কালীগঞ্জ কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কৃষকের টাকা আত্মসাৎ

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজস্ব বাজেটের আওতায় রবি,খরিপ-১ ও খরিপ-২ মৌসুমের প্রকল্পে আন্তঃ পরিচর্যা বাবদ রাজস্ব খাতের কৃষকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রান্তিক কৃষকের ধান,সরিষা ও ভুট্রা পরিচর্যা বাবদ ১৫শত টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও কৃষকের মাঝে ১৪শত টাকা বিতরনের তথ্য মেলে। কালীগঞ্জ নিমতলা মসজিদ সংলগ্ন মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী একটি দোকান থেকে কৃষি অফিস থেকে আনা টোকেন জমা দিয়ে নগদ অথবা বিকাশ এর মাধ্যমে ১৪শত টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে মোট ৩শত ৩৩ জন কৃষক এই সুবিধার আওতায় আসলেও ২৪৩ জন কৃষকের মাঝে ১শত টাকা কম দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে কৃষকরা। এই প্রকল্প থেকে ২৪৩ জন কৃষকের কাছ থেকে ২৪ হাজার ৬শত টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

সরজমিনে উপজেলার নিয়ামতপুর,রাখালগাছি ইউনিয়নের যথাক্রমে কৃষক রকিব,মোমিনুর,নুরুল মালিতা,রতনঘোষ,হামিদ,চানদালী ও সমির খাঁর সাথে কথা হলে তারা জানান,আমরা বিকাশের মাধ্যমে ১৪শত টাকা পেয়েছি খরচ খরচা বাদে ১৩শত ৭০ টাকা পেয়েছি অথচ আমাদের ১৫শত টাকা পাওয়ার কথা ছিল শুনেছি।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিকদার মোঃ মোহায়মেন আক্তার জানান,২৪হাজার ৬শত টাকা অতিরিক্ত আছে। অডিট খরচসহ আনুসঙ্গিক ব্যয় তো থাকেই যে কারনে এমনটি করেছি। সবাইকে ১শত টাকা করে ফেরত দিব বিষয়টি ম্যানেজ করেন। ইতিমধ্যে অনেকে ১শত টাকা করে পেয়েও গেছে।

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আজগর আলী বলেন, কৃষকের টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে থাকলে দুঃখজনক। ঘটনার সত্যতা থাকলে তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব। 

যশোর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোঃ একলাছ উদ্দীন বলেন,এমন ঘটনা ঘটলে তা খতিয়ে দেখা হবে। এই ধরনের কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।

কৃষি প্রধান দেশে কৃষকের টাকা আত্মসাৎ কোন ভাবেই সাধরন মানুষ মেনে নিতে পারেনি। তদন্ত পূর্বক দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে প্রান্তিক কৃষকেরা।


No comments

Powered by Blogger.