ভাই ভাতিজার বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে থানায় অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে নিজের পরিবারের নিরাপত্তাসহ লোকজনদের বাঁচাতে আপন ভাই ও ভাতিজার বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন বরিউল ইসলাম। রবিউল ইসলাম রামনগর গ্রামের মৃত ইয়াকুব মন্ডলের ছেলে। রবিউল ইসলাম এজাহারে উল্লেখ করেন যে, সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত. ইয়াকুব মন্ডলের পুত্র কুরবান আলী (৪০) ও এলাহী মন্ডল (৫৫) এবং ভাতিজা এলাহী মন্ডলের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন (৩২) তারা আমার আপন ভাই ও ভাতিজা। পিতা-মাতার মৃত্যুর পর আমরা আমাদের পৈত্রিক জমি জায়গা ভাগ বাটোয়ারা করে যে যার মত পৃথকভাবে বাড়ী ঘর নির্মান করে দীর্ঘ দিন বসবাস করে আসছি। আসামীগনের সাথে আমার জমি জায়গা নিয়ে বিরোধ থাকার কারনে আসামীগন আমাকে বসত বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার জন্য নানাভাবে অত্যাচার করা সহ খুন জখমের ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকী দিয়ে আসছিল। এই অবস্থায় গত শুক্রবার দুপুরে আসামীগন হাতে দেশীয় তৈরী লোহার রড, শাবল ও হাতুড়ী নিয়ে আমার বসত বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করে আমাকে ও আমার স্ত্রী সন্তানদেরকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে ও বাড়ী থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। তখন আমার পুত্র মোঃ কাসেম আলী (২০) আসামীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ২নং আসামী এলাহী খুন করার হুকুম দিলে আসামী কুরবান আলী তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার পুত্রের মাথা লক্ষ্য করে সজোরে আঘাত করলে মাথা সরিয়ে নিলে আঘাতটি তার বাম কাঁধরে হাড়ভেঙ্গে গুরুতর জখম হয়। মিনহাজ লোহার শাবল দিয়ে আমার পুত্রের মেরুদন্ডের উপর আঘাত করে গুরুতর জখম করে। আসামী এলাহী লোহার হাতুড়ী দিয়ে আমার পুত্রের সর্ব শরীরে এলোপাতাড়ীভাবে পিটিয়ে ফোলা ও বেদনাযুক্ত জখম করে। তখন আমি, আমার স্ত্রী মোছাঃ মঞ্জুরা খাতুন (৪৫) ও শালিকা আনজিরা খাতুন (৪০) ছুটে গিয়ে আমার পুত্রকে রক্ষা করতে গেলে আসামী কোরবান মন্ডল লোহার রড দিয়ে আমার স্ত্রীর ডান পায়ের নলায় আঘাত করে ফোলা ও বেদনাযুক্ত কালশিরা জখম করে। আসামী এলাহী লোহার হাতুড়ী ও আসামী মিনহাজ লোহার শাবল দিয়ে আমাদের সকলের সর্ব শরীরে পিটিয়ে ফোলা ও বেদনাযুক্ত জখম করে। এছাড়াও আসামী মিনহাজ উদ্দিন আমার স্ত্রীর গলা থেকে ১ভরি ওজনের একটি বিদেশী স্বর্ণের চেইন মূল্য অনুমান ১,২০,০০০/- টাকা টান দিয়ে ছিড়ে নেয়। ঐ সময় আমাদের ডাকচিৎকারে সাক্ষী হেলেনা খাতুন (৪৪), স্বামী-আঃ রহিম, দুলদুলি খাতুন (৪০), স্বামী-একদিল ও রমেজ (৫৫), পিতা-মৃত ছামের আলী, সহ অনেকে ছুটে এলে আসামীরা খুন জখমের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যায়। সাক্ষীগনের সহায়তায় জখমী পুত্রকে উদ্ধার করে ইজিবাইক যোগে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। বর্তমানে আমার পুত্র সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধী অবস্থায় আছে। এবং আমরা স্বামী-স্ত্রী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করি। আমরা হাসপাতালে থাকা অবস্থায় আসামীরা আমাদের বাড়ীর সামনে অবস্থান করছে ও আমরা হাসপাতাল থেকে বাড়ীতে গেলে খুন জখম করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। তাই এ অবস্থায় জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে থানায় এজাহার করতে বার্ধ হয়। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা আল মামুন জানান, সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত. ইয়াকুব মন্ডলের পুত্র রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছে। তা তদন্তপূর্বক আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.