সরকারী টাকা আত্মসাৎ॥ হাসপাতালে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিবাদ॥ জনতার ছি ছি॥






স্টাফ রিপোর্টার-

হাসপাতাল চত্ত্বরে চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যানার নিয়ে দাড়ানো দেখে উৎসুক জনতার ভীড় জমে। সরকারী টাকা ভুয়া বিল ভাউচারে আত্মসাতের সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে এ আয়োজন করা হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তার ডাকেই এ আয়োজন করা হলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না, যা নিয়ে খোদ অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেই চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। শনিবার সকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামীমা শিরিন স্বাক্ষরিত চিঠি দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের কর্মসূচীতে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রন জানানো হয়। 

পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হলে দায়িত্বশীল কৃর্তপক্ষ বিধি মোতাবেক প্রতিবাদ লিপি পত্রিকায় পাঠাবেন। সংক্ষুদ্ধ হলে আইনের আশ্রয় নিবেন এটাই নিয়ম। কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ স্বরুপ হাসপাতাল চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে আলোচিত ও বিতর্কিত হলেন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামীমা শিরিন লুবনা। এ নিয়ে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ রাশেদা সুলতানা ও ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম শনিবার জানান, এ ভাবে সরকারী কর্তকর্তাদের প্রতিবাদ সমাবেশ করার এখতিয়ার নেই। জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা হোটেলে না থেকেও ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে ৫৭ হাজার ৬০০ টাকা ও হোটেলে খাওয়া বাবদ ৯৬ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা  বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই টাকা পকেটস্থ করেন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামীমা শিরিন লুবনা। তিনি পত্রিকায় কোন প্রতিবাদ না দিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় হাসপাতাল চত্তরে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন। কথিত এই সমাবেশে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত থাকলেও স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামীমা শিরিন লুবনা উপস্থিত হননি। তিনি পর্দার অন্তরালে থেকে কলকাঠি নাড়েন। সমাবেশে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. সুলতান আহমেদ বক্তব্য রাখেন। গণমাধ্যমকর্মীরা এ সময় করোনাকালীন সময়ের শুরুর দিকে যে সকল চিকিৎসক-নার্স আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেছিলেন তাদের মধ্য থেকে কাউকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তারা এড়িয়ে যান। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণে বাধ্য করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানিয়েছে। 

জানা গেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামীমা শিরিন লুবনা স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রতিবাদ সমাবেশের চিঠি সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়। এক ঘন্টা পর চিঠির ভাষা পরিবর্তন করে নতুন করে চিঠি দেওয়া হয়। চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যানার নিয়ে দাড়ানোর সময় অনেক উৎসুক জনতা বলতে থাকেন সরকারী টাকা ভুয়া বিল ভাউচারে আত্মসাৎ করে এখন প্রতিবাদ ! একেই বলে “চোরের মায়ের বড় গলা”। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম বলেন, আমি শুনেছি সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করবেন। প্রতিবাদ সমাবেশের বিষয়টি আমি জানিনা।



No comments

Powered by Blogger.