ঝিনাইদহে হাসপাতালের মাটি কেটে চিকিৎসকের বাড়ি নির্মাণ!

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

ঝিনাইদহে সদর হাসপাতালের মাটি কেটে নিজ বাড়ি নির্মাণ করছেন এক চিকিৎসক। সরকারি সম্পত্তি নিজের বাড়ি নির্মাণে ব্যবহার করার বিষয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। একজন চিকিৎসক কারো অনুমতি না নিয়ে মাটি কেটে ট্রলি ভরাট করে নিজের বাড়ির গর্ত ভরছেন এমন ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জেলার সচেতন মহল। ঘটনাটি ঘটিয়েছে সদর হাসপাতালের জুনিঃ কনসালটেন্ট (শিশু) প্যাথলজি পদের বিপরিতে কর্মরত ডাঃ মোঃ হুমায়ুন শাহেদ।

মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের নব-নির্মিত ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের জরুরী বিভাগের পাশে কোয়ার্টারের পাশের মাটি কেটে ট্রলি ভরা হচ্ছে। মাটি কাটা শ্রমিক আইনাল হোসেন বলেন, হাসপাতালের শিশু ডাক্তার হুমায়ুন আমাদের মাটি কাটতে বলেছেন। তাই আমরা মাটি কেটে ট্রলি ভরাট করে দিচ্ছি। এই মাটি হামদহ দিশারী পলিটেকনিকের পাশে যাচ্ছে। সেখানে ডাক্তার বাড়ি করছেন সেখানে ভরাট করা হচ্ছে।

নির্মাণাধীন বাড়িতে কর্মরত এক নির্মাণ শ্রমিক বলেন, এই বাড়ি হুমায়ন শাহেদের বাড়ি করা হচ্ছে। কয়দিন আগে বলেছিল মাটি কিনব। আজ ট্রলি করে মাটি আসছে। ৩ গাড়ি আসছে বাকি আরও মাটি আসছে।

এদিকে হাসপাতালের মাটি কেটে নিজ বাড়ির গর্ত ভরাট করলেও কিছু জানেন না হাসপাতালের তত্বাবধায়ক। সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: হারুন অর রশিদ বলেন, হাসপাতালের মাটি ঠিকাদারের সরানোর কথা ছিল। সেটি এখনও সরানো হয়নি। ডা: হুমায়ুন শাহেদ মাটি কেটে নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এর কিছু জানিনা। তিনি আমার কাছে কিছু শোনেনি।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের ঠিকাদার টিপু মল্লিক বলেন, হাসপাতাল নির্মাণের সময় মাটি যা লেগেছিল তা ব্যবহার করে বাকি মাটি নিরাপদ দুরত্বে রাখা হয়েছে। এটি হাসপাতালের সম্পত্তি। ডা: হুমায়ুন শাহেদ মাটি কেটে নিতে পারেন না। যদি আমার সরানোর ও কথা থাকতো তবুও তিনি আমার কাছে কিছু শোনেন নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, একটি সরকারি দপ্তরের মাটি কেটে একজন চিকিৎসক কিভাবে তার বাড়ি ভরাট করে। কাউকে না জানিয়ে আইন বর্হিভূতভাবে তিনি কিভাবে মাটি কেটে নিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে ডা: হুমায়ুন শাহেদ বলেন, আপনি হাসপাতালের সুপার সাহেবের সাথে কথা বলেন। ‘হাসপাতালের তত্বাবধায়ক কিছু জানেন না’ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হাসপাতালে আসেন এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।


No comments

Powered by Blogger.