কোটচাঁদপুরের ধোপাবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগে বাণিজ্যের চেষ্টা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি- ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ধোপাবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগে নিয়োগ বানিজ্যের চেষ্টা করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পত্রিকায় ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১২ লাখ টাকা চুক্তিতে গোপনে পার্শবর্তী গ্রামের এক প্রার্থীকে নিয়ো দেওয়ার পায়তারা করছে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। জানা যায়, ১৯৬১ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। গত ২৪ মার্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান কমিটির মেয়াদ আগামী ২৭ এপ্রিল শেষ হবে। এই সুযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বিপুল অর্থের বিনিময়ে বর্তমান সভাপতি শাহজাহান আলম স¤্রাটের সাথে যোগসাজস করে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ বোর্ড গঠন করেছেন। দৈনিক ইত্তেফাক ও যশোরের দৈনিক পুর্বাঞ্চল পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা বলছেন তারা। কিন্তু পত্রিকার ওয়েবসাইট থেকে ওই দিনের পত্রিকা দেখে কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়নি। জালিয়াতি করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কাগজে লিখে ওই দিনের পত্রিকার সাথে ফটোকপি করে চালানোর চেষ্টা করছে। এছাড়াও নিয়ম অনুযায়ী একজন পরীক্ষার্থী কার্ড ইস্যু থেকে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় পেতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক এ বিষয়টিও লংঘন করেছেন। অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি নিজের পছন্দের লোকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ১২ লাখ টাকার চুক্তি করেন এবং সেই অনুযায়ী আগামী ৩০ শে মার্চ কালিগঞ্জ সরকারি নলডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ড পরীক্ষার তারিখ ধার্য করেন। এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে এলাকাবাসী কেউ জানেন না। প্রধান শিক্ষকের সাথে একরামুলের চুক্তির ফলে ডামি প্রার্থী হিসেবে একই গ্রামের হামিদের ছেলে কামরুল হক সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে তুহিন, সিরাজুলের ছেলে সাব্বির হোসেনসহ আরও কয়েকজনকে প্রার্থী করেছেন। এ ব্যাপারে বর্তমান সভাপতি শাহজাহান আলম স¤্রাট বলেন, প্রধান শিক্ষককে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য বলেছিলাম এবং তিনি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিল নিয়েছেন। তবে তিনি কাজ করবেন আমি ভাবতেও পারি নাই। অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের সাথে কথা বলতে তার মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা শিক্ষা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অশোক কুমার সরকার বলেন, নিয়োগের ব্যাপারে কোন প্রকার অনিয়ম হলে তা বাতিল করা হবে। প্রধান শিক্ষক যদি ভুয়া নিয়োগ দেয় তাহলে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.