নির্বাচন শেষ হলেও এখনও সরানো হয়নি ঝিনাইদহের ২৬ জন সংসদ সদস্য প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি- শেষ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু এখনও ঝিনাইদহ জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ঝুলছে প্রার্থীদের ব্যানার পোস্টার। যার অধিকাংশই পলিথিন দিয়ে লেমোনেটিং করা। এতে যেমন নষ্ট হয়ে শহরের সৌন্দর্য তেমন ক্ষতি মুখে পরিবেশ ও প্রকৃতি। দ্রুত এসব ব্যানার পোস্টার অপসারণ করে পুড়িয়ে ফেলার পরামর্শ পরিবেশবিদদের। ঝিনাইদহ ঘুরে দেখা যায় শহরের কেন্দ্রস্থল পায়রা চত্বরের চারপাশে এখনও ঝুলছে শত শত পোস্টার। রশিতে টাঙানো অধিকাংশ পোস্টারগুলো পলিথিন দিয়ে লেমোনেটিং করা। বাতাসে ছিড়তে না বা শিশিরেও ভিজে নষ্ট হচ্ছে না। এখনও অপসারণ করা হয়নি পাশের বঙ্গবন্ধু সড়কের পোস্টার। দোকানের সামনে রাস্তার দু’পাশ দিয়ে ঝুলছে হাজার হাজার পোস্টার। কোথাও কোথায় রশি ছিড়ে রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এই পোস্টারগুলো। শুধু জেলা শহরই নয়। জেলার ৪ টি সংসদীয় আসনের ৬ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এখনও ঝুলছে ব্যানার পোস্টার। নির্বাচন শেষ হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে স্ব স্ব প্রার্থী পোস্টার অপসারণ করার নিয়ম থাকলেও কোন প্রার্থী সেই আইন মানছেন না। পলিথিন দিয়ে মোড়ানো থাকায় যা সহজে নস্ট হচ্ছে না। শহরের আরাপপুর এলাকার বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন শেষ হয়েছে ৭ জানুয়ারি। কিন্তু এখনও ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করা হয়নি। শহর জুড়ে হাজার হাজার পোস্টার ঝুলানো রয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ বা কোন প্রার্থী তাদের পোস্টার অপসারণ করেন নি। এতে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। হামিদুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, নির্বাচন উৎসব মুখর হয়েছে। ব্যানার পোস্টার টাঙানো হয়েছিলো নির্বাচনের আগে। কিন্তু নির্বাচন তো শেষ হয়েছে কিন্তু এখনও পোস্টারগুলো অপসারণ করা হয়নি। আর যেভাবে এবার পোস্টার করা হয়েছে তার বেশিরভাগই লেমোনেটিং করা। টেনেও ছেড়া যাচ্ছে না। দ্রুত এসব অপসারণ করে পুড়িয়ে ফেলা উচিত। ঝিনাইদহ জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব সিনিয়র সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, ব্যানার পোস্টার গুলো বেশির ভাগই লেমোনেটিং করা। এগুলো পরিবেশের জন্য চরম ক্ষতিকর। এই ব্যানার পোস্টার নদীতে গেলে নদী ভরাট হবে। আর ড্রেনে পড়লে পয়নিষ্কাষন ব্যবস্থা নষ্ট হবে। তাই দ্রুত এসব অপসারণ করে পুড়িয়ে ফেলার আহ্বান জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল বলেন, আমরা ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে সকল ব্যানার পোস্টার অপসারণ করে ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে ফেলব। কারণ এগুলো গ্রীণ ঝিনাইদহ গড়ার অন্যতম অন্তরায়। ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মুন্তাছির রহমান বলেন, নির্বাচন শেষ হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে স্ব স্ব প্রার্থী তাদের ব্যানার বা পোস্টার সড়িয়ে ফেলবেন এমন একটা নিয়ম রয়েছে। কিন্তু আমরা খেয়াল করছি নির্বাচন শেষ হলেও ব্যানার পোস্টার অপসারণ করা হয়নি। আর যেগুলো লেমোনেটিং করা সেগুলো পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। তাই আমরা ঝিনাইদহের ৬ টি পৌরসভায় কর্তৃপক্ষকে চিঠি করব তারা যেন দ্রুত এসব ব্যানার পোস্টার অপসারণ করেন।

No comments

Powered by Blogger.