জাঁকজমক আয়োজনে ইবিতে ‘সঞ্জীবনী-৩৩ ব্যাচ ডে উদযাপিত

বিপ্লব খন্দকার, ইবি-
জাঁকজমক আয়োজনে শীতের শুভ্র সকালে ঘড়িতে তখন ১০টা ছুঁইছুঁই। হঠাৎ ক্যাম্পাসে ঢাকঢোলের শব্দ। চারদিকে শিক্ষার্থীদের গায়ে সাদা টি-শার্ট, হাত-মুখে আবির রঙে মাখা। এরপর ব্যাপক উদ্দীপনায় নতুন বর্ষের কেক কাটা, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ক্যাম্পাসে আনন্দ র‌্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ব্যাচ ডে উপলক্ষে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির একটি বছর পার হওয়ায় দিনটি আনন্দ-
উল্লাসের মধ্য দিয়ে উদাযাপন করতে অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসেবে ছিল ‘সঞ্জীবনী- ৩৩তম ব্যাচ’।
ব্যাচ ডে উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিত হতে থাকেন ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বরে। সেখান থেকে বের হয় আনন্দ র‌্যালি। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাংলা মঞ্চে গিয়ে সমাবেত হয়।
র‌্যালি শেষে সকাল বেলা ১২টার দিকে বাংলামঞ্চে ‘সঞ্জীবনী- ৩৩তম ব্যাচ’ এর অভিষেক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুপুরে প্রীতিভোজ শেষে ‘সঞ্জীবনী’ ৩৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ফ্লাশমব ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর রশিদ আসকারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ।
সঞ্জীবনী’ ৩৩তম ব্যাচের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ইজাজ মাহমুদ অনিক ও লোক প্রশাসন বিভাগের ফারাহ শারমিন বিন্দু আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন।
‘সঞ্জীবনী’ ৩৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিয়াদ বলেন , ‘আজকের এই অভিষেক অনুষ্ঠান ও সঞ্জীবনী ৩৩তম ব্যাচের অংশ হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আমাদের এই ব্যাচ ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের অগ্রগতিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।’

No comments

Powered by Blogger.