Home
/
টপ নিউজ
/
কোটচাঁদপুরে কাঠ প্রসেসিং মেশিন বিস্ফোরণে চিকিৎসার খরচ যোগাতে না পারায় দৃষ্টি হারানো ও পঙ্গু হওয়ার আশংকা
কোটচাঁদপুরে কাঠ প্রসেসিং মেশিন বিস্ফোরণে চিকিৎসার খরচ যোগাতে না পারায় দৃষ্টি হারানো ও পঙ্গু হওয়ার আশংকা
ঝিনাইদহের মহেশপুরের আলামপুর ব্রিজ ঘাটের বাসিন্দা আব্দুল আজিজের ছেলে আলমগীর হোসেন। তিনি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী (ফার্নিচার)। অসুস্থ অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এবং মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে চরম অর্থ সংকটে তার পরিবার। এদিকে আলমগীরের স্ত্রী দীর্ঘদিন অসুস্থ। তার ঔষধ কিনতে প্রতি সপ্তাহে লাগে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। অন্যদিকে রয়েছে তার এনজিওর ঋণের কিস্তি । যা তিনি কাঠমিস্ত্রির (ফার্নিচার)কাজ করে চালাতেন। এখন তিনি নিজেই অসুস্থ। ব্যাহত হচ্ছে স্ত্রীর ঔষধের টাকা যোগানো অন্যদিকে এনজিওর ঋণের কিস্তি। চিকিৎসার খরচ যোগাতে না পারায় দৃষ্টি হারানো ও বাম হাত পঙ্গুত্ব হওয়ার পথে কাঠমিস্ত্রি আলমগীর হোসেনের। এখনও হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন তিনি। বাম পাশের বুকের পাঁজরে কয়েকটি হাড় ভেঙ্গে গিয়েছে যার অপারেশন খুব জরুরী। অপারেশনের জন্য লাগবে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। যা জোগাড় করার ক্ষমতা অসুস্থ আলমগীরের পরিবারের নাই। উল্লেখ্য (১৪ জানুয়ারি) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোটচাঁদপুর শহরের বলুহর বাস স্ট্যান্ডের পাশে (মোবাশ্বের মিয়ার তাল মিল) কাঠ প্রসেসিং মেশিন (বয়লার) বিস্ফোরনে মারাত্মক আহত হন দিনমজুর কাঠমিস্ত্রি আলমগীর হোসেন। মেশিনের ভিতরে থাকা কাঠ ছুটে এসে লেগে চোখ ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং সাথে আরো দুইজন ঘটনা স্থলেই নিহত হয়। কাঠমিস্ত্রি আলমগীর হোসেনের বড় ভাই শাহাজান অভিযোগ করে বলেন, দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকে কাঠ প্রসেসিং কারখানার মালিক মোঃ মিজান হোসেন এ পর্যন্ত একদিনও কোন খোঁজ খবর নেয়নি। জিজ্ঞাসা করা হয় চিকিৎসার খরচ কে বহন করছে? উত্তরে তিনি জানান বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কিছু টাকা সাহায্য উঠনো হয়েছে যা খুবই সীমিত। তাই আমি সরকারি বেসরকারি সকল সংস্থা এবং এলাকার বিত্তবান মানুষদের কাছে আমার ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি এবং অনুমোদনহীন ও নিরাপত্তাবিহীন কাঠ প্রসেসিং ব্যবসায়ী মোঃ মিজানকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। এব্যাপারে কাঠ প্রসেসিং ব্যবসায়ী মোঃ মিজানের সাথে যোগাযোগ করতে মুঠোফোনে ফোন দিলে ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
No comments