বাড়িতে পাঁ রাখায় দ্বিতীয় দফা হামলার শিকার বাড়িছাড়া কোদালীয়াবাসি, বাপ-ছেলেকে একসঙ্গে পেটালো সন্ত্রাসীরা, আগুন দিলো ঘরে
চিত্রা নিউজ ডেস্ক-
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের ৮ ও ৯ নম্বর বেড। পাশাপাশি শুয়ে আছেন বাবা ইসমাইল বিশ্বাস (৫৫) ও ছেলে রতন বিশ্বাস (২৮)। সন্ত্রাসীরা এমনভাবে পিটিয়েছেন, বাবা বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না, আর ছেলে রতন বিশ্বাসের ডান হাতটি ভেঙ্গে গেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এদকল সন্ত্রাসী তাদের দু’জনকে বাড়িতে ফেলে বেধড়ক পিটিয়েছে। শুধু তাই নয় স্বামী-সন্তানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসায় গৃহীনি হাওয়া বেগমের শাড়ি টেনে বে-আব্রু করেছে সন্ত্রাসীরা। যাবার সময় তাদের রান্নাঘরে আগুন দিয়ে গেছে। যে আগুনে ঘরটি পুড়ে ছাই হয়েছে ঘরটি। ঘটনাটি ঝিনাইদহের কোদালীয়া গ্রামের গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার।
ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ করেছেন, তারা সামাজিক ভাবে নিজ ইউনিয়ন হরিশংকরপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাসুমের দল করেন। সম্প্রতি ইউনিয়নের দুইটি হত্যাকান্ডকে পুজি করে প্রতিপক্ষরা তাদের উপর হামলা, ভাংচুর লুটপাট অব্যহত রেখেছে। হত্যাকান্ডের পর কোদালীয়া গ্রামের ৪৪ টি পরিবারের পুরুষরা গ্রামছাড়া থাকলেও গত বুধবার গোপনে বাড়িতে আসেন। এই খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়দফা হামলা চালিয়ে ভাংচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বাড়িতে ফেরা মানুষগুলো বর্তমানে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। অবশ্য ইউনিয়নের চন্দ্রজানি, শিতারামপুর ও পরানপুর গ্রামের এখনও তিন শতাধিক পরিবারের পুরুষরা গ্রামছাড়া রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন বিকালে সাড়ে ৫ টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের হরিশংকরপুর গ্রামে একদল সন্ত্রাসীর হামলায় নিহত হন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের দুই নেতা আলাপ শেখ ও নুর ইসলাম। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। যে মামলার ১৬ জন আসামী ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশ বলছে, বাকি আসামী গ্রেপ্তারে তারা তৎপর রয়েছেন।
হরিশংকরপুরবাসি জানান, তাদের ইউনিয়নে দুইটি সামাজিক দল রয়েছে। একটির নেতৃত্ব দেন বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাসুম ও অপরটির সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ। এরা দু’জনই আওয়ামীলীগের নেতা। এই দুই নেতার লোকজনের মধ্যে মাঝে মধ্যেই সংঘর্ষ, বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। গত ১০ বছরে এই ইউনিয়নে উভয়পক্ষের ৫ জন জীবন দিয়েছেন। আর একটা হত্যাকান্ড ঘটার পর এলাকায় শুরু হয়ে যায় ভাংচুর ও লুটপাট। ঘটনায় জড়িত না থাকলেও সামাজিক দলভুক্ত লোকজনের বাড়িঘরও রক্ষা পায় না।
কোদালীয়া গ্রামের ইসমাইল বিশ্বাস জানান, আলাপ শেখ ও নুর ইসলাম হত্যাকান্ডের ঘটনার পর পাশ^বর্তী ৪ গ্রামে ভাংচুর হয়েছে। তাদের গ্রামেও কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করা হয়। ঘোষনা দেওয়া হয় মাসুম চেয়ারম্যানের লোকজন পেলেই মারা হবে। এই ভয়ে তারা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে তাদের নামে একটি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। তারা দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর গত বুধবার বাড়িতে ফিরেছিলেন। এই খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একদল সন্ত্রাসী তার বাড়িতে হামলা করে। তার ও তার ছেলেকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তার রান্না ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। সন্ত্রাসীরা এ সময় আরো যারা বাড়িতে ফিরেছিল তাদের অনেকের বাড়িতে হানা দিয়ে ভাংচুর করেছে। তাদের গ্রামের খোকন জোয়ার্দ্দারের, মহিলা মেম্বার ইতি আক্তার, মুন্সী আবু সাঈদ ও মিরাজ আলীর বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর করে। তারা নারীদের টানাহেচড়া করে বেআব্রু করে চলে যায়। এই ঘটনায় তিনি ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
হরিশংকরপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, হরিশংকরপুর গ্রামে হামলা পাল্টা হামলায় দুইজন খুন হওয়ার পর চার গ্রামের প্রায় ৪ শত পুরুষ বাড়ি ছাড়া হয়েছে। প্রতিপক্ষরা গোটা ইউনিয়নে ক্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। এরই জের ধরে কোদালীয়া গ্রামের যে ৪৪ টি পরিবারের পুরুষ শুন্য ছিল তারা পর্যাক্রমে বাড়ি ফিরলে বৃহস্পতিবার তাদের উপর আবারো হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এখনও চন্দ্রজানি, শিতারামপুর ও পরানপুর গ্রামের তিন শতাধিক পরিবারের পুরুষ মানুষগুলো বাড়ি ছাড়া রয়েছেন। যাদের মাঠের কৃষিকাজ বন্ধ রয়েছে। ধান রোপনের জন্য বীজতলা তৈরী করতে পারছেন না। মাঠের অন্যান্য ফসল নষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রশাসনের উচিত যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে নিরিহ মানুষগুলোকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা।
সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার ফরিদুজ্জামান ফরিদ জানান, হত্যাকান্ডের পর কিছু ঘটনা ঘটেছে। তিনি চেষ্টা করে এগুলো বন্ধ করেছেন। তিনি আরো জানান, সামাজিক দল করলেই একজন খারাপ হয় না, যে কারনে পালিয়ে যাওয়া অনেককে তিনি নিজে বাড়ি উঠিয়ে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিরিহ মানুষগুলোকে বাড়িয়ে ফেরত নিয়ে আসা। ইতিমধ্যে অনেককে বাড়িতে আসার সহযোগিতা করেছেন, বাকি যারা এখনও বাড়ির বাইরে আছেন তাদের নিয়ে আসারও চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। আর বৃহস্পতিবার কোদালীয়া গ্রামের নতুন করে যে ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। আবেদনটির আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
হরিশংকরপুরবাসি জানান, তাদের ইউনিয়নে দুইটি সামাজিক দল রয়েছে। একটির নেতৃত্ব দেন বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাসুম ও অপরটির সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ। এরা দু’জনই আওয়ামীলীগের নেতা। এই দুই নেতার লোকজনের মধ্যে মাঝে মধ্যেই সংঘর্ষ, বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। গত ১০ বছরে এই ইউনিয়নে উভয়পক্ষের ৫ জন জীবন দিয়েছেন। আর একটা হত্যাকান্ড ঘটার পর এলাকায় শুরু হয়ে যায় ভাংচুর ও লুটপাট। ঘটনায় জড়িত না থাকলেও সামাজিক দলভুক্ত লোকজনের বাড়িঘরও রক্ষা পায় না।
কোদালীয়া গ্রামের ইসমাইল বিশ্বাস জানান, আলাপ শেখ ও নুর ইসলাম হত্যাকান্ডের ঘটনার পর পাশ^বর্তী ৪ গ্রামে ভাংচুর হয়েছে। তাদের গ্রামেও কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করা হয়। ঘোষনা দেওয়া হয় মাসুম চেয়ারম্যানের লোকজন পেলেই মারা হবে। এই ভয়ে তারা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে তাদের নামে একটি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। তারা দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর গত বুধবার বাড়িতে ফিরেছিলেন। এই খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একদল সন্ত্রাসী তার বাড়িতে হামলা করে। তার ও তার ছেলেকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তার রান্না ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। সন্ত্রাসীরা এ সময় আরো যারা বাড়িতে ফিরেছিল তাদের অনেকের বাড়িতে হানা দিয়ে ভাংচুর করেছে। তাদের গ্রামের খোকন জোয়ার্দ্দারের, মহিলা মেম্বার ইতি আক্তার, মুন্সী আবু সাঈদ ও মিরাজ আলীর বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর করে। তারা নারীদের টানাহেচড়া করে বেআব্রু করে চলে যায়। এই ঘটনায় তিনি ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
হরিশংকরপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, হরিশংকরপুর গ্রামে হামলা পাল্টা হামলায় দুইজন খুন হওয়ার পর চার গ্রামের প্রায় ৪ শত পুরুষ বাড়ি ছাড়া হয়েছে। প্রতিপক্ষরা গোটা ইউনিয়নে ক্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। এরই জের ধরে কোদালীয়া গ্রামের যে ৪৪ টি পরিবারের পুরুষ শুন্য ছিল তারা পর্যাক্রমে বাড়ি ফিরলে বৃহস্পতিবার তাদের উপর আবারো হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এখনও চন্দ্রজানি, শিতারামপুর ও পরানপুর গ্রামের তিন শতাধিক পরিবারের পুরুষ মানুষগুলো বাড়ি ছাড়া রয়েছেন। যাদের মাঠের কৃষিকাজ বন্ধ রয়েছে। ধান রোপনের জন্য বীজতলা তৈরী করতে পারছেন না। মাঠের অন্যান্য ফসল নষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রশাসনের উচিত যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে নিরিহ মানুষগুলোকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা।
সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার ফরিদুজ্জামান ফরিদ জানান, হত্যাকান্ডের পর কিছু ঘটনা ঘটেছে। তিনি চেষ্টা করে এগুলো বন্ধ করেছেন। তিনি আরো জানান, সামাজিক দল করলেই একজন খারাপ হয় না, যে কারনে পালিয়ে যাওয়া অনেককে তিনি নিজে বাড়ি উঠিয়ে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিরিহ মানুষগুলোকে বাড়িয়ে ফেরত নিয়ে আসা। ইতিমধ্যে অনেককে বাড়িতে আসার সহযোগিতা করেছেন, বাকি যারা এখনও বাড়ির বাইরে আছেন তাদের নিয়ে আসারও চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। আর বৃহস্পতিবার কোদালীয়া গ্রামের নতুন করে যে ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। আবেদনটির আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
No comments