ঝিনাইদহে রেমিটেন্স যোদ্ধার বিরুদ্ধে চলছে ষড়যন্ত্র, সুবিধা না পেয়ে হয়রানি করার অভিযোগ


ঝিনাইদহ  প্রতিনিধি-

দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও আয়ের একটি প্রধান খাত হচ্ছে রেমিটেন্স। সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১ হাজার ৮২০ কোটি বা ১৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড। এক অর্থবছরে এত বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স এর আগে কখনই আসেনি। দেশের প্রতিটি এলাকার রেমিটেন্স যোদ্ধার তিল তিল করে দেওয়া এ অর্থ কাজে লাগছে দেশের উন্নয়নে। কিন্তু ঝিনাইদহের এক রেমিটেন্স যোদ্ধা ও একটি রিক্রুটিং এজেন্সির ওভারসীস ডাইরেক্টরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় সুবিধা না পেয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ওই রেমিটেন্স যোদ্ধা।

জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কুমড়াবাড়িয়া গ্রামের শাহিনুর রহমান টিটু ১৯৯১ সালে মালেশিয়া পাড়ি জমান। দেশের রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে দীর্ঘদিন সেখান কাজ করেছেন। ১০ বছর আগে দেশে এসে কে এম ওভারসীস (যার লাইসেন্স নং-১২০০) এর ওভারসীস ডাইরেক্টর হিসেবে যুক্ত হন। মালেশিয়া ফিরে গিয়ে নিজের পেশার পাশাপাশি তিনি দেশের বেকার যুবকদের বৈধভাবে মালেশিয়াতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। সরকারের দেওয়া নিয়মনীতি মেনে বৈধভাবে তিনি মালেশিয়াতে রিক্রুটিং করে আসছিলেন। ঢাকায় নিজ অফিসে কাজ করছেন তিনি। সম্প্রতি করোনা ভাইরাস শুরু হলে তিনি ঢাকা থেকে এসে গ্রামে রয়েছে। এলাকার কয়েকজন সুবিধাবাদী তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করে ঝিনাইদহের কয়েকজন সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য পরিবেশণ করছেন। এতে তার মান সম্মানক্ষুন্ন হচ্ছে।

এ ব্যাপারে রেমিটেন্স যোদ্ধা শাহিনুর রহমান টিটু বলেন, দেশের জন্য এতবছর কাজ করে এখন ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হচ্ছে। গ্রামের কিছু লোকজন তার কাছ থেকে টাকা দাবী করলে তা তিনি দিতে অস্বীকার করেন। টাকা না দেওয়ায় হয়রানি ও সামাজিকভাবে আমাকে হেয় করার জন্য এ ধরনের কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, চাঁদা না দেওয়ার কারণে গ্রামের কিছু লোকজনকে আমার বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এর সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।

No comments

Powered by Blogger.