একজন শ্রেষ্ঠতম মহানুভব প্রধান শিক্ষক ছিলেন শহিদুল ইসলাম

স্মরণ : বিশ্বের শিক্ষকদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেস্কোর আহবানে ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতিবছর ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে “বিশ্ব শিক্ষক দিবস”। শিক্ষক দিবসে জাতির বিবেক শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি হোক সেই প্রত্যাশা করি। আজ কোন আবদার নয় বরং এই দিবস উপলক্ষ্যে স্মরণ করছি সদ্য প্রয়াত প্রবীণ এক শিক্ষাগুরুকে। আর তিনি হলেন ইদ্রাকপুর জাতীয় আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সফল প্রধান শিক্ষক মরহুম শহিদুল ইসলাম স্যার। (জন্ম: ৩০/১২/১৯৫২, মৃত্যু: ১৩/০৮/২০২২)

ইদ্রাকপুর জাতীয় আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্মৃতিচারণ করলে যে মানুষগুলি চোখের পর্দায় ভেসে ওঠে তাঁদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তিত্ব ছিলেন জনাব শহিদুল ইসলাম স্যার। যিনি গ্রাজুয়েশনের মাত্র তিন দিন পরই শিক্ষকতায় নিজেকে মনোনিবেশ করেন। যিনি ছিলেন একজন বজ্রকন্ঠী বক্তা, যাঁর বক্তৃতা হাজার হাজার মানুষ মাইক ছাড়াই শুনতে পেতেন। যিনি একাধারে ইতিহাসবিদ, খ্যাতিমান রেফারি এবং বিশিষ্ট সমাজ সেবক হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন সকলের মাঝে।

জনাব শহিদুল ইসলাম স্যার ১৯৫২ সালের ৩০ ডিসেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদশ) যশোর জেলাধীন (বর্তমান ঝিনাইদহ) মহেশপুর থানার অন্তর্গত কমলাপুর নামক গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে গ্রামের স্কুলেই অধ্যয়ন করেন। ১৯৬৯ সালে নারায়নপুর বাহাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় হতে ম্যাট্রিক (এস এস সি) পাশ করেন। 

এরপর যশোর জেলাধীন ঝিনাইদহ মহকুমার (বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলা) অন্তর্গত ঝিনাইদহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত কেশবচন্দ্র মহাবিদ্যালয়ে (বর্তমানে সরকারি কে. সি. কলেজ, ঝিনাইদহ) ভর্তি হন। ১৯৭১ সালে আই.এ (এইচ.এস.সি) পাশ করেন। এরপর একই কলেজ হতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৭৩ সালে ইতিহাসে বি.এ ডিগ্রি নেন। ঐ বছর বি.এ পরীক্ষার পাশের হার ছিল মাত্র ৩.৭৫%। 

১৯৭৩ সালেই বি.এ পরীক্ষায় পাশের মাত্র তিনদিন পরই স্বরূপদাহ জুনিয়র হাই স্কূলে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। এরপর ১৯৭৬ সালের ১ জুলাই ইদ্রাকপুর জাতীয় আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকবৃন্দ বিশেষ করে মরহুম প্রধান শিক্ষক সামসুল হুদা স্যার ও আলহাজ্ব মোঃ জায়েদ আলী স্যার ওনাকে অত্র প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হিসাবে নিয়ে আসেন। 

১৯৭৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষকদের পদে উন্নীত হন। ২০০৩ সালের প্রথম সপ্তাহে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মরহুম সামসুল হুদা স্যারের ইন্তেকালের পর ৯ জানুয়ারী তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ২০০৪ সালের ১৫ই এপ্রিল প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। ৩০ ডিসেম্বর, ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি স্বগৌরবে শ্রেষ্ঠতম প্রধান শিক্ষক হিসাবে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

১৯৭৮ সাল থেকে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ড যশোর এর অধীনে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানের পরীক্ষক ছিলেন। তিনি যখন ক্লাস নিতেন কোন বই কাছে রাখা লাগত না। অনর্গল ইতিহাস বলে চলতেন এবং যেকোন ঘটনার ইতিহাস তারিখসহ বলে দেন অকপটে। বজ্রকন্ঠী বক্তা হিসাবে স্যারের সুনাম রয়েছে। মাইক ছাড়াই হাজার হাজার মানুষ স্যারের কথা শুনতে পারে।  

ছোটবেলা থেকেই জনাব শহিদুল ইসলাম স্যার খেলাধুলার প্রতি ব্যাপক উদগ্রীব ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় কলেজে অধ্যয়ন কালেই ফুটবল খেলার রেফারি হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে তিনি মহেশপুর ও চৌগাছা উপজেলা ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রেফারি হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন। আন্তঃস্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তিনি বিভিন্ন সময়ে যোন সভাপতি, কখনও যোন সচিব হিসাবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিশিষ্ট সমাজসেবক হিসাবে তিনি প্রায় ৪৫ বছর ধরে সমাজসেবার কাজ করে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। তিনি একাধারে ১৩ বছর কমলাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ডাঃ সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি এবং প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের আমৃত্যু গভর্নিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য ছিলেন। 

হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে তিনি বাঘ শিক্ষক ও শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসাবে সুপরিচিত। স্যার যখন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন তখন ‘বাপ’ বলে সম্বোধন করেন। মোবাইলে স্যারকে কল করার সাথে সাথেই রিসিভ করেন। আমি যতবার স্যারের সাথে মোবাইলে কথা বলেছি স্যারের কথা বলার ধারাবাহিকতা এরকমঃ

বাপ কেমন আছো?

তোমার বাপ মা ভাল আছে?

মামুন কেমন  আছে?

আমেনা কোন ক্লাসে পড়ছে? 

তোমার না আরেকটা বোন আছে?

(সবার ছোট রেহেনার নাম স্যার না জানলেও ওর কথাও মনে ছিল)।  

স্যার স্কুলের কৃতি সন্তানদের নাম বিভিন্ন বক্তৃতায় প্রায়ই বলতেন, যারা দেশে বিদেশে সাফল্য অর্জন করেছেন। সাথে আরও বলতেন “তরিকুল আমার স্কুলের সবচাইতে মেধাবী ছাত্র”।  

স্যারের সাথে কথা বলার প্রথম পর্যায়ে কাপুনি চলে আসতো, কিন্তু স্যার যখন কথা বলা শুরু করেন তখন মনে হয় আপন কারো সঙ্গে গল্প করছি। ২০১৪ সালের মে মাসে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে একবার স্যারের বাড়ী গিয়েছিলাম। স্যার এবং স্যারের পরিবারের সকলের আথিত্যপেয়তায় আমরা অত্য›ত মুগ্ধ হয়েছিলাম। অবসরে স্যার গ্রামের বাড়ীতেই থাকতেন। নিজ বাড়ীতেই শুয়ে বসে আর নামাজ কালাম করেই দিন পার করেছেন। স্যারের কোমড়ে হাড়ক্ষয়ের দরূন কিছুটা অসুস্থ অবস্থায় দিনাতিপান করেছেন। 

হঠাৎ একদিন এলার্ম এলো, “ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইদ্রাকপুর জাতীয় আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়-এর সাবেক সফল প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম স্যার আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রজিউন।”

দিনটি ছিল ১৩ আগস্ট ২০২২। শোকাবহ হয়ে উঠল হাজার হাজার শিক্ষার্থীর অন্তর। আমরা হারালাম পরম শ্রদ্ধার একজন শিক্ষাগুরুকে। স্যারের সাথে আমাদের একদিন সময় কাটানোর কথা ছিল। কালের গহ্বরে সেটা আর হয়ে উঠলো না। 

স্যারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব শফিকুল আযম খান চঞ্চল (ঝিনাইদহ - ৩), উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জনাব ময়জদ্দিন হামিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এসবিকে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব জনাব সাজ্জাদুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতা-কর্মী, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ, বিশিষ্ট সুধী সমাজ প্রমুখ।  

মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ জানান, “ইদ্রাকপুর হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক কমলাপুর গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম মাষ্টার ছিলেন একজন জনপ্রিয় শিক্ষক। তিনি ছিলেন প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা এবং আমাদের অবিভাবক। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, একমাত্র পুত্র নাতি নাতনি আত্মীয় স্বজন সহ অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন। আল্লাহ যেন তাঁকে বেহেশতে নসীব করেন”।  

ইদ্রাকপুর জাতীয় আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়-এ একসাথে প্রায় তিন দশক শিক্ষকতা করেছেন নাটিমা ইউনিয়নের তিনবারের নির্বাচিত স্বনামধন্য চেয়ারম্যান জনাব ফকির আহাম্মদ। তিনি সদ্য প্রয়াত সাবেক এই প্রধান শিক্ষক সম্পর্কে বলেন, “ “শহিদুল ইসলাম স্যার খুবই ভাল মনের এবং সরল প্রাণের এক মানুষ ছিলেন। তার মত সহজ-সরল মানুষ খুব কমই কম পাওয়া যায়। ওনি অনেক মেধাবী ছিলেন, যেকোন সমস্যা খুব সহজে বুঝিয়ে সমাধান করতে পারতেন। যখন বক্তব্য দিতেন, দিন তারিখ মুখস্ত বলে দিতে পারতেন। কোন ঘটনা ওনি কখনোই ভুলতেন না। আমাদের শিক্ষক ইনডেক্স নম্বর আমাদের মনে না থাকলেও ওনি ঠিকই মনে রাখতেন। সবার সাথে আচার ব্যবহার এতো আমায়িক ছিল, সবার সাথেই হাসিমুখে কথা বলতেন। বেশ সৌখিন মানুষ হওয়ায় অনেক খরচ করতেন, তাতে বেতনের টাকায় সব চাহিদা মিটতো না। আর খেলাধুলায় যথেষ্ট পারদর্শী ছিলেন, নামকরা রেফারী ছিলেন। সমাজসেবা এবং শিক্ষাক্ষেত্রেও অনেক অবদান রেখেছেন। দোয়া করি আল্লাহ তার বেহেশ্তবাসী করুক”।

গত ২০১৯ সালের ২২ মার্চ স্যোসাল মিডিয়া ফেইসবুকে স্যারের বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে লেখা আপলোডের পর অনেকে স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান রেখে এবং লেখকের প্রশংসা করে  মন্তব্য করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্কুলের প্রথম ফার্স্ট ডিভিশন পাওয়া ১৯৭৯ ব্যাচের ছাত্র ও সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (অবঃ) জনাব মোঃ রেজাউল করিম লিখেছেন, “শহিদুল ইসলাম স্যার যখন ইদ্রাকপুর স্কুলে আসেন তখন আমি নবম শ্রেণীতে পড়ি। পড়া আদায় করার সাথে সাথে খেলাধুলা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনায় স্যার ছিলেন সত্যিই অতুলনীয়। আর স্যারের মহানুভবতার কথা কি বলব, আমি আমার বর্তমান অসুস্থতা নিয়ে গ্রামের বাড়ি থেকে খুলনা আসার পথে কমলাপুর বাজারে স্যারের সঙ্গে দেখা হলে লোকজনের সামনে আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার রেজাউলের কি হলো বলে হাউ মাউ করে কেঁদেছিলেন। ধন্যবাদ তরিকুল, আমার প্রাণপ্রিয় স্যারকে এত চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করার জন্য”। 

স্কুলের এসএসসি'৮৩ ব্যাচের ছাত্র ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব হোসেন মন্তব্য করেন, “গধু অষষধয নষবংং ড়ঁৎ নবষড়াবফ ঝরৎ রিঃয মড়ড়ফ যবধষঃয ধহফ ষড়হম ষরভব. ও ড়িঁষফ ধষংড় ষরশব ঃড় ৎবংঢ়বপঃ ধহফ ৎবসবসনবৎ ড়ঁৎ ভধাড়ঁৎধনষব ঃবধপযবৎ. গধু অষষধয নষবংং ঃযবস ধষষ রিঃয ঢ়বধপব ধহফ যধঢ়ঢ়রহবংং.ঞযধহশং ঞধৎরয়ঁষ ওংষধস গধংঁস ভড়ৎ ুড়ঁৎ ঃযরহশরহম ধহফ ঃধশরহম রহরঃরধঃরাব ড়ভ ংঁপয ধ হড়নষব ধহফ ঢ়ৎবংঃরমরড়ঁং সধঃঃবৎং”.

স্কুলের ১৯৮৯ ব্যাচের ছাত্র ও কুল্ল্যাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম লিটন লিখেছেন, “আমি হাইস্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই স্যারকে দেখেছি এক সৌম, ভদ্র, অভিজাত চেহারার রাগী মানুষ হিসাবে। অথচ, দিন যতই গিয়েছে তিনি ততই আমাদের আপন হয়েছেন, কাছের মানুষ হয়েছেনঠ। শিক্ষক হিসেব এবং সার্বিকভাবে মানুষ হিসেবে মানুষকে কাছে টেনে নেয়ার এই যোগ্যতা তাঁকে শিক্ষার্থীদের কাছে এবং বোধকরি তাঁর আবাসের সকল সামাজিক মানুষের কাছে অনুকরণীয় ব্যক্তিতে পরিণত করেছে। স্যারের সুস্থতা কামনা করছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি.....তরিকুলকে”।

স্কুলের ১৯৯৮ ব্যাচের ছাত্র মোঃ রকিবুল হাসান (স্বপন) মন্তব্য করেন, “ভালো লিখনী, স্যার কে আমার অনেক ভালো লাগে, আল্লাহ স্যার কে ভালো রাখুক”।

সম্পা খাতুন নামে একজন সরকারি চাকুরিজীবি (সি.এইচ.সি.পি) মন্তব্য করেন, “তরিকুল ধন্যবাদ, স্যারের কথা লেখার জন্য, মনে হচ্ছে আরো কিছু বলা বাকি আছে, আরো পড়তে ভালো লাগছে”।

এছাড়া অনেকেই স্যারের প্রশংসার পাশাপাশি লেখকের প্রতি ব্যাপক প্রশংসামূলক মন্তব্য লিখেছিলেন। আজ স্যার আমাদের মাঝে নেই। ঝিনাইদহে অবস্থানকালে স্যারের মৃত্যুর পর প্রথম জানাজা বাদ আসর ঝিনাইদহ শহরের উপকন্ঠে অনুষ্ঠিত হয় এবং নিজ বাড়িতে পরেরদিন সকালে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে সমারিহত হন। আমরা স্যারের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। আজকের দিনে স্যারাকে গভীরভাবে স্মরণ করছি।


লেখক: তরিকুল ইসলাম মাসুম

বি.এস.সি (অনার্স), এম.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং (চলমান) 

ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।



 

No comments

Powered by Blogger.