কালীগঞ্জে প্রাইভেট পড়িয়ে ধরা খেলেন শিক্ষকরা, ইউএনও দিলেন অব্যাহতি

স্টাফ রিপোর্টার- সরকারি নির্দেশকে উপেক্ষা করে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মাধ্যমিক শিক্ষকরা এসএসসি পরীক্ষার মধ্যেও রমরমা প্রাইভেট ও কোচিং বানিজ্য চলছে। ২০১২ সালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য নীতিমালার আওতায় শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না মর্মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশ জারি করে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু কালীগঞ্জের কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারি এ আদেশ উপেক্ষিত করে প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এঘটনা জানার পর উপজেলার এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান উক্ত কেন্দ্রসমূহ পরিদর্শন করে অভিযুক্ত শিক্ষকদের চলমান এসএসসি পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। গতকাল রবিবার সকাল ৬ টার সময় কালীগঞ্জ শহরে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সলিমুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার গণিত বিষয়ের শিক্ষক গৌতম কুমার এবং মোবারক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হল সুপার পলাশ কুমার ঘোষ, একই বিদ্যালয়ের গ্রন্থগারিক তরিকুল ইসলাম এবং বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক মেহেদী হাসান। সলিমুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক হাফিজুর রহমান, নলডাঙ্গা ভ‚ষণ গার্লস স্কুলের ইদ্রিস আলী, সরকারি নলডাঙ্গা ভ‚ষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকরী শিক্ষক বাবুল আক্তারসহ পৌর এলাকার কাঠালবাগানে কলেজ কোচিং সেন্টার এন্ড পারফেক্ট ইংলিশ হোম, কলেজ কোচিং হোম, এস এম টিচিং হোম নামের প্রতিষ্ঠানগুলো রমরমা প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যেতে দেখা যায়। এ বিষয়ে উপজেলার এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান ঘটনা জানার পর উক্ত কেন্দ্রসমূহ পরিদর্শন করে অভিযুক্ত শিক্ষকদের চলমান এসএসসি পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। ওইসব শিক্ষকগণ এবছর এসএসসি পরীক্ষায় আর কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

No comments

Powered by Blogger.