কোটচাঁদপুরে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে স্কুল থেকে ছাত্র- ছাত্রী ভাগিয়ে স্কুল গড়ার অভিযোগ শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে,তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি ভুক্তভোগির

 

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে স্কুল থেকে ছাত্র- ছাত্রী ভাগিয়ে স্কুল গড়ার অভিযোগ উঠেছে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। যা দেখার কেউ। এ অবস্থা চলছে কোটচাঁদপুরের সাবদারপুরে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
নুরে হেরা কিন্ডার গার্ডেনের সহসভাপতি মেহেদী হাসান বাবু বলেন,কোটচাঁদপুরের সাবদারপুরে নুরে হেরা কিন্ডার গার্ডেনটি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সু- নামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে।
 গেল ২৫-০৯-২০২২ সালে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আসলাম হোসেন মারা যায়। এরপর থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষক বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে তাল বাহানা করেন। এরমধ্যে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম। পরে তাদের দাবি মেনে নিলেও, তারা স্কুল থেকে বের হয়ে যান। স্কুলের ছাত্র/ ছাত্রী ভাগিয়ে নিয়ে গিয়ে ইকরা কিন্ডার গার্ডেন ও ফুলকুড়ি নামে দুইটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। দুটি প্রতিষ্ঠানের একটি নুরে হেরা স্কুলের ১ শ গজের মধ্যে অবস্থিত। আরেকটি স্কুল গড়ে তুলেছেন ১ কিলোমিটার দুরে।

তিনি বলেন, এ সব বিষয় নিয়ে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান, কিন্ডারগার্টেন সমিতির সভাপতি ,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছি। 
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টরা কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বীর দর্পে ওই দুই শিক্ষক তাদের প্রতিষ্ঠান গড়ার কাজ করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিও করেছেন তিনি। 
অভিযুক্ত ইকরা কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন,আমি দীর্ঘদিন ওই স্কুলে ছিলাম। 

প্রধান শিক্ষক আসলাম সাহেব মৃত্যুর পর,তারা আমাদের সঙ্গে খারাপ আচারন করতো। এ কারনে বেরিয়ে আসা। তিনি বলেন,তারা আমার বিরুদ্ধে ওই স্কুলের ছাত্র/ছাত্রী ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন। সেটা ঠিক না। কোন অভিভাবক যদি বাচ্চা নিয়ে,এসে এখানে ভর্তি করান,তাতে আমার দোষ কোথায়। কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের সভাপতি শাহাজাহান আলী বলেন তারা, যে অভিযোগের কপি আমার কাছে ও ইউ,এন ও স্যারের কাছে করেছে। তাতে বলেছে, স্কুল থেকে ছাত্র ছাত্রী ভাগিয়ে নিয়ে স্কুল গড়ছে,এটা কোন অভিযোগ হতে পারে না। আর এটা নিয়ে ইউএনও স্যারও কিছু করতে পারবে না। এটা করতে হলে সামাজিক ভাবে করতে হবে। একজন বেরিয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠান করতেই পারে। সরকারি কোন কর্মকর্তা এ বিষয়ে কিছু করতে পারবে না।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অসিত বরণ পাল বলেন,ওদের নিয়ন্ত্রণ ওরাই। আমাদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে। ওরা আমাদের না। বই পাই যখন,তখন আমাদের কাছে আসে। তাদেরকে শুধু বই দেয়া হয়। আর তাদেন দেখার জন্য উপজেলায় একটা ট্যাক্সফোর্স আছে। যার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। বিষয়টি ওনার কাছে বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন,এ সংক্রান্ত আবেদন, কেউ করেছেন কিনা আমার জানা নাই।

No comments

Powered by Blogger.