কোটচাঁদপুরে প্রচন্ড শীতে বোরো ধান রোপণ
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কোটচাঁদপুর থাকে :
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ঠান্ডা মৃদু বাতাস আর কনকনে শীতে মানুষ যখন জড়োসড়ো। ঠিক সে সময় বোরো ধানের চারা উঠানো ও রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এ চিত্র দেখা যাচ্ছে কোটচাঁদপুর উপজেলার মাঠ গুলোতে। সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে এ বছরও লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে বোরো ধান রোপন হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা
জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৫ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা। এ উপজেলার প্রধান ফসল ধান। বেশ কয়েক দিন ধরে শুরু হয়েছে এ বছর বোরো ধান রোপন কার্যক্রম। তবে থমকে যাচ্ছে ঠান্ডা শৈত্য প্রবাহ,মৃদু বাতাস,আর কনকনে শীতে জড়োসড়ো হয়ে যাচ্ছে চাষিরা।
এরপরও প্রকৃতির এমন আচারনকে উপেক্ষা করে, কোটচাঁদপুর উপজেলায় সর্বত্র চলছে বোরো ধান রোপনের কাজ। সোমবার (২৭জানুয়ারী) সকালে কোটচাঁদপুরের বলুহর মাঠে দেখা যায় বোরো ধানের চারা উঠানো আর রোপনের এমন দৃশ্য।
বলুহর হ্যাচারি কমপ্লেক্স মাঠে রাস্তার ধারে বোরো ধানের চারা উঠানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন, আলম, শরিফুল ইসলাম, বিশু, জাহিদুল, লিটন, কটাসহ আরো কিছু কৃষক।
তারা বলেন, আমরাও তো মানুষ। আমাদের ও শীত লাগে। শীতে জড়োসড়ো হই। তারপরও কাজ তো করতে হবে।কাক ডাকা ভোরে আসি। এরপর জমি থেকে চারা উঠিয়ে, তা জমিতে রোপন করি। আজ আমরা ২ বিঘা জমিতে চারা রোপন করবো। যাতে করে এক জনের ৬থেকে৭ শ টাকা করে আয় হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,গেল বছর এ উপজেলায় ৬ হাজার ১ শ ৮৯ হেক্টর জমিতে ধান হয়েছিল। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হাইব্রিড ৮৮ হেক্টর এবং উফশী ৫৯৭৭ হেক্টর সহ মোট ৬ হাজার পঁয়ষট্টি হেক্টর জমি। যা গেল বছরের তুলনায় ১২৪ হেক্টর জমি কম। সব কিছু ঠিক থাকলে এ লক্ষ্যমাত্রা পূরনের আশা প্রকাশ করেছেন,কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ হাসান।
তিনি আরো বলেন,এ বছরও চাষিদের মধ্যে কৃষি প্রনোদনা হিসেবে স্যার ও বীজ দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ছিল ২ কেজি করে হাইব্রিড ধানের বীজ ও সার। এ সব দেয়া হয় ৩ শ চাষির মধ্যে।
সারের দাম, সরবরাহ ও সংকট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সারের কোন ঘাটতি নাই। চাষিরা তাদের চাহিদা মোতাবেক সার পাবেন। আর দাম নিয়ে কোন অভিযোগ জানা নাই। তবে যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করেন, তাহলে অবশ্যই আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments