শৈলকুপায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, হামলা, ভাংচুর, লুটপাট,
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট। ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই সাথে আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয়রা।
জানা যায়, সম্প্রতি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা করা হয়। আগামী ৫ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে তফশীল ঘোষনার পর হাকিমপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা তাদের প্রচারণা শুরু করে। এরপর থেকেই শুরু হয় উত্তেজনা। এ নিয়ে গত রোববার ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা। এতে আহত হয় পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এরপর থেকেই ্এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের আশংকা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে পুলিশ তা নিয়ন্ত্রনে তৎপর থাকলেও আরও কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। এদিকে নির্বাচনে এ আংশকার কারণ হিসেবে এলাকাবাসী মনে করছেন শিকদার পরিবারকে। ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান জিকু, তার ছোট ভাই ওয়াহিদুজ্জামান ইকু, একই পরিবারের সদস্য উপজেলা ছাত্রলীগের বিতর্কিত নেতা শাওন শিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান সাচ্ছু অভিযোগ করেন, শিকদার পরিবারের কারণে হাকিমপুর ইউনিয়নের সকল গ্রামের নিরীহ মানুষ আজ আতংকে আছেন। এলাকায় নিরব চাঁদাবাজি, মারধর, হামলা, ভাংচুরের সাথে ওই পরিবারটি জড়িত। মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর, আওয়ামী লীগ নেতাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের বিরোধিতা করা ওই পরিবারের হাত থেকে মুক্তি চায় ইউনিয়নবাসী। তাদের অত্যাচার শুধু ইউনিয়নের সীমাবব্ধ নয়, উপজেলার সকল এলাকায় তারা রাজত্ব কায়েম করেছে। নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হওয়ায় তার পরিবারের সদস্য, সমর্থকদের মারধর, বাড়িতে হামলা ভাংচুর করা হচ্ছে। এ থেকে নিস্তার চান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইউনিয়নের এক বাসিন্দা বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান মাদকাসক্ত, দুর্নিতীর দায়ে অভিযুক্ত। সেই সাথে এলাকার মানুষের অত্যাচারও করে আসছে তিনি। শুধু তাই নয়, তার পরিবারের প্রতিটি সদস্যরা জোরপুর্বক এলাকার স্কুল, কলেজের সভাপতির পদ বাগিয়ে বসে আছে। এ থেকে পরিত্রাণ চায় আমরা। আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, হাকিমপুর ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আগামী নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। সেই সাথে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশের পক্ষ থেকে যা যা করার দরকার তাই তাই করা হবে।
No comments