কোটচাঁদপুরে মসজিদ কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে জমি দখলসহ জোরপুর্বক পুকুর খননের অভিযোগ

 


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে মসজিদ কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে জোরপুর্বক অন্যের জমি দখল ও অন্যের জমিতে জোরপুর্বক পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ দিলেও কোন সুরাহা হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত আব্দুল করিম লস্করের ছেলে আবুল ফজল তমাল ঢাকার একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতের চাকুরী করেন। চাকুরীর সুবাদে তিনি ঢাকাতেই অবস্থান করেন। সপ্তাহে ও মাসে ২/১ দিন গ্রামে আসেন। বর্তমানে তিনি ওই গ্রামের মসজিদ কমিটির সভাপতি।

জালালপুর গ্রামের আলী আজগর অভিযোগ করে বলেন, আবুল ফজল তমাল গ্রামে থাকেন না কিন্তু গ্রামের মানুষ তার অত্যাচারে দিশেহারা। মাঝে মাঝে গ্রামে এসে তিনি এলাকার মানুষের উপর নির্যাতন করেন। জোরপুর্বক জমি দখল, শরিকানা জমির পুকুর জোরপুর্বক খননসহ নানা অত্যাচার করছেন।

একই গ্রামের গোলাম রসুল বলেন, আবুল ফজল তমালের বাড়ির পাশে পুকুর রয়েছে। যার মালিক ১৫ থেকে ২০ জন। পুকুরটি ভরাট হয়ে গেছিলো প্রায়। আবুল ফজল তমাল বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রাতারাতি ওই পুকুর তিনি সংস্কার করেছেন।

গোলাম রসুল অভিযোগ করে বলেন, জমি আমার কিন্তু তমাল জোরকরেই আমার জমির খনন করেছে। তাকে বাঁধা দিলেও তিনি কোন কথা শোনেনি। আমার জমির পুকুর তিনি কিভাবে খনন করলো।

হাসান লস্কর নামের এক প্রবাসী অভিযোগ করে বলেন, আবুল ফজল তমাল এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। মসজিদের নাম ভাঙিয়ে তিনি পুকুর খনন করেছে। সেই পুকুরে তারকাঁটা দিয়ে ঘিরে দিয়েছে। জমি আমাদের কিন্তু ভোগদখল করছেন তিনি। কিছু বলতে গেলে তার লোকজন আমাদের মারধর করতে আসে। আবুল ফজল তমাল শুধু পুকুর না শরিকানা জমি দখল করে গোডাউন নির্মাণ করেছে। এছাড়াও সরকারি জমি দখল করে তিনি ঘর তৈরী করছেন।

এ ব্যাপারে আবুল ফজল তমাল বলেন, পুকুরটি অনেক শরিক। অনেক আগে সকল শরিকরা পুকুরটি মসজিদের নামে দিয়ে দেয় মৌখিক ভাবে। এজন্য পুকুর খনন করা হয়েছে। পুকুরের জমির মালিকরা খননে বাঁধা দিয়েছেন তারপরও কেন খনন করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের জন্য তো আর পুকুর খনন ফেলে রাখা যায় না।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মেঁ বলেন, এটা পাবলিক মালিকানাধীন পুকুর। সরকারি পুকুর হলে হয়তো আমি ব্যবস্থা নিতে পারতাম। তবে ভুক্তভোগীদের প্রতি পরামর্শ তারা যে আদালতের দ্বারস্থ হন।


No comments

Powered by Blogger.