কোটচাঁদপুর বলুহর মৎস্য হ্যাচারীতে ১৪ই ফেব্রুয়ারী ঘিরে বিনোদন প্রেমি জনতার ভিড়

 


মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কোটচাঁদপুর থেকে :

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের বলুহর মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্স এলাকার মাছ সহ নদী, বিল ও বাওড়ের রেনু পোনার চাহিদা পূরণ করতে  ১৯৮৪ সালে কোটচাঁদপুরের বলুহর গ্রামে দেশের সর্ববৃহৎ মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১০৩ একর আয়তন বিশিষ্ট এই হ্যাচারীতে রয়েছে ৩০টি পুকুর। বর্তমানে এসব পুরানো দেশীয় জাতের মা মাছের সাথে বিদেশ থেকে আমদানীকৃত মাছের রেণু উৎপাদন করা হয় এসব পুকুরে। কোটচাঁদপুর অঞ্চলে তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় বলুহর মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্সটি এলাকার মানুষের বিনোদনের উপযুক্ত স্থানে পরিণত হয়। দূর দূরান্ত থেকে দেখতে ও বিনোদন করতে, ঘুরতে আসে মানুষ এ প্রজেক্টে। ১৪ই ফেব্রুয়ারি ঘিরে নারী পুরুষ সহ হাজার হাজার বিনোদন প্রেমি জনতার ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু বলুহর মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্সটির প্রধান গেট বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে ঘুরতে আসা বিনোদন প্রেমি জনতা। প্রধান গেট বন্ধ থাকায় কেহ ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি। তবে দুই এক জনকে গেটের উপর দিয়ে ভিতরে ঢুকতে এবং বের হতেও দেখা যায়। কেন বন্ধ কেহ বলতে পারে না। আবার কেউ বলে ১৪ই ফেব্রুয়ারি ঘিরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে হ্যাচারী কতৃপক্ষ। তবে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের একজন আলামিন এ প্রতিবেদককে বলছিলেন, চট্টগ্রাম থেকে আসা গেস্ট নিয়ে ঘুরতে আসছিলাম। এসে দেখি প্রধান গেট বন্ধ। কি আর করব ফিরে যাচ্ছি প্রজেক্ট দেখতে না পারা বুকভরা বেদনা নিয়ে। এব্যাপারে কথা হয় সহকারী পরিচালক ( মৎস্য) মাহাবুব এর সাথে। তিনি বলেন, আজকে ১৪ই ফেব্রুয়ারি ( বিশ্ব ভালোবাসা দিবস) অপরদিকে  মুসলমানদের ধর্মীয় একটি বিশেষ দিন।অনেক মানুষের সমাগম হতে পারে এমন আসংখ্যা ও ধর্মীয় দিনের পবিত্রতা রক্ষার্থে গেট বন্ধ রেখেছি। প্রশ্ন করা হয় লোকসমাগম হলে সমস্যা কি? উত্তরে তিনি বলেন, ভিতরে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় এড়াতে পারব না। তায় ধর্মীয় দিনের পবিত্রতা ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রধান গেট বন্ধ রেখেছি। বলুহর বাস স্ট্যান্ড মসজিদের খতিব হাফেজ ইসমাইল হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রজেক্ট কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের মধ্যে এমন সচেতনতা বৃদ্ধি করে দেন বলে দোয়াও করেন ওই হাফেজ ইসমাইল হোসেন।

No comments

Powered by Blogger.