মাস্ক পড়া জরুরী কেন
তরিকুল ইসলাম মাসুম-
আমরা তো এখনো করতে পারিনি তা দমন,
সরকারি নির্দেশন: 'মাস্ক পড়ুন, মাস্ক পড়ুন'
মেনে আর চলে ক'জন, সেইটা তো বলুন ৷
সবসময় স্বাস্থ্যবিধি যেন মেনে চলি সবাই
এইটা না মানলে পরে বাঁচবার উপায় নাই,
শিক্ষিত কিবা অশিক্ষিত সবাই তো জনগণ
স্বাস্থ্যবিধির কথা বলি সবারে তাই চলুন ৷"
#মাস্ক পড়া জরুরী কেন এবং সচেতনতা বৃদ্ধি কেন প্রয়োজন:
এক. জনসাধারণের চলাচল আছে এমন যেকোনো জায়গায় গেলে সবসময় মাস্ক পরে থাকা উচিত ৷ কেননা এটি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এবং হ্রাস করতে সহায়তা করেছে ৷
দুই. গণপরিবহণ কিংবা দোকানপাট যেখানে একসঙ্গে পাশাপাশি অনেক মানুষের জমায়েতের আশঙ্কা রয়েছে, সেসব জায়গায় মাস্ক পরা অবশ্যই পরতে হবে ৷
কেননা, করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগীর মুখের লালারস বা কোনো সংক্রমিত এলাকার সংস্পর্শে এলে অন্য মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন ৷ এক্ষেত্রে মাস্ক পরা থাকলে কোনো সুস্থ মানুষের নাকে বা মুখে আক্রান্তের থুত সহজে যাওয়া সম্ভব নয় ৷ সুতরাং
মাস্ক পরলে অনেকটাই নিরাপদে থাকা যায় ৷
তিন. মাস্ক পরার ফলে সংক্রমণ বেড়েছে, এমন তথ্য পাওয়া যায় না ৷ মাস্কের সাহায্যে অনেক দেশই সংক্রমণের হার কমাতে সক্ষম হয়েছে ৷ বাড়িতে তৈরি মাস্কও পরা যেতে পারে ৷ তবে শ্বাস নিতে সুবিধা হয় এমন মাস্কই পরা উচিত ৷
চার. করোনা ভাইরাস রুখতে স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ মাস্ক পরা ৷ অনেক দেশ এই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে ৷ সাধারণত মাস্ক পরা থাকলে নাকে-মুখে বার বার হাত দেওয়া থেকেও বিরত থাকা যায় ৷
# শিশুরা কেন মাস্ক পড়বে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা:
এক. করোনা ভইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে মাস্ক এখন একটা গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামে পরিণত হয়েছে, বলতে গেলে শরীরের একটা অংশের মতোই ৷ ধুলাবালি থেকে বাঁচার জন্য বাহিরে বের হলে মাস্ক পড়া উচিত ৷ মাস্ক ছোটদেরও পরতে হবে তাদেরও সুরক্ষার জন্য ৷
দুই. রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরানো উচিত নয় ৷ কেননা এতে শিশুটির শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যে মাস্ক পরেছেন তার সেই মাস্ক সরাতে সক্ষম হওয়া উচিত ৷ এজন্য ২ বছরের বয়সের পর থেকে মাস্ক পরানো নিরাপদ হবে ৷
তিন. এমন জায়গায় গেলে, যেখানে বাচ্চাদের কাপড়ে মুখ ঢাকা দেওয়া উচিত এবং বাইরে যতক্ষণ না তারা অন্যদের থেকে কমপক্ষে ৬ ফুট দূরে থাকতে পারে ৷ তবে অবশ্যই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে ৷ শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে মনে হলে সাথে সাথে মাস্কটি সরিয়ে ফেলতে হবে ৷
চার. বেশিরভাগ লোকের জন্য ঘরে তৈরি বা কেনা কাপড়ের মাস্কগুলোই ভালো
৷ তবে বাচ্চাদের জন্য ফিট মাস্ক গুরুত্বপূর্ণ ৷ ইলাস্টিক প্লেড ফেস কভারিং বাচ্চাদের পক্ষে সবচেয়ে ভাল কাজ করে ৷ এজন্য বাচ্চাদের মুখের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মাস্ক দিতে হবে, যাতে তারা এটি পরতে বিরক্তবোধ না করে ৷পাঁচ. মাস্ক নিয়ে বাচ্চাদের সাথে জোরজবরদস্তি না করে সুন্দর করে বুঝিয়ে আগ্রহ তৈরি করতে হবে ৷ মাস্ক ব্যবহারে শিশুর দমবন্ধ বা শ্বাসরোধের একটি সম্ভাব্য ঝুঁকি থাকে তাই কখন মাস্ক খুলে ফেলতে হবে এ বিষয়টি শিশুদের বুঝাতে হবে
৷
লেখক: তরিকুল ইসলাম মাসুম
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ৷
Volunteer For Children (UNICEF Bangladesh)
No comments