ঝিনাইদহ ডিসি অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে বালু উত্তোলন ॥ হুমকির মুখে ফসলি জমি

এনামুল হক সিদ্দীক কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ)থেকে -

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। বালু উত্তোলনের ফলে নষ্ট হচ্ছে ফসলি কৃষি জমি। গায়ের জোরে এই বালু উত্তোলন করছেন উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের বালিয়াডঙ্গা গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন। 

অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে ফৌজদারী কার্যবীধির কোড ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৮০ অনুযায়ি পাম্প ড্রেজিং বা অন্য কোন মাধ্যমে ভুগর্ভস্থ মাটি বা বালু উত্তোলন করা যাবে না এমন 

আইন থাকলেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পুকুর খননের নামে ফসলি জমি ধ্বংসে নেমেছেন এই জাহাঙ্গীর হোসেন। দীর্ঘ ১ মাস ধরে এ কাজ চলমান রয়েছে এই বালু উত্তোলনের কাজ। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ভাই আনোয়ার মেম্বর। তবে প্রথমদিকে ডিসি মহোদয়ের অনুমতি কাগজপত্র আছে এমনটি বললেও দেখাতে পারেননি। 

বানুড়িয়া বাজার ছেড়ে রাস্তার বাম হাতে বালিয়াডাঙ্গা বাজারে ফার্মেসী ডাক্তার আলী আহম্মদের জমিতে বিশাল বালুর স্তুপ। চারপাশে আবাদি জমির মধ্যে পল্লি চিকিৎসক আক্তার হোসেন ওরফে বটু ডাক্তার এর পুকুরে ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলনের শ্রমিক এসেছে চুয়াডাঙ্গা থেকে।

এলাকাবাসী নিরব, ভয়ে কথা বলতে পারবে না অপরদিকে কোন অভিযোগও আসছে না তাই বহাল তবিয়তে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বালু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর। কাউকে তোয়াক্কা করার সময় নাই এমনটি ভাব ইউপি সদস্যের।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ডিসি অফিসের পুকুর খননের অনুমতি এনেছি। ডিসি অফিসে আমার নিজস্ব লোক আছে। তার নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছি।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ছানা বলেন, আমার ইউনিয়নে আমি কোন অন্যায় কাজের প্রশয় দিইনা। আপনারা সহযোগীতা করলে আমি বিষয়টি দেখবো।


No comments

Powered by Blogger.