ইবির হল ডাইনিং এ খাওয়ানো হচ্ছে মুরগীর উচ্ছিষ্ট, কনজুমার ইয়ূথ

বিপ্লব খন্দকার, ইবি-
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলের ডাইনিং গুলাতে শিক্ষার্থীদের খাওয়ানো হচ্ছে পঁচা সবজি ও মুরগীর উচ্ছিষ্ট। বুধবার সন্ধায় কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ ইবি শাখা এক তদারকিতে এসব বিষয় গুলা ধরা পড়ে। হলের এসকল বিষয় সচেতন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে ইবি শাখার কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ খোলা চিঠি পাঠান।
কনজুমার ইয়ুথ সূত্রে, প্রশাসনের নিকট খোলা চিঠি টি হলো- সম্মানিত মহাদয়বৃন্দ আপনারা জানেন কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (CYB) গোটা বাংলাদেশের ৩৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সাল থেকে খাদ্যে ভেজাল ও ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা বুধবার সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে ক্যাম্পাসের সাদ্দাম হোসেন হল, লালন শাহ হল ও জিয়া হলে খাদ্যের গুনগত মান ঠিক আছে কিনা সেই বিষয়ে তদারকি করি। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখি সাদ্দাম হোসেন হলে মবিলের মতো তৈল, ১০ দিন আগের পোঁকে খাওয়া ফুল কপি, টয়লেটের রুমে চাল -ডাউলের বস্তা। এছাড়াও লালন শাহ হলের ফ্রিজ থেকে মরা মুরগীর উচ্ছিষ্ট এবং নিম্নমানের পিঁয়াজ-রসুনের গুদাম দেওয়া হয়েছে। তাই কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ ইবি শাখা সাধারণ শিক্ষার্থীদের খাদ্যের গুনগত মান নিশ্চিত করণে নিম্নে ৫ টি দাবি তুলে ধরছি। ১ হলের ডাইনিং ম্যানেজাররা যদি খাদ্যের মান পরিবর্তন না করে তাহলে তাদের পরিবর্তে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেন।

২ ডাইনিংয়ের আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ৩ খোলা শরীরে খাবার পরিবেশন বন্ধ করতে হবে। ৪ খাদ্যের সঠিক মুল্য তালিকা দিতে হবে। ৫ নিরাপদ ও ভেজাল মুক্ত খাদ্য পরিবেশন করতে হবে।
উল্লেখ্য: খাদ্যে ভেজাল দেওয়া একটি মারাত্বক অপরাধ, কারণ খাদ্যে ভেজাল মরণব্যাধি কিডনি ডিজিস, হার্টঅ্যাটাক, ব্লাডক্যান্সার সহ অনেক রোগের জন্যে দায়ি।
লালন শাহ হলের ডাইনিং ম্যানেজার শাবুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বাজার থেকে মুরগি ক্রয় করে আনার পর তার মাথা, পা, চামড়া এসব পরিস্কার করার সময় পায় না। যার কারনে ওগুলা ঐ ভাবে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এলাকার গরিব মানুষের কাছে বিক্রয় করে দেওয়া হয়। আর পেয়াজ রসূনের দাম বেশি থাকায় কম দামের পেয়াজ রসুন একবারে ক্রয় করে এনে রেখে দিয়েছি।

No comments

Powered by Blogger.