ঝিনাইদহে জমি ব্যবসায়ী মনিরুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি- ঝিনাইদহে জমি ব্যবসায়ী প্রতারক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন সেলিনা পারভীন নামের এক নারী। লিখিত অভিযোগে যানা জায়, খোর্দ্দ ঝিনাইদহ শহরের বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য রুহুল আমীনের স্ত্রী সদর উপজেলার নিজপুটিয়া গ্রামের ইব্রাহিম খানের ছেলে জমি ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে জমিসহ একটি ৪ তলা বাড়ি ক্রয়ের জন্য স্টাম্পে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বায়নামা করেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন পৌর এলাকার ১৫৮ নং গোবিন্দপুর মৌজার ১৪৭ নং খতিয়ানের ১০৫৬ নং দাগের ৪ শতক জমির উপর ৪ তলা বাড়ি ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা জমির মূল্য নির্দ্ধারণ করে বাড়িসহ জমি ক্রয়ের কথাবার্তা হয়। একই দিন উপস্থিত স্বাক্ষীগনের সামনে বায়না স্বরুপ জমির মালিক মনিরুলকে গত ৩ সেপ্টেম্বর ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। বাকী ২০ লক্ষ টাকা ১৫ নভেম্বর তারিখের মধ্যে পরিশোধ করে জমি রেষ্ট্রি করার কথা থাকলেও প্রতারক মনিরুল ১১ নভেম্বর তারিখে ১৬৬৩৩ নং দলিল মূলে বাড়িসহ জমিটি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে মনিরুলকে ফোন দিলে সে বলে আমি ঢাকায় চলে এসেছি। আমি তোমাদের জমিসহ বাড়িটিও দিতে পারবোনা টাকাও ফেরত দিতে পারবোনা। আমার ফোনে বারবার ঝামেলা করলে তোমাদের সমস্য আছে বলে হত্যার হুমকি দেয়। সর্বস্ব হারিয়ে সেলিনা ও তার পরিবার পাগল প্রায়। যেকোন সময় প্রতারক মনিরুল বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন তারা। অবশেষে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে সেলিনা পারভীন ঝিনাইদহ সদর থানা প্রতারক মনিরুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। উল্লেখ্য, এলাকাবাসী জানায়, প্রতারক মনিরুল ইতিপূর্বে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অনেককেই স্বর্বশান্ত করে পথে বসিয়েছে। ভুক্তভোগী নারী সেলিনা পারভীন বলেন, আমি প্রতারক মনিরুলের গ্রেফতারসহ আমার টাকা পয়সা দ্রুত ফেরত পেতে পারি সে জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। এব্যপারে অভিযুক্ত প্রতারক মনিরুলের সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ঝিনাইদহ সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ভালোকরে তদন্ত করে দেখছি। যদি তদন্তে মনিরুল অপরাধী হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য এসআই শরিফুল ইসলামকে দ্বায়িত্ব দিয়েছি।

No comments

Powered by Blogger.