গত ৩ দিনেও অভিযুক্তরা আইনের আওতায় আসেনি দেবাশীষের পাশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ

 এম শাহজাহান আলী সাজু-

ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে পাওনা ২০ হাজার টাকা পরিশোধের কথা বলে মোবাইলে করে ডেকে নিয়ে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া ও খালি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া বঙ্গপল্লী সার্বজনীন পূজা মন্দিরের সহ-ধর্ম স¤পাদক ও জুয়েলার্স ব্যবসায়ী বাবু দেবাশীষ ভৌমিকের পাশে দাঁড়ালেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। শনিবার সকালে কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা মাষ্টার পাড়া নিজ বাড়িতে খোঁজ খবর নিতে ছুটে যান তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-স¤পাদক বাবু উজ্জ্বল দত্ত, ঝিনাইদহ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ স্মপাদক বাবু প্রসেনজিৎ ঘোষ শিপন, পূজা উৎযাপন পরিষদের কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিকস্মপাদক  বিপ্লব বিষ্ণু, পূজা উৎযাপন পরিষদের কালীগঞ্জ পৌর শাখার সভাপতি মহেন্দ্র নাথ রায়, সাধারণ স্মপাদক সুজিত কুমার ম-ল, উপজেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অমিত সিকদার বিশুসহ নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ হামলার শিকার দেবাশীষ ভৌমিকে সকল সহযোগিতায় পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তবে, গত তিন দিনেও অভিযুক্তদের আইনের আওতায় না আসা ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেতারা।

এবিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ স¤পাদক বাবু প্রসেনজিৎ ঘোষ শিপন বলেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ী দেবাশীষ ভৌমিককে আমরা সংগঠনের পক্ষে থেকে দেখতে গিয়েছিলাম। অভিযুক্তদের আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রশাসন প্রশাসনের গতিতে কাজ করবে এটা আমরা বিশ্বাস করি। তবে, আমরাও প্রশাসনের সাথে কথা বলবো। 

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান মিনে বলেন, খুব তাড়াতাড়ি অভিযুক্তরা ধরা পড়বে। অভিযুক্তদের ধরতে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ কাজ করছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপুরে পাওনা ২০ হাজার টাকা পরিশোধের কথা বলে মোবাইলে করে ডেকে নিয়ে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে ও খালি স্ট্যা¤েপ জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ভূক্তভোগি দেবাশীষ ভৌমিক বাদী হয়ে ফয়লার গোরস্থান পাড়ার বাসিন্দা জব্বার আলী ও তার স্ত্রী সেলি বেগমসহ অজ্ঞাত আরো ১/২ জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।  


 




No comments

Powered by Blogger.