ঝিনাইদহে রাসেল ভাইপারের কারনে রেড জোন ঘোষণা করলো কে?
তাসনিম মুহসিন-
ঝিনাইদহের মহেশপুর ভারতীয় সীমান্তে ও শৈলকূপায় রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপ আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। কয়েক মাস আগে সীমান্তবর্তী শ্যামকুড় ইউনিয়নের ভবনগর এলাকার সবজিক্ষেতে বিষধর এই সাপের দেখা মেলে। এর পর থেকেই সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকরা আতঙ্কের মধ্যে চাষাবাদ করছেন। একটি অত্যন্ত বিষাক্ত সাপ। কাউকে ছোবল দিলে এন্টিভেনম দিলেও বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র বিশ %। তবে অনলাইনে রাসেল'স ভাইপার নিয়ে যেভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে দেশের সব জেলায় জেলায় রাসেল'স ভাইপার কিলবিল কিলবিল করছে। অতি উৎসাহের প্রচারণায় একটা মেকি আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছে, এখন মাছরাঙা কিংবা মাইট্টা সাপের মত বিষহীন সাপকেও ভয় লাগছে! বাইম মাছ কিংবা কুঁচিয়ার মধ্যেও রাসেল'স ভাইপারের ছায়া! প্রচারণা এতো প্রবল যে স্বপ্নে-জাগরণে কেবল রাসেল'স ভাইপার! চন্দ্রবোড়া বিষয়ক সত্য-মিথ্যা মিশ্রিত সংবাদ যে হারে প্রচার ও শেয়ার হচ্ছে তাতে আতঙ্কিত না হয়ে উপায় নাই। তাই গুজব ছড়িয়ে আতঙ্কিত না করে সচেতন হই
রাসেল ভাইপার সাপের বিশেষত্ব হচ্ছে, এরা খুবই বিষধর। কাউকে ছোবল দিলে এন্টিভেনম দিলেও বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ২০%।এন্টিভেনম এটার বাংলাদেশে নাই ।আর এই দেশের জলবায়ুর প্রকৃতিতে এদের কোন অবদান নাই।
এ বিষয়ে জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা খন্দকার গিয়াস উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় রাসেল ভাইপার সাপের দেখা মিলেছে।
মহেশপুরের ভবনগর গ্রাম থেকে মাস দুয়েক আগে একটি বিশাল আকৃতির এই বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, মাঝে মাঝে সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশপুরে এ সাপ দেখা যায়। তাই স্থানীয়দের সতর্ক করতে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছি।
সম্প্রতি রাজশাহী, নাটোর, ঝিনাইদহ, শৈলকূপা, পাবনা মানিকগঞ্জ, মাওয়া পদ্মার তীরবর্তী এলাকায় এই সাপের উপদ্রব বেড়েছে।
সরকারিভাবে যদি এই সাপ নিধনের জন্য উদ্যোগ না নেয়া হয় তাহলে বর্ষার মৌসুমে সারা বাংলাদেশে এই সাপ ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে ঝিনাইদহ বাসীর মনে প্রশ্ন, ঝিনাইদহে রাসেল ভাইপারের কারনে রেড জোন ঘোষণা হইছে, আর এই রেড জোন ঘোষণা করলো কে, যা ইতিমধ্যে ফেসবুক ভেসে যাচ্ছে।
No comments