ঝিনাইদহে এক ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান "জবেদা খাতুন একাডেমি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি- ঝিনাইদহে এক ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান "জবেদা খাতুন একাডেমি"। এখানে হাতে খড়ি হচ্ছে প্রথম স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের। সাধারণ শিক্ষার সাথে আধুনিক শিক্ষা যেমন, আইসিটি, ইংরেজি ও গনিত শিক্ষার উপর জোর প্রয়োগ করে বাচ্ছাদের যুগোপযুগী করে গড়ে তোলা হবে। এখান থেকেই কোমল মতি শিশুরা তাদের ভকিষ্যৎকে সর্বাধুনিক শিক্ষায় নিজেদের গড়ে তোলার সুযোগ পাবে। কোন ভাবেই যেন মডার্ন বিশ্বায়ন শিক্ষা থেকে যেন পিছিয়ে না পড়ে সেই দিকে খেয়াল রেখে সবধরনের সুযোগ-সুবিধাই রাখা হয়েছে। অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে চলবে এই পাঠদান। বছরের প্রথম দিন থেকেই চলছে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি। সেখানে ৫০ জন শিশু নিয়ে শুরু হয়েছে এর কার্যক্রম। থাকছে ১৪ জন অত্যন্ত দক্ষ শিক্ষক ও শিক্ষিকা । স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মল্লিকা আফ্রোজা জানান, এখানে নার্সারী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত চালু করা হচ্ছে স্কুলটি। তবে প্রাথমিকভাবে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত চালু হচ্ছে। ঝিনাইদহ শহরের হামদহ ট্রাক টার্মিনালের সামনে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত। এ স্কুল অবশ্যই ভিন্নধর্মী স্কুল। এখানে পাঠদান হবে আধুনিক শিক্ষার সাথে মিল রেখে । আইসিটি শিক্ষা গ্রহণে বাচ্চারা প্রথম থেকেই প্রজেক্টর, কম্পিউটার শিখবে। ইংরেজির উপরে অতিরিক্ত জোর প্রয়োগ করা হবে । যাতে করে তারা ইংরেজিতে লিখতে, পড়তে ও বলতে পারে । শুরু থেকেই তাদের ইংরেজিভীতি দূর করা হবে। মূলত বাচ্চাদের শিক্ষার ভিত এখানে থেকেই যেন গড়ে ওঠে সেই দিকে খেয়াল করা হবে । তিনি বলেন, এই স্কুলটি এবছরই চালু করা হয়েছে । স্কুলটির উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহ-২ আসনের সাংসদ ও রেডিয়্যান্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জাহেদী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আবু শাহরিয়ার জাহেদী পিপুলের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রথীন্দ্রনাথ রায়, পৌর মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, জেলা সমন্বয়ক তবিবুর রহমান লাবুসহ অন্যান্যরা । সাংসদ নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বলেন, "জবেদা খাতুন একাডেমি" আমার হৃদয়ের স্পন্দনের একটি প্রতিষ্ঠান। কারণ জবেদা খাতুন আমার দিদা। তার হাতে আমার বেড়ে ওঠা। তার শাষন-বারনেই আমি আজকের এই অবস্থানে এসে পৌছেছি। উনি ১৯৭১ সালে চিকেন পক্সে মারা যান। তারপ্রতি রয়েছে আমার ও আমাদের পরিবারের সম্মান, ভালোবাসা। তিনি আমাদের তার ছায়ায় বেড়ে তুলেছিলেন । তিনি বলেন, আমার দিদার জন্য এমন একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে পেরে আমি আপ্লুত ও অবিভুত। আমি খুশী যে সর্বোশক্তিমান আমাকে এই সুযোগ করে দিয়েছেন। এই স্কুলের সম্পূর্ণ দেখভালের দায়িত্ব জাহেদী ফাউন্ডেশন। আমার সার্বিক সহযোগীতা সবসময় ছিল আছে থকাবে। এই স্কুলের প্রসারে যা যা করা যায় তার সবই আমরা করবো। কোমলমতি শিশুরা যেন সঠিক শিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারে তার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

No comments

Powered by Blogger.