কালীগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুরুষ শূন্য গ্রাম আতঙ্কে জনজীবন, উভয় পক্ষের মামলা দায়ের,অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

 এম শাহজাহান আলী সাজু -

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জামাল ইউনিয়ন পরিষদে শালিশ বৈঠকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘাত পরবর্তী সময়ে গোপালপুর গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি। লুটপাটের আশঙ্কা করছেন তারা। গ্রামটিতে গত বুধবার রাত থেকে পরের দিনব্যপি বাড়ির আসবাবপত্র গরু, ছাগল অন্যত্র সরাতে শুরু করেছে এলাকাবাসী। আহত পরিবার পরিজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। মারা-মারির ঘটনায় দুটি গ্রুপে একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। একটি পক্ষে বছির আহম্মেদ বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন ও আরএকটি পক্ষের শরিফুল বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।  বুধবার রাতেই গোপালপুর গ্রামের গফুর মোল্যার ছেলে নাসির মোল্যা ও একই গ্রামের মোস্ত মন্ডলের ছেলে সুজন মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোপালপুর গ্রামটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সুত্রে জানাগেছে, গত ২৬ জুলাই বুধবার বিকালে জামাল ইউনিয়ন পরিষদে আ’লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মারাত্বক ভাবে আহত হন অন্তত ১০ জন। আহতরা হলেন, উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মসলেম মোল্লার ছেলে শওকত মোল্ল্য ও আলাউদ্দিন মোল্লা, একই গ্রামের হাসেম মন্ডলের ছেলে নজির মন্ডল ও সেলিম মন্ডল, গহরআলী ছেলে শাহজাহান, আকবার মোল্লার ছেলে সোহান মোল্লা, গফুর মোল্লার ছেলে আমিরুল।

এর আগে গত ২০ জুলাই তারিখে রাতের মোটরসাইকেল যোগেবাড়ি ফেরার পথে উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মসলেম মোল্ল্যার ছেলে বাবলু মোল্ল্যা ওরফে ঘেনাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্ব জখম করে। ওই ঘটনা বিষয়ে উভয় পক্ষকে উপজেলা জামাল ইউনিয়ন পরিষদে শালিশি বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংশা করছিলেন জামাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। বৈঠক চলাকালীন সময়ে একপর্যায়ে উভয় পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মারাত্বক আহত হন অন্তত ১০ জন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরেঅবস্থার অবনতি হলে ৬জনকে যশোর সদর হাসপাতালে রিফার্ড করা হয়। এছাড়াও বাবু মোল্লার ছেলে আকবার মোল্লা (৫০) নামের একজনকে ঢাকায় রিফার্ড করা হয়। 

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, জামাল ইউনিয়ন পরিষদের দুই গ্রুপের বিচার শালিস ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ঘটে। জনগনের নিরপত্তার বিষয়টিকে মাথায় রেখে গ্রামটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের অবস্থান থাকবে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।


No comments

Powered by Blogger.