়বে রুমপ্রতি  ৫০০০ — ৭০০০ টাকা, যখোনে প্রতি রুমে ৪জন থাকা যায় ৷ আর সঙ্গিলে রুমে দুই জন করে থাকা যায়,  ভাড়া পড়বে ৩০০০— ৪০০০টাকা ৷ তবে অফ সজিনে ৩০% ছাড় পাওয়া যায়৷সাজকেে প্রধানত লুসাই, পাংখোয়া, ত্রপিুরা আদবিাসীরা বসবাস কর৷েএখানকার  কলা ও কমলা বখ্যিাত, পাহাড়ে ভ্রমণে এগুলো অত্যাবশ্যকীয় খাবার হসিবেে সুপরচিতি৷সাজকেরে আবাসকি রোডরে পাশে একটি গর্জিা রয়ছে,ে অধকিাংশ খ্রষ্টিান র্ধমরে অনুসারী হওয়ায় এখানে নানাবধি র্ধমীয় আচার অনুষ্ঠান করা হয়৷বদ্যিুতরে সুব্যবস্থা না থাকায় সোলার পদ্ধততিে বদ্যিুতরে ব্যবস্থা করা হয় ৷ পানরি উৎস হসিবেে র্ঝণাই প্রধান, র্ঝণা থকেে পানি সংগ্রহ করে নয়িে যাওয়া হয়৷ আর যোগাযোগরে জন্য রবি ও টলেটিক মোবাইল নটেওর্য়াক ব্যবহার করতে হয়, অন্য কোন অপারটের এখানে নটেওর্য়াক পায় না৷
 পররে দনি সকালে আমি একটূ তাড়াতাড়ইি ঘুম থকেে উঠছেলিাম৷ একাকী হাটতে লাগলাম সাজকে র্আমি ক্যাম্পরে দকি৷ে মসজদিে ঢুকলাম ফজর  নামাজরে আযানরে সাথে সাথ৷ে এটি রাঙ্গামাটরি র্সব উত্তররে র্সবশষে র্আমি ক্যাম্প ও মসজদি ৷ মসজদিে উপস্থতি ছলিনে ইমাম ,  ক্যাম্প কমান্ডারথ মজের(মুয়াজ্জনি)৷ অনকে বষিয়ে উনাদরে সাথে আলাপ হলো৷ জানালনে পাহাড়রে অনকে ইতহিাস  আর পাহাড়ী মানুষদরে জীবনযাত্রা  সর্ম্পক৷ে আমার কাছে ছলি লাল রঙরে  গামছা , গলায় ঝুলয়িে রাখা যনে বঙ্গবীর কাদরে সদ্দিীকি বীর উত্তম সাহবেরে র্পাটরি লোক ৷ মজের সাহবে একখানা টূপি আমার মাথায় পড়য়িে গামছা দয়িে পাগড়ী বাধার মত বধেে দলিনে৷ অবশ্য এতক্ষনে অনকে সন্যৈ মসজদিে প্রবশে করছেনে, অতপর জামাতরে সহতি নামাজ শষে করে আবার আলাপ হলো ইমাম আর ক্যাম্পরে এক সনো সদস্যরে সাথ৷ে
সাজকেরে অধকিাংশ রসর্িোটগুলো  রুইলুই পাড়ায়, এই পাড়ার গোড়াপত্তন হয় ১৮৮৫ সাল৷ে অপর পাড়াটি কংলাক পাহাড়রে চূড়ায় কংলাক পাড়া৷ সকাল সাতটার দকিে সবাই  ভ্যালীর হ্যালি প্যাডে এসে পৌঁছালো৷ ভ্যালীর হলেপ্যিাড থকেে নচিরে দকিে তাকালে শুধু মঘেই চোখে পড়ব৷ে এখানে সনোবাহনিী নয়িন্ত্রতি দুটি হ্যালি প্যাড রয়ছে৷ে ঘন্টা খানকি পর আমরা রওয়ানা হলাম ক্যাম্প থকেে উত্তর পশ্চমিে প্রায় তনি কমিি দূরে র্দূগম পথ পরেয়িে কংলাক পাহাড়রে চূড়ায়৷ যার উচ্চতা সমতল থকেে প্রায় ১৮০০ ফুট এবং সাজকে ভ্যালীর রুইলুই পাড়ার  উচ্চতা  প্রায় ১৭২০ ফুট৷ কংলাক পাহাড়রে পথটা  আঁকা বাঁকা রাস্তা হওয়ায় নশিানা হসিবেে লাল নশিানাধারী দুজনকে সামনে থাকার সদ্ধিান্ত হল৷ তার একজন আমার সবকি এর বড়ভাই লাল পান্জাবী পরহিতি পটুয়াখালীর দশমনিার সুবক্তা জনাব মোঃ শরফুদ্দনি ভাই , ঢাবি (ফলতি পর্দাথ বজ্ঞিান), অন্যজন ছলিাম গলায় লালগামছা ঝুলানো আম৷ি  মঠেোপথ পরেয়িে সাজকে ভ্যালি থকেে কংলাক পাহাড়ে যতেে সময় লাগত এক থকেে দড়ে ঘন্টা , র্আমদিরে লাগত ৪০-৫০মনিটি ৷  র্বতমানে সাজকে ভ্যালী থকেে প্রায় দুই কমি.ি রাস্তা পাকা করা হয়ছেে ৷ বাকী আরও আ

No comments

Powered by Blogger.