ইবির আবাসিক হলে চুরির অভিযোগ!

 

তরিকুল ইসলাম, ইবি প্রতিনিধিঃ

করোনাকালীন ছুটিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে। নিরাপত্তাকর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আবাসিক হলে কক্ষের তালা ভেঙে এসব চুরি হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন ভবন থেকে নির্মাণ সামগ্রী চুরি হয়েছে ইতোপূর্বে।

সর্বশেষ শনিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলের ৯টি কক্ষের তালা ভেঙে চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তবে চুরির ঘটনা ঠিক কবে ঘটেছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি হল কর্তৃপক্ষ এবং কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বন্ধ থাকায় হলের কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছিল। এজন্য হলের চাবি দেওয়া ছিল ঠিকাদারদের কাছে। প্রতিদিনের মতোই শ্রমিকেরা কাজে এসে হলের নিচ তলার বারান্দার গ্রিল ভাঙা দেখতে পান।

নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, প্রাচীর টপকে গ্রিল ভেঙে হলের ডাইনিং এ ঢুকেছিল চোর। ডাইনিং থেকে কয়েকটি বেসিনের স্টিল ট্যাপ চুরি করেছে। হলের দক্ষিণ ব্লকের ৯টি কক্ষের তালা ভাঙ্গা পাওয়া গেছে। কক্ষগুলো নং ২০৫, ২০৬, ২০৭, ২০৮, ২০৯, ২১২, ২১৩, ৩১০ ও ৪১১। হল বন্ধ থাকায় কক্ষ থেকে কি কি জিনিসপত্র চুরি হয়েছে সেসব ঠিক এখনো জানাতে পারেনি।

আজ রবিবার (৮ আগস্ট) সকালে ইবি থানা পুলিশের একটি টিম সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান, মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভ্ইুঁয়া, প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন। পরিদর্শন শেষে প্রক্টর জানান, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে কি কি হারিয়েছে তা মেয়েদের সঙ্গে কথা না বললে সঠিক বলা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষকে ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে শীঘ্রই জানাতে বলা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের নির্মাণ সামগ্রী চুরি করতে এসে ধরা পড়ে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর। পরে কিশোরটি প্রক্টরিয়াল বডির কাছে পাম্প ও টাইলস চুরির সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। সেই সাথে চুরির ঘটনায় জড়িত অন্যদের নাম প্রকাশ করে। স্বীকারোক্তির পর ওই কিশোরকে ইবি থানায় সোপর্দ করা হয় এবং পরে তাকে অবিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও করোনার ছুটি চলাকালীন সময়ে শহীদ জিয়াউর রহমান হল, লালন শাহ হল, শেখ রাসেল হলে চুরির ঘটনা ঘটেছিল।


No comments

Powered by Blogger.