কালীগঞ্জে আদালতে যৌতুকের মামলা কারায় সাবেক স্ত্রীর প্রাননাশের হুমকি

 শাহজাহান আলী সাজু॥

দুটি পরিবারের সম্মতিতে ২০১০ সালে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিবাহে আবদ্ধ হন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ  উপজেলার সিংগী বাজারের দিন মজুর আব্দুল মান্নানের ছোট কন্যা মোছা: শিরিনা আক্তারের সাথে একই উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের পুত্র সুমন রহমানের। বিবাহিত জীবন ভালোই চলছিল তাদের। এরই মধ্যে শিরিনার কোল জুড়ে জন্ম নেয় রিয়ান নামের এক পুত্র সন্তান। পিতা মাতার ¯েœহ আদরে দিন দিন বড় হতে থাকে এক মাত্র সন্তান রিয়ান হোসেন। এখন তার বয়স ১২ বছরের বেশি হলেও পিতৃ ¯েœহ থেকে সে বঞ্চিত। 

জানাগেছে, শিরিনা আক্তারের স্বামী সুমন রহমান মোটা অংকের যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা না পেয়ে শিশু রিয়ানের সামনেই বিভিন্ন সময়ে মারধর করতো সুমন। তারপর যৌতুক লোভী স্বামী সুমন ৩/৪ দফাই জোরপূর্বক বেশ কিছু টাকা নিয়েছে বলে শিরানার পরিবার সুত্রে জানাই। এবং আরো টাকার দাবিতে স্ত্রী সন্তানকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। অতি কষ্টে ছেলে নিয়ে বাবার বাড়ি মানবেতর জীবনযাপন করছেন শিরিনা আক্তার। আর ল¤পট সুমন নিজের বাড়িতে সাচ্ছন্দ্যে আছেন।

শিরিনা আক্তার জানান, আমার সাথে সুমনের বিবাহের পর জানতে পারি আমার স্বামী সুমন একই ইউনিয়নের সালমা নামের একটি মেয়ের সাথে দির্ঘদিনের সম্পর্ক আছে। আমাকে তাড়িয়ে দিয়ে ঐ মেয়েকে বিবাহ করেছেন। স্বামী কতৃক বিতাড়িত শিরিনা আক্তার আরো জানান, যৌতুক লোভী স্বামী সুমনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ¯েপশাল ও যৌতুক নিরোধ আইনে বিজ্ঞ আমলী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩ ধারায়   আরো একটি মামলা করেন। বর্তমানে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য মামলার ১ নং আসামী সুমনসহ অজ্ঞাত নামাদের নিয়ে আমার গ্রামের বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে এবং আমার প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন। এমতাবস্থায় আমি নিজের নিরাপত্তায় শংকিত। এদিকে পিতামাতার এই দা¤পত্য কোলাহলের কারনে তাদের একমাত্র সন্তান রিয়ান পিতৃ ¯েœহ পাওয়াই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞ আদালত তার মা-বাবার দুটি হাত এক করে আমার জীবন শান্তি ময় করার সুযোগ করে দিবেন এটায় শিশু রিয়ানের দাবী।


No comments

Powered by Blogger.