কালীগঞ্জে কাগজপত্র বিহীন পরিবহনের সময় সরকারি ওষুধ আটকে দিল জনতা

 এম শাহজাহান আলী সাজু-

"ঔষধ শুধুমাত্র কমিউনিটি ক্লিনিকে ব্যবহারের জন্য। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স¤পদ। ক্রয়-বিক্রয় আইনত দন্ডনীয়"। সরকারি ঔষধ দায়িত্বহীনভাবে পরিবহনের কোন নিয়ম না থাকলেও তা আমলে না নিয়ে নিজ দায়িত্বের প্রতি অবহেলার অভিযোগ উঠেছে কালুখালী কমিউনিটি ক্লিনিকেরহেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মোসাম্মৎ রোকসানা খাতুনের বিরুদ্ধে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার বিহারীমোড় নামক এলাকায় একটি ভ্যানসহ ঔষধগুলি আটক করে স্থানীয় জনতা। এসময় স্থানীয়রা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ভ্যানসহ ওষধগুলি আটক করে।  

সরকারি ঔষুধ বহনকারী ভ্যানচালক আকবর বিশ্বাস জানান, আমি ২শত টাকা ভাড়া ঠিক করে এই মাল গুলো কালুখালী কমিউনিটি ক্লিনিকে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিয়ে যাচ্ছিলাম। ওই কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মরত মোসাম্মৎ রোকসানা খাতুন এই মালগুলো আমাকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বললেও তিনি মালের সাথে আসেননি এবং মালের কোনো বৈধ কাগজপত্র বা চালানও আমাকে দেননি। যে কারণে এই ঔষধ সম্পর্কে স্থানীয় কয়েকজন আমাকে নানা ধরনের প্রশ্ন করেন। 

পৌরসভার বিহারীমোড় এলাকার লিখন নামের এক ব্যক্তি জানায়, ভ্যানের উপর সরকারি ওষুধ দেখে তারা জানতে চান ঔষুধ কোথায় এবং কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কার অনুমতিতে নেওয়া যাওয়া হচ্ছে। কোনো চালান আছে কিনা। এর কোনো সদুত্তর ভ্যানওয়ালা দিতে না পারায় আমরা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করি। পরবর্তীতে থানা পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলর এসে বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন। 

কালীগঞ্জ থানার এসআই হুমায়ুন কবির জানান, স্থানীয়দের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে ভ্যানের উপরে কমিউনিটি ক্লিনিকের চার কার্টুন সরকারি ঔষধ দেখতে পাই। আমি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করি। এসময় স্থানীয় কাউন্সিলর মুক্তার হোসেনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।  

এ ব্যাপারে উপজেলায় কালুখালী কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মোসাম্মৎ রেকসনা খাতুন জানান, প্রতিবার আমি ওষধ সাথে করেই নিয়ে যাই। এবার হাসপাতালে একটু কাজ রয়ে যাওয়ায় সাথে যেতে পারিনি। ভুল হয়ে গেছে। 

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন বলেন, সরকারি ঔষধ চালান ছাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। ঘটনাটি আমি থানা পুলিশের মাধ্যমে জানার পর দায়িত্বরত ওই মহিলাকে চালানসহ পাঠায়। ভবিষতে এধরণে ভূল যেন না হয় সেব্যাপারে আমি স্টোর কিপার ও উপজেলার সকল কমিউনিটি ক্লিনিকেরহেলথ কেয়ার প্রোভাইডারকে অভিভূত করেছি।






 


No comments

Powered by Blogger.