সঙ্কটে ভূমিকা রাখার এখনই সময়

এম এ কবীর-
আল্লাহ সকল নবী-রাসুলকেই পরীক্ষায় ফেলেছেন। উদ্ধার করেছেন। যাতে দ্বীনপালনে পরবর্তী উন্মতেরা ধৈর্য্য ধারন করতে পারে। কষ্টসহিষ্ণু হতে পারে।
‘নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্য্য ধারনকারীদের সাথেই আছেন’। [সুরা আনফাল ঃ ৪৬]
ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। সমস্যা-সঙ্কট নিরসনে রয়েছে নির্দেশনা। মানুষের কৃতকর্মের কারণেই আজাব-গজব আর সমস্যা-সঙ্কট আসে।
কোরআনে বলা হয়েছে-
‘তোমাদের ওপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল। তিনি তোমাদের অনেক গুনাহ ক্ষমা করে দেন।’ (সূরা শূরা : ৩০)।
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন-
‘মানুষের কৃতকর্মের কারণে স্থলে ও সমুদ্রে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে। যাতে তিনি তাদের কৃতকর্মের কিছু শাস্তি আস্বাদন করান। যার ফলে তারা ফিরে আসবে।’ (সূরা রোম : ৪১)।
ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন-
হে মুহাজিররা! পাঁচটি কারণে পাঁচ ধরনের অবস্থার সৃষ্টি হয়Ñ
এক.
কোনো সমাজে প্রকাশ্যে পাপাচার হলে সেখানে এমন রোগ-ব্যাধি প্রকাশ পায়, যা তাদের পূর্বসূরীদের মধ্যে ছিল না।
যখন কোনো সম্প্রদায়ের শাসকরা আল্লাহর কিতাবের শাসন থেকে বিরত থাকে, তখন তাদের নিজেদের মধ্যেই যুদ্ধ ও সঙ্কট সৃষ্টি হয়।
যখন কোনো সম্প্রদায় জাকাত আদায় করা থেকে বিরত থাকে, তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। চতুষ্পদ জন্তু না থাকলে আসমান থেকে মোটেই বৃষ্টি হতো না।
যখন কোনো সম্প্রদায় ওজনে কম দেয়, তখন তাদের মধ্যে দুর্ভিক্ষ ও সঙ্কট সৃষ্টি হয়।
যখন কোনো সম্প্রদায় আল্লাহ ও রাসুলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন তাদের ওপর তাদের শত্রুদেরকে চাপিয়ে দেয়া হয়। ফলে তাদের অনেক সম্পদ তারা ছিনিয়ে নেয়। (ইবনে মাজা : ৪০১৯)
দুই.
কৃত গুনাহের জন্য খাঁটি তাওবা করা। কারণ, তাওবা ইস্তেগফারের মাধ্যমে বালা- মুসিবত দূর হয়।
কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছেÑ
‘আর আল্লাহ এমন নন যে, তারা ইস্তেগফার করবে অথচ তিনি তাদেরকে আজাব-গজব দিবেন।’ (সূরা আনফাল : ৩৩)।
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছেÑ
‘আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে ইস্তেগফার করো, তিনি মহা ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন। তোমাদেরকে সমৃদ্ধ করবেন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতিতে। তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান। প্রবাহিত করবেন নদী- নালা।’ (সূরা নুহ : ১০-১২)
হাদিস শরিফে নবীজি সা.ইরশাদ করেছেনÑ
যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে, তাকে আল্লাহ তায়ালা দুটি জিনিস দান করবেন। ১. যাবতীয় দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি থেকে মুক্তি দিবেন। ২. অকল্পনীয় জায়গা থেকে তাকে রিজিক দিবেন। (আবু দাউদ-১৫১৮)
তিন.
সামাজিক বন্ধন মজবুত করা। মুসলিম সমাজে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সবসময়ই মজবুত থাকবে।
হিজরতের পর মদিনায় মুহাজির সাহাবিদের সঙ্কট নিরসনে নবীজি আনসার সাহাবিদের সঙ্গে তাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে দেন।
আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) হিজরত করে মদিনায় আগমন করলেন। তখন নবীজী (সা.) সাদ ইবনে রবি আনসারী (রা.) এর সঙ্গে তার ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে দেন। (বুখারি : ৩৭২২)।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (সা.) ঘোষণা করতেনÑ
‘ঈমানদারদের কেউ ঋণ রেখে মারা গেলে তা পরিশোধের দায়িত্ব আমার ওপর। আর (ঈমানদারদের) কেউ সম্পদ রেখে মারা গেলে, সেই সম্পদ তার ওয়ারিশদের।’ (বুখারি ও মুসলিম)।
কর্জে হাসানা তথা সুদমুক্ত ঋণ দিয়েও সঙ্কট মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে পারেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
‘যদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান কর, তবে তিনি তোমাদের জন্য তা বহুগুণে বৃদ্ধি করবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন। আল্লাহ গুণগ্রাহী ও ধৈর্যশীল।’ (সূরা তাগাবুন : ১৭)
চার.
কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছেÑ
‘আপনি বলুন, কে তোমাদের স্থল ও জলের অন্ধকার থেকে উদ্ধার করেন, যখন তোমরা তাকে বিনীতভাবে ও গোপনে আহ্বান করো যে, যদি আপনি আমাদেরকে এ থেকে উদ্ধার করেন, তবে আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। আপনি বলে দিন, আল্লাহ তোমাদেরকে তা থেকে মুক্তি দেন এবং সব দুঃখ ও বিপদ থেকে। তথাপি তোমরা শিরক করো।’ (সূরা আনআম : ৬৩-৬৪)।
অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে-
‘অতঃপর আমি তার আহ্বানে সাড়া দিলাম এবং তাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনিভাবে ঈমানদারদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।’ (সূরা আম্বিয়া : ৮৮)।
পাঁচ.
দোয়া করার আগে আমরা দুই রাকাত সালাতুল হাজত পড়ে নিতে পারি।
সুনানে আবু দাউদ এর এক হাদিসে এসেছে-
রাসুল (সা.) এর সামনে যখন গুরুতর কোনো বিষয় আসতো, তিনি নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। (আবু দাউদ : ১৩১৯)।
আমারা পরিবর্তিত হচ্ছি না। অন্যের ভুল ধরাই আমাদের মজ্জাগত স্বভাবে পরিণত হয়েছে। ইসলামে বেশি বেশি আত্মপর্যালোচনা করার এবং ভিন্নমতের প্রতি সহনশীল হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
পৃথিবীতে পরিবর্তনের উত্তাল ঢেউ বইতে শুরু হয়েছে।
আকাশে-বাতাসে পরিবর্তনের এক অনুপম আবহ। পরিবর্তনের এই অন্তর্নিহিত তাগিদকে অনুধাবন করা অপরিহার্য। পরিবর্তন আত্মস্থ করতেই হবে।
যখন আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। ব্যাথায় কাঁতরাতে থাকবেন। ভেঙ্গে পড়বেন না। মনে রাখবেন, হযরত আইয়ুব (আঃ) আপনার চেয়েও হাজারগুন বেশী অসুস্থ ছিলেন।
আল্লাহ যে সকল উদ্দেশ্যে মানবজাতিকে পরিক্ষায় ফেলেন তার অন্যতম হলো নেতৃত্বের পরিবর্তন। নতুন নেতৃত্ব তৈরি।
সংকটের সময়ই নতুন নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। দুর্ভিক্ষ মোকাবিলার প্রেক্ষাপটে ইউসুফ (আঃ) কে নেতৃত্বে আনা হয়।
আমাদের নিকট ইতিহাসও তাই বলে। বৃটিশ না থাকলে ইকবাল, নজরুল পেতাম না।
শুন্যতা কারো জন্য অপেক্ষা করে না। আপনি না পারলে অন্য কেউ দ্রুত সে শুন্যতা পূরণ করবে। আমি প্রস্তুত না হওয়ার অর্থ আমি আল্লাহর অনুগ্রহ নিতে পিছিয়ে আছি।
কুরআন, সুন্নাহ ও ইতিহাস সাক্ষী, সংকটময় মুহুর্তে যারা সাহসী ভূমিকা পালন করে তাদেরকেই আল্লাহ দুনিয়ায় সম্মানিত করেন। নেতৃত্ব প্রদান করেন।
গাজী সালাইদ্দীনের ইতিহাস সেটাই স্মরণ করিয়ে দেয়।
যখন কোন যুক্তি দিয়েই আপনি কোন একটি অবস্থার পেছনের কারণ খুঁজে পাবেন না, তখন কোন প্রশ্ন ব্যতীতই স্মরণ করুন হযরত নুহ (আঃ) এর কথা। যিনি অসময়ে কিস্তি/নৌকা তৈরি করেছিলেন।
তিন মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। দীনপন্থীরা সময়ের দাবি পূরণে তাৎপর্যপূর্ণ কোনো ভূমিকা পালন করতে পারেনি। তারা বিভেদ আর বাগাড়ম্বরপূর্ণ বচনযুদ্ধে মগ্ন। ইচ্ছায় হোক আর নির্দেশনায় হোক নিরাপদে ওঠাবসা করাই প্রজ্ঞার পরিচয় গণ্য করা হলো। সামাজিক দুরত্ব হবে। না শারিরীক দুরত্ব। সেটাই বোঝা গেল না।
শুরুতেই কিছু বিজ্ঞ, জনপ্রিয় বক্তা করোনাকে আল্লাহর সৈনিক আখ্যা দিলেন। অনেকে মনে করলেন হতেও পারে।
বেশিরভাগ স্কলার ও ইসলামপন্থী এ সময়েও দীনের প্রচার। প্রসার। প্রশিক্ষণকেই বেশি গুরুত্ব দিলেন। পরিস্থিতির ব্যাপকতা। বহুমুখিতা। গভীরতা আঁচ করলেন না।
একে একে ইবাদত ব্যবস্থাপনা মুখ থুবড়ে পড়লো। হজ্জ। উমরা। তারাবীহ। খতমে কুরআন। মিম্বরের খুতবা। ইতেকাফ। জুময়ার নামাজ। ঈদের নামাজ। পাঁওয়াক্ত নামাজ। মসজিদ ব্যবস্থাপনা। যাকাত ব্যবস্থাপনা। ইলম চর্চা। ওয়াজ মাহফিল। তাবলীগের দাওয়াত । তালীম।পীর সাহেবের ওরশ। সবক। সবকিছু সংকুচিত হয়ে গেল। তা সত্বেও আল্লাহর ক্রোধের কারণ অনুধাবন অনুসন্ধানে মনোনিবেশ করা গেলনা। প্রায় সবাই ফেসবুক। ইন্টারনেট মুফতি হয়ে গেলেন। ভুলেই গেলাম আল্লাহর নির্দেশ -
‘অতএব যখনই তুমি অবসর পাবে, তখনই কঠোর ইবাদতে রত হও। আর তোমার রবের প্রতি আকৃষ্ট হও।’ (সুরা-ইনশিরাহ-৭-৮)
নিকৃষ্ট জায়গা বাজার। মানুষের উপস্থিতি নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য শোনা গেল না।
ইবাদতের জায়গা থেকে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়ে ফেসবুক। ইউটিউব। লেখা। কথা, আর কার্টুনের স্তুপ জমে গেল। আমতা আমতা করে সময় পার হলো।
একদিকে অভ্যন্তরীণ সমস্যা। অন্যদিকে কদর্য আক্রমণ। এমন কঠিন সময়েও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে দেখা গেল না । মহাসংকট পরিস্থিতিতেও আলেম সমাজ। ইসলামী নেতৃবৃন্দ একত্রে বসতে পারলেন না। সম্মিলিত সিদ্ধান্ত দিতে পারলেন না। দেশের লক্ষ লক্ষ আলেম। শিক্ষার্থী। ইসলামপন্থী ছাত্র। যুবক থাকার পরও সীমিত ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণ ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ দৃশ্যমান হলো না।
সর্বোত্তম কাজ কী ?
রাসূল (স.) থেকে বেশ কয়েকটি বর্ণনা পাওয়া যায় -
বলা হয়েছে, ‘ঈমান আনার পর সর্বোত্তম কাজ হলো সালাত আদায় করা।’
আবার বলা হয়েছে, ‘ঈমান আনার পর সর্বোত্তম কাজ হলো, ‘মকবুল হাজ্জ’।
অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘ঈমান আনার পর সর্বোত্তম কাজ পিতা-মাতার সেবা করা।’
অন্য হাদীসে এসেছে, ‘ঈমান আনার পর সর্বোত্তম কাজ জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ্।’
আবার বলা হয়েছে, ‘ঈমান আনার পর সর্বোত্তম কাজ মানুষকে খাবার খাওয়ানো।’
ইবনে কাইউম (র) বলেছেন, পরিস্থিতির আলোকে নির্ধারিত হয় কোন কাজ সর্বোত্তম। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ঈমানের পর নামাজ। সামর্থ থাকলে হজ্জ। পিতা-মাতা অসুস্থ থাকলে পিতা-মাতার সেবা। দেশ আক্রান্ত হলে জিহাদ। দেশে যখন দুর্ভিক্ষ চলে তখন মানুষকে খাবার খাওয়ানো সর্বোত্তম কাজ।
সুস্পস্ট নির্দেশনা থাকার পরও কাজের অগ্রাধিকার ঠিক করা গেল না। ব্যাপক প্রচার। কাউন্সিলিং-এর মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা। আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। দাফন-কাফনে সহযোগিতাকে যদি অগ্রাধিকার দেয়া হতো,বাংলাদেশে আজ যে মানবিক বিপর্যয় দেখা যাচ্ছে তা দেখতে হতো না।
কোনো গ্রামে ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র বা ইসলামপন্থী যুবকরা আক্রান্ত পরিবার, মৃতদের দাফন-কাফনের পক্ষে দাঁড়াতো তাহলে লাশ দাফনে বাধা দেয়া, আক্রান্তকে গ্রাম থেকে বের করে দেয়া। মাকে জঙ্গলে ফেলে যাওয়া। স্বামীকে ঘরে ঢুকতে না দেয়ার মতো ঘটনা এতো প্রকট হতো না। পরিস্থিতি এমন, ঘনিষ্ঠ লোকজন আক্রান্ত হওয়ার পর বা মারা যাওয়ার পর দীনদার লোকেরাও পাশে দাঁড়াতে সাহস পাচ্ছে না।
যদি নেতৃপর্যায় থেকে আলেম সমাজ। মাদ্রাসার ছাত্র। ইসলামপন্থী ছাত্র-যুবকদের জন্য স্ট্রং মোটিভেশন থাকতো তাহলে তারা অবশ্যই সাহসিকতার সঙ্গে ভূমিকা রাখতে পারতো। সবার মধ্যে যে পলায়নপরতা তা হতো না।

আমি নিজে যদি আক্রান্ত হই। মারা যাই। তাহলে কি আশা করি না আমার ঘনিষ্ঠজনেরা পাশে থাক! আমি যদি অন্যের পাশে না দাঁড়াই, তাহলে আমি কি করে আশা করবো, অন্যরা আমার পাশে দাঁড়াবে ? পিতা-মাতা। স্ত্রী-সন্তান। ঘনিষ্ঠজন কেউ আক্রান্ত হয় তাহলে আমি কি করব ? তাদের ছেড়ে চলে যাব ?
সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই আমাদের প্রো-এ্যাকটিভ ভূমিকা সংহত করা দরকার। আমাদের আরও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। হতে হবে ইনোভেটিভ। ক্রিয়েটিভ। এ্যাসারটিভ। লাগবে ডেডিকেশন। কমিটমেন্ট।
ইনটেলেকচুয়ালদের এগিয়ে আসতে হবে। কুরআন সুন্নাহর নির্দেশনাবলীকে পরিস্থিতির সঙ্গে কাস্টমাইজ করতে হবে। বিভিন্ন ডিসিপ্লি¬নের অভিজ্ঞদের সঙ্গে-সাথে বসতে হবে। ইনফরমেশন। নলেজের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে প্রজ্ঞা ও দূরদর্শি চিন্তার অনুশীলন করতে হবে। তাকওয়া। পদ-পদবি না থাকলেও দক্ষতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ইসলামের ইতিহাসে এর অনেক দৃষ্টান্ত আছে। সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদের কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
যখন ঘোর বিপদে পতিত হয়ে বের হয়ে আসার আর কোন উপয়ান্তর খুঁজে না পান, আশার শেষ আলোটুকুও দেখতে না পান, ভেঙ্গে পড়বেন না। মনে রাখবেন, হযরত ইউনুস (আঃ ) মাছের পেটের অন্ধকার প্রকোষ্ট থেকেও উদ্ধার হয়েছিলেন।
এম এ কবীর
সাংবাদিক,কলামিস্ট,সমাজচিন্তক
trynew70@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.