ঝিনাইদহে পরকীয়ার জেরে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা

 



ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

ঝিনাইদহে পরকীয়ার জেরে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত গ্রাম্য চিকিৎসক মুক্তার শেখ। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝিনাইদহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শৈলকুপা আমলী আদালতের বিচারক ফারুক আযম এ আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন ২ সন্তানকে নিয়ে গ্রামে থাকতেন। চিকিৎসার অজুহাতে ওই বাড়িতে প্রায় আসা যাওয়া করত পাশের গ্রাম লক্ষণ দিয়ার পল্লী চিকিৎসক মুক্তার শেখ। সোনিয়া খাতুন ও মুক্তার শেখ পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে। ৬ মাস আগে সোনিয়া ও মুক্তার শেখকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে পরিবারের সদস্যরা। সেসময় মুক্তার শেখকে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে তাড়িয়ে দেয় তারা। অবৈধ মেলামেশা না করতে পেরে মুক্তার শেখ ঝিনাইদহ শহরের কালিকাপুর এলাকায় একটি বাসা ভাড়া করে দেয় সোনিয়াকে। সেখানে প্রায় কয়েকমাস আসা যাওয়া করত মুক্তার। সর্বশেষ গত শনিবার রাতেও মুক্তার কালিকাপুরের বাসায় যায়। ভোররাতে সোনিয়াকে রুমের মধ্যে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে সন্তানরা প্রতিবেশীদের খবর দেয়। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার কয়েকদিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের মামা শশুর আবাইপুর গ্রামের মুক্তার হোসেন বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়ে ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালতের বিচারক।

মামলার বাদি মুক্তার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন রাতে ডা: মুক্তার কালিকাপুরের বাসায় ছিলো। সোনিয়াকে হত্যা করে রাতেই গ্রামে চলে যায়। ভোররাতে মুক্তার আবার সেই ৩০ কিলোমিটার দুরের গ্রাম থেকে আসে। আমি সন্দেহ করি সোনিয়া তার ভুল বুঝতে পেরে পরকীয়া সম্পর্ক না রাখায় ডাক্তার ক্ষুব্ধ হয়ে সোনিয়াকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ঝিনাইদহ শহর থেকে আবাইপুর প্রায় ৩০ কিলোমিটার দুরে। ঝিনাইদহে বড় হাসপাতাল ও ক্লিনিক আছে সেখানে বড় বড় ডাক্তারও আছে। কোন কারণে ডা: মুক্তার সেই ৩০ কিলোমিটার দুর থেকে ঝিনাইদহ এসে চিকিৎসা দিবে। তাও তিনি একজন হাতুড়ে ডাক্তার। আমি চাই এ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হোক।

মামলার অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক মুক্তার শেখের সাথে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি। ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন উত্তর দেন নি।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আমিনুর ইসলাম বলেন, আমরা আদালতে দায়ের করেছি। প্রকৃত ঘটনা তদন্তে বেরিয়ে আসুক এটাই আমি আশা করি।


No comments

Powered by Blogger.