সংবাদ সম্মেলনে শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নিয়মবর্হিভূত ভাবে বরখাস্তের অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থের উদ্দেশ্যে সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ঝিনাইদহের শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিনকে নিয়মবর্হিভূত ভাবে বরখাস্তের অভিযোগ উঠেছে পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ২০১৭ সালের ৪ জুলাই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। এরপর থেকেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, শিক্ষাদান, শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। যোগদানের ১১ মাস পর ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান প্রধান শিক্ষক পদ না পাওয়ার কারণে কিছু কর্মচারী ও শিক্ষকদের সাথে নিয়ে দিলারা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এমনকি টাকা আত্মসাৎ মামলা দায়ের করে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের একটি অডিট টিম তদন্ত করে তার সত্যতা পায়নি। তারপরও থেমে থাকেনি সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানের ষড়যন্ত্র ও নির্যাতন। এর কয়েকদিন পর অফিস কক্ষে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় দিলারা ইয়াসমিন বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। যে মামলায় ওই বিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষক ও কর্মচারী জেল হাজতে রয়েছেন। এরই জের ধরে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তৈয়বুর রহমান খান গত ২৮ জানুয়ারি রাতের আধাঁরে পাশের একটি বিদ্যালয়ে মিটিং করে প্রধান শিক্ষককে সাময়কি বহিস্কার করার আদেশ দিয়েছেন। এই আদেশ ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে করা বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। দিলারা ইয়াসমিন এর সঠিক বিচার দাবী করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে কৈফিয়ত তলব, জবাবপত্র গ্রহণ, ব্যক্তিগত শুনানি ও আত্মপক্ষ সমর্থনের নিয়ম থাকলেও এসব নিয়ম উপেক্ষা করে কিভাবে বরখাস্তের সিন্ধান্ত নিয়েছেন এ বিষয়ে তৈয়বুর রহমান খানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

No comments

Powered by Blogger.